আল মোজাহিদ হুসাইন জাকারিয়া
১।
জন্মদিন
মৃত্যুর দিকে উড়ে গেলে পাখি
পৃথিবী হাসে লুকিয়ে রেখে
মানব জনমের ক্ষত,
ধ্বংসিত গোলকের কাছে
নত হয়ে পড়ে থাকে সুখের কাবিন
পায়ের নিচে কবর খুড়ে
বোকা_ সূর্যের পানে চেয়ে
কেন বলি এ আমার জন্মদিন!
২।
মালি
আমার ঘরের পাশে ঝাউ বন
বনে বনে উড়ছে চেনা – অচেনা পাখি
রঙ্গন ফুলে ফুলে কাঁপছে চোখের বারান্দা,
পৃথিবীর গেন্দারা নুয়ে পড়েছে কুর্ণিশে।
কেবলায় মধ্যপ্রাচ্য, ফুটছে রক্তজবা
বাগানের মালি হয়ে
রাত জেগে থাকি, ফুল নয়_
আহত দেহ খুলে ধরে রাখি
তোমাদেরই শিমুল কাটার জমিন,
আমার হাত জুড়ে হাজারো রক্তাক্ত ফুল
একটি আমার প্রথম কেবলা,
একটি ফিলিস্তিন।
৩|
বেলাভূমি
এসো শান্তির নীর
সুখ খেয়ে রোদে মরে পড়ে আছে
সোনার কুমির।
ভাটার মৌসুমে
সোনালি রোদে শুকনো ধানের মধুগন্ধ
নিয়ে এসো গেয়ো বাতাসের ঘুমে।
ঘামে ভিজে যাওয়া ঘোমটা
রোদ পোড়া আঁচলে বেধে রাখো আমাকে
যত উড়ি, তুমি শুধু ঘোটাও চুড়ির নাটা।
কুসুম সাগর জলে
লবনের ঘ্রাণ, শুটকি হয়ে পুড়ছ তুমি উনুনের কাছে
তবুও লাল আমি ভালোবাসা হয়ে যায বলে।
এমন কেন তুমি?
আমাকে ধরে রাখ উজ্জ্বল জোছনার ছাপে
তোমার পদচিহ্ন ধরে, আমিও পথিক শূণ্য তোমার সাগরের বেলাভূমি।
৪।
উদ্বাস্তু
একটি উদ্বাস্তু জীবনের মত
মাটির দিকে ঝুলে আছে অবহেলিত জন
না ছুতে পারছে আকাশ
না মাটি,না জলে ভরা পৃৃথিবীর সীমান্ত
যেখানে পড়েনি কোন কালে নাবিকের পদচিহ্ন।
তবুও বাতাস তুলে ঝড়ের আর্তনাদ
সংকীর্ণ মন মাতে আলাপচারিতায়
শোকের মাতম হয়ে বাজে বিদ্রোহ
তুমি কেন দাড়িয়ে শখের মেলায়,
জাদুকরের ভেলকিবাজি দেখে উদ্ভ্রান্ত হয়ে ঘুরছ নাগরদোলার বাদ-বিবাদে।
আল মোজাহিদ হুসাইন জাকারিয়া
বীরগাঁও, মনোহরদী, নরসিংদী