নূরজাহান নীরা
সমবয়সী সহকর্মীদের ডাকতে ডাকতে নিজেই অনেকটা খড়কুটো একত্রিত করেছে সুরুজ।আশপাশে পড়ে থাকা কাগজ,কাপড়, পলিথিন সব এক জায়গায় এনে তাতে আগুন জ্বালিয়ে দেয়।সারাদিন গোসলের...
তারপর আগুনের কাঁচি দিয়ে তার জিহ্বাটি কাটতে লাগল তারা। তার মাথা হাতুড়ি দিয়ে চূর্ণ-বিচূর্ণ করতে লাগল। নতুন নতুন শাস্তি তার সামনে হাজির করা হলো। কী আশ্চর্য! তার শরীর চূর্ণ-বিচূর্ণ হবার পরেও আবার নতুন রূপে ফিরে আসছে।
দেখতে দেখতে বিশটা বছর কেটে গেল। চোখে জুড়ে বসল মোটা ফ্রেমের চশমা। ময়লা শাড়িতে ঢাকা শরীর। সুন্দর চেহারায় ভাঁজ পরেছে কালো রেখা। লাঠিতে ভর দিয়ে সঙ্গীহীন চলাফেরা। সেই পাওনাদারদের আর খোঁজ নেই।
সবার মনে এক অজানা দস্যুর উপস্থিতি। মেহেদীর ক্যান্সার ধরা পড়েছে এক মাস হলো। ডাক্তার বলেছে আর মাত্র ছয় মাস সে বাঁচবে। তখন ডাক্তার আগের রিপোর্ট টা দেখে, মেহেদীকে ঠিক দুবার টেস্ট করলো।
আঁধারের জালে এলোমেলো পা ফেলতে থাকে ময়েজ। চতুর্দশির চাঁদ অনেকটা পশ্চিমে সরে গেছে। ডিব্বা থেকে দোক্তা বের করে মুখে দেয় সে। এতক্ষণে বাড়ি পৌঁছার কথা। পথ কী ভুল হয়েছে। চিন্তার বিষয়। এটা কোন রাস্তা। সামনে বালু আর বালু। বাড়িঘর নজরে পড়ে না। ভুলে ধরল নাতো!
রতন বয়সে ছোট হলেও ভীষণ সাহসী আর দস্যিপনায় ইঁচড়ে পাকা। ছোটবেলা থেকে এ পর্যন্ত ভূতের অনেক গল্প শুনেছে রতন, রতনের মাসতুতো ভাই রাহুল ভূতের ভয়ে রাতে প্রসাব করতেও বাইরে বের হয় না একা একা
হঠাৎ প্রচন্ড বৃষ্টি পড়তে আরম্ভ করে।জহির বৃষ্টি একদমই সহ্য করতে পারে না। তাই বাড়ির দিকে পা বাড়ায়। বাড়িতে ঢুকতেই সে দেখে তার মা তার জন্য বারান্দায় বসে অপেক্ষা করছে।
খুব ভোরে বেশ কয়েক বার রিং বাজলেও ফোন কেঁটে দিয়েছি। অবশ্য ঘন্টা খানেক পর কিছুটা বিরক্তিকর মনে হলেও আধোঘুমের আলসেমি কাটিয়ে ঝাপসা ছোখে মোবাইলটা এক ঝলক দেখার চেষ্টা করতেই হঠাৎ কোলের উপরে জ্যান্ত সাপ দেখার মতো বিছানা ছেড়ে লাফিয়ে উঠলাম।
পরদিন সন্ধ্যায় রাফি বিপুল উদ্যম নিয়ে লিখতে বসল।সে লিখবে প্রেমের গল্প।প্রেমের গল্প মানেই হিট।দুইটা ছেলেমেয়ে ধরে প্রেম করিয়ে দিলেই পাবলিক খুশি।এইরকম চিন্তাধারা নিয়ে রাফি লেখা শুরু করল।
মেহেরিন জানালা
দিয়ে তাকিয়ে বাহিরের দৃশ্য দেখছে। বেপরোয়াভাবে আসা একটি ট্রাকের সাথে বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
মেহেরিনের মা-বাবা অল্প আহত হয়, হাত পা ছিলে যায়। তবে মেহেরিন মারাত্মকভাবে আহত হয়।
সিধু আস্তে আস্তে বইটা দাদুর দিকে এগিয়ে দিলো।বইটা হাতে নিয়ে তিনি অনুসন্ধিনসু দৃষ্টিতে বইয়ের দিকে তাকাতেই, উঠান থেকে কে যেন 'সিদ্দিক সিদ্দিক' বলে ডেকে উঠলো। তিনি বইটা রেখে বললেন কে?
অ্যাম্বুলেন্স ছুটে চলেছে মানিকগঞ্জ মহাসড়ক দিয়ে। পাটুয়ারী ফেরিঘাট যাওয়ার পর বেশ কিছু সময় ফেরির জন্য অপেক্ষা করতে হলো। ফেরি ঘাট হয়ে নদীর ওই পার পর্যন্ত পৌঁছাতেই রাত আটটা বেজে গেল। রাতের এই নির্জন রাস্তায় এম্বুলেন্স বেশ গতিতে ছুটতে শুরু করল। এত সময় পর্যন্ত মামাদের সাথে তেমন কিছু অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু এই নির্জন রাস্তায়