লিনা আকতার
ড্রাই ফ্রুটস বলতে শুকনো ফল বোঝায়।আর এসব শুকনো ফলগুলির মধ্যে কয়েকটি শীতকালে খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন।যেমন,কিশমিশ,খেজুর,বিভিন্ন প্রকার বাদাম, বীজ,ডুমুর ইত্যাদি।
শুকনো ফলগুলিতে আয়রন, ফাইবার,প্রোটিন,জিঙ্ক,ম্যাগনেসিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট,ভিটামিন ও খনিজ রয়েছে যা শীতে শরীর উষ্ণ রাখতে,ত্বক ভালো রাখতে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে।
ঋতু অনুযায়ী শরীরে আমাদের নানা রকম সমস্যা দেখা দেয় যেমন শীতে সর্দি,কাশি,সংক্রমন এর ঝুঁকি,শরীরের তাপমাত্রা কমে যাওয়াসহ নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়।তাই শীতকালে খাদ্যাভাসের পরিবর্তন আনা অত্যন্ত জরুরী।
ড্রাই ফুটসগুলিতে ভিটামিন, খনিজ ও ফাইবার থাকায় শীতে তাপমাত্রা বাড়ার পাশাপাশি ঠান্ডাজনিত অসুস্থতা প্রতিরোধ করে।
ড্রাই ফূটস খেজুর এবং ডুমুর প্রাকৃতিক অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা শীতে সর্দি, কাশি এবং সংক্রমন প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
শীতে ড্রাই ফ্রুটসের মধ্যে বিভিন্ন প্রকার বাদাম খেতে পারেন।যেমন কাজু,আখরোট,কাঠবাদাম ইত্যাদি।কারন বাদামের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য যা শীতে গলাব্যাথা,ও প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।এছাড়া বাদামে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড যা স্বাস্থ্যকর চর্বি। এটি শীতে শরীরে ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করবে।
শীতে শরীরের শক্তির মাত্রা কমে যায়।আর এই ড্রাই ফুটসগুলোতে প্রাকৃতিক শর্করা থাকায় শরীরে তাৎক্ষনিক শক্তি প্রদান করে। বিশেষ করে খেজুর ও কিশমিশজাতীয় খাবার।
শীতে শরীরে রক্ত সরবরাহ কমে যায়। আর এই ড্রাই ফুটসগুলোতে আয়রন,জিঙ্ক থাকায় তা শরীরে রক্তসরবাহ দ্রুত বাড়াতে সক্ষম।
যাদের ডায়াবেটিস ও হৃদরোগ আছে তারা এই শীতে ডুমুর খেতে পারেন।কারন ডুমুরে রয়েছে পর্যাপ্ত ভিটামিন ও খনিজ। এছাড়া ডুমুরে ক্যালসিয়াম এর পরিমান বেশি যা এই শীতে হাড় ভালো রাখতে সাহায্য করবে।
কতটা শুকনো ফল খাওয়া নিরাপদঃ
অনেকেই প্রচুর পরিমানে ড্রাই ফ্রুটস ফল খায়।তবে প্রতিদিন অতিরিক্ত ড্রাই ফ্রুটস খাওয়া উচিত নয়।এতে শরীরে উপকারিতান থেকে অপকারিতা হওয়ার সম্ভাবনা।বিশেষ করে ওজন বেড়ে যাওয়া, শরীরে কোলেস্টরল বেড়ে যাওয়া এবং শরীরে গ্লুকোজ মাত্রা বেড়ে গিয়ে প্রদাহ হতে পারে।যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের ডায়াবেটিস বেড়ে যেতে পারে।বিশেষ করে খেজুর, কিশমিশ এর মতো ড্রাই ফ্রুটস খেলে।
ড্রাই ফ্রুটসের মধ্যে বাদাম বেশিরভাগ স্বাস্থ্যকর।তবে বাদামের মধ্যে অক্সালেট বেশি থাকে যা অতিরিক্ত খেলে ক্যালসিয়াম অক্সালেট
পাথরের কারন হতে পারে।এজন্য পরিমানে একটি সুষম খাদ্যের অংশ হিসেবে খাবার গ্রহন করতে হবে।
পুষ্টিবিদ লিনা আকতার
রাইয়ান হেলথ কেয়ার হাসপাতাল এন্ড রিসার্চ সেন্টার, দিনাজপুর।