Saturday, July 27, 2024
spot_imgspot_imgspot_img

স্বপ্নের অসুখ

ফাতেমা সুলতানা

একটা ক্লান্তির নিঃশ্বাস ফেলে ডেস্কের উপর রাখা শেষ রোগীটির ভিজিট কার্ডের দিকে হাত বাড়ালেন ড. আলমাস খান। কার্ডে লেখা রোগীর ইনফরমেশনে কিছুটা বিরক্তি এসে ভর করলো ডিউটির এই শেষ বেলায়। বয়স ২৪ এর এক তরুণী। অবিবাহিতা। ডাক্তারি পেশার অভিজ্ঞতায় তার কাছে এই বয়সের মেয়েগুলোকে বেশ বিরক্তিকরই মনে হয়। এরা একই সাথে ম্যাচিউরিটির পাশাপাশি খুব বোকা বোকা একটা ভাব করে হড়বড় করে কথা বলে যার আগাগোড়া ভালভাবে বুঝতে সময় লাগে। ফলে তাদের মাঝে একটা ন্যাকা ন্যাকা ভাব চলে আসে আর এটাই ডাক্তার সাহেবের বিরক্তির কারণ। চেম্বারের টিকিট চেকার ছেলে হাসানকে ডাক দিয়ে রোগীকে আসতে বলে আরেকটু বিরক্তিকর সময়ের প্রস্তুতি নেন তিনি। কিন্তু কিছুক্ষণ পর হাসান এসে খুশি খুশি মুখ করে বলে, ‘স্যার, আফায় তো চইল্যা গেছে। ‘ ডাক্তার সাহেব হাসানের খুশির কারণ বুঝতে পারেন। একজন রোগী কমলো মানে একটু তাড়াতাড়ি তার ছুটি পাওয়া। বেচারা ছোট মানুষ! রাত ১০ঃ০০ টা পর্যন্ত বসে বসে ছুটির জন্য সেও মুখিয়ে থাকে। তবে ডাক্তার সাহেব বেশ অবাক হোন। হাসানকে জিজ্ঞেস করেন রোগীর ডাক্তার না দেখিয়েই চলে যাওয়ার কারণ। হাসান চিন্তিত মুখ করে বলে, ‘ জানি না, স্যার। এই আফায় তো টিকিট কাটছিলো সবার আগে। আফনে চেম্বারে আইস্যা বসার পর তারে কইছি আইতে। কয় তার নাকি নার্ভাস লাগতেছে তাই পরে দেহাইবো। তারপর সেই সন্ধ্যা থেইকা সে চুপচাপ বইস্যা ছিল। একটু আগে তারে কইছি যে এইডাই শ্যাষ রোগী। তারপরই আফার পালা। এহন যাইয়া দেহি সে চইল্যা গ্যাছে।’
.
সকাল আটটায় এলার্মের শব্দে ঘুম থেকে উঠে পড়েন ডাক্তার সাহেব । তীক্ষ্ণ এলার্মের সুইচ টিপে বন্ধ করে আলসেমি মাখা আরও কিছুক্ষণ ঘুমের বিলাসিতার জীবন তার নয়। তড়িঘড়ি করে ঘুম থেকে উঠে চুলায় চায়ের পানি বসিয়ে তার শুরু হয় প্রতিদিনের ব্যস্তময় দিন। ফ্রেস হয়ে ডিউটির জন্য রেডি হয়ে চা আর টোস্ট দিয়ে সকালের নাস্তা সেরে নেন। ‘কাশিপুর শিশু হাসপাতাল ও মাতৃসদন’ – এর তিনি মেডিকেল অফিসার। সকাল ৯ঃ০০ টা থেকে ডিউটি। এর মধ্যেই তাকে পৌঁছাতে হয়। হাসপাতালের পাশেই একটা দখিন মুখী ফ্ল্যাটে তার একাকী বসবাস।
.
ডাক্তার সাহেব দীর্ঘদেহী মানুষ। বয়স পয়ত্রিশ ছুঁই ছুঁই তবে দেখে বোঝার উপায় নেই। শ্যামলা বর্ণের মানুষটির চশমার আড়ালের তীক্ষ্ণ একজোড়া চোখ আর এক মাথা ভর্তি এলোমেলো ঝাকড়া চুল মানুষকে বেশ আকর্ষণ করে। তিনি হাসপাতালে পৌঁছাতে পৌঁছাতে রোগীর ভীড় জমে যায় ততক্ষণে। চেম্বারে গিয়ে বসতেই শুরু হয় রোগী দেখা। টানা বেলা ১ঃ০০ টা পর্যন্ত দম ফেলানোর ফুরসত নেই। মাঝে মাঝে চরম বিরক্তি লাগে। প্রতিদিনের এই গৎবাঁধা ডিউটিতে হাপিয়ে ওঠেন। তবে করার নেই কিছুই। হাসপাতালে আসলে বোঝা যায় দেশের কত মানুষ অসুস্থ!
.
আর দশটা সরকারি হাসপাতালের মত ডক্টর আলমাসের চেম্বারটাও সাদামাটা। দরজায় একটা সাদা পর্দা ঝুলানো। দরজার ওপাশে সারি করে রাখা কাঠের বেঞ্চিতে বসা রোগীদের ভীড়। ৯ঃ০০ টা থেকে শুরু করে বেলা ১ঃ০০ টা পর্যন্ত টানা রোগী দেখেও শেষ করা যায় না এমন অবস্থা! প্রেসক্রিপশন লিখতে লিখতে চোখ তুলে তাকানোর সময় তার নেই। তবে আজ কেও একজন বেশ মনোযোগ দিয়ে তাকিয়ে আছে তার দিকে এমন একটা অনুভূতি হচ্ছে বারবার। চেম্বারে সিরিয়ালি আসা রোগী আর টিকিট চেকার লোকটি ছাড়া তো আর কেও নেই। তবে বারবার কেন এমন মনে হচ্ছে?
.
সন্ধ্যার পর নিজের প্রাইভেট ক্লিনিকে এসে বসেন ডাক্তার সাহেব। আজকেও শেষ রোগীর কার্ডের দিকে ক্লান্তমাখা হাত বাড়ান। ওই রোগীটা দেখা হলেই ব্যস্তময় আরেকটি দিনের সমাপ্তি। রোগীর ইনফরমেশন বেশ পরিচিত মনে হল তার। আরে! এ তো কালকের রোগীটাই। নাম – লিনি। বয়স – ২২। কালও এ শেষ রোগী ছিল আর না দেখিয়েই চলে যাওয়ায় মনে আছে তার। তিনি হাসানকে ডেকে রোগীকে আসতে বলেন। কিন্তু কালকের মত আজও হাসান এসে বড় মাপের একটা হাসি দিয়ে বলে, ‘স্যার, আফায় তো চইল্যা গ্যাছে। আইজক্যাও সে সবার আগে টিকিট কাটছে কিন্তুক না দেখাইয়্যা বইস্যা আছিল এতক্ষণ। এহন দেহি আফায় নাই।’ ডাক্তার সাহেব একইসাথে বিরক্ত ও অবাক হোন।
.
এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি চলে আরও চার- পাঁচদিন। প্রতিদিনই মেয়েটি সবার আগে এসে টিকিট কেটে বসে থাকে। কিন্তু ডাক্তারের সাথে দেখা করে না। ৩ ঘন্টা বসে থেকে তার আগের শেষ রোগী যখন ডাক্তারকে দেখাতে রিসেপশন থেকে উঠে চেম্বারে যায়, তখনই সে টুক করে বের হয়ে আসে। এই ঘটনায় হাসান খুশি হলেও ডাক্তার সাহেব খুব বিরক্ত হোন। সমস্যা কোথায় মেয়েটার? দেশের কত মানুষ না খেয়ে আছে! আর প্রতিদিন এমন পাঁচশো টাকা ভিজিট দিয়ে নাটক করার মানে হয়? আসলেই এই বয়সের মেয়েগুলো বিরক্তিকর!
.
হাসপাতালে ডিউটির সময় কেউ একজন নজর রাখছে এমন অনুভূতি দিনদিন বাড়ছে ডাক্তার সাহেবের। কিন্তু কে সে? কেন এমন মনে হয়? কে তার দিকে এমন মনোযোগ দিয়ে তাকিয়ে থাকবে?
.
আজকে নিজের ক্লিনিকে এসেই তিনি হাসানকে ডাক দিলেন। জিজ্ঞেস করলেন সেই মেয়েটি আজও এসেছে কিনা। হাসান জানায় মেয়েটি এসেছে এবং আজও সবার আগে টিকিট কেটেছে। ডাক্তার সাহেব বলেন, ‘তুমি ১ নম্বর সিরিয়াল ডাকার পর মেয়েটি যখন বলবে যে সে আসবে না আর তার পরের জনকে ডেকে নিতে বলবে তখন তুমি বলবে ডাক্তার সাহেব আপনাকে ডেকেছে। সে আসতে না চাইলে জোর করেই নিয়ে আসবে।’ হাসান সম্মতি জানিয়ে চলে যায়।
.
মেয়েটিকে ঢুকতে দেখে ডাক্তার সাহেব বেশ চমকালেন। তার ধারণা অনুযায়ী এই বয়সের মেয়েরা নিজেদের খুব বেশি সুন্দরী মনে করে। আর এই মেয়ে যে ফাজলামো শুরু করেছে কয়েকদিন হলো, তাতে তিনি ভেবেছিলেন এই ন্যাকা ভাব একটু বেশিই হবে। কিন্তু না, মেয়ে রূপবতী। চোখ ধাঁধাঁনো রূপবতী৷ মেয়েটি ধীর পায়ে এসে বসে ডাক্তার সাহেবের সামনে। মেয়েটির চোখের নিচে কালি। দীর্ঘদিনের রাত জাগার চিহ্ন। তার মায়া মায়া চেহারায় ডাক্তার সাহেবের বিরক্তি উবে যায়। তিনি ধীর স্বরে বলেন, ‘ মিস লিনি, আপনার সমস্যার কথা বলুন।’ লিনি কিছু বলে না। চুপচাপ কোলের উপর ফেলে রাখা হাতের দিকে তাকিয়ে বসে থাকে। বেশ কিছু সময় পার হয়ে যায়। ডাক্তার সাহেব তাড়া দেন, ‘ কী হলো? বলুন আপনার কি সমস্যা? আপনি কেন প্রতিদিন এসে না দেখিয়েই চলে যান?’ এ কথায় চোখ তুলে তাকায় লিনি। গভীর বিষাদমাখা দুটি চোখ মেলে ব্যাকুল হয়ে বলে, ‘ আমি ঘুমোতে পারছি না, ডাক্তার সাহেব!’ লিনি যেন একটু কাঁপছে। চোখ দুটি লাল। ডাক্তার সাহেব শুনে বলেন,’ কেন ঘুমোতে পারছেন না? ‘ লিনি এবারেও উত্তর দেয় না সাথে সাথে। নিজের হাতের দিকে তাকিয়ে থাকে চুপচাপ। তারপর কিছুক্ষণ পর বলে, ‘ স্বপ্ন! অদ্ভুত অদ্ভুত সব স্বপ্ন। ওরা আমাকে ঘুমাতে দিচ্ছে না ডাক্তার সাহেব! আমি কিছুতেই ঘুমাতে পারছি না।’ ডাক্তার সাহেব এবার বেশ অবাক হোন। মেয়েটির জন্য মায়াও লাগে কিছুটা। তিনি মোলায়েমভাবে বলেন, ‘দেখুন মিস লিনি, আমি একজন চাইল্ড স্পেশালিষ্ট। কোন সাইক্রিয়াটিস্ট নই। আপনি একজন ভাল সাইক্রিয়াটিস্টকে দেখান। আশা করি সব সমাধান হয়ে যাবে। আপনি চান তো আমার পরিচিত ভাল কয়েকজন সাইক্রিয়াটিস্টের রেফারেন্স দিতে পারি।’
‘কোন সাইক্রিয়াটিস্টের রেফারেন্স লাগবে না। আপনাকেই আমার ট্রিটমেন্ট করতে হবে’, বলে আর কোনো কথার সুযোগ না দিয়েই তাড়াহুড়ো করে চলে যায় লিনি। এমন আচরণে ডাক্তার সাহেব আরও বেশি অবাক হোন।
.
তারপর অনেকদিন আর মেয়েটির কোন খবর নেই। ব্যস্ততার চাপে ডাক্তার সাহেব এ ঘটনা ভুলেই গিয়েছেন। তারপর একদিন হঠাৎ প্রাইভেট ক্লিনিকে এসে বসতেই হাসান বেশ হাসি হাসি মুখ করে খবরটা জানায়। সেই আপা নাকি আজ আবার এসেছে আর প্রথম টিকিটটা কেটেছে।
.
আগের মতই ধীর পায়ে এসে ডাক্তার সাহেবের সামনের চেয়ারে এসে বসে লিনি। চোখের নিচে কালির দাগ আগের চেয়ে বেড়েছে। হাতে কালো একটা ডায়েরি শক্ত করে আঁকড়ে ধরা। এত জোরে সে ডায়েরিটা চেপে ধরেছে যে হাতের ফর্সা আঙ্গুলগুলি ফ্যাকাসে হয়ে গিয়েছে। ডাক্তার সাহেব জিজ্ঞেস করেন, ‘ কেমন আছেন মিস লিনি? আপনার ঘুম না হওয়ার সমস্যাটা কি কমেছে?’ লিনি কিছুক্ষণ চুপচাপ বসে থাকে। যেন গুছিয়ে নিচ্ছে কথা – ‘ না, কমেনি। বরং বেড়েছে।’ ‘ আপনি ট্রিটমেন্ট কেন করাচ্ছেন না? তাহলেই তো আপনি সুস্থ হয়ে যাবেন।’ লিনি বড় একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে। ‘ আমার স্বপ্নগুলো বেশ অদ্ভুত ডাক্তার সাহেব। অনেক সাইক্রিয়াটিস্টকে দেখিয়েছি, কোন কাজ হয় নি। আর আমি জানি হবেও না। ‘ ‘কেন হবে না? কী এমন স্বপ্ন দেখেন আপনি? কেন কারও ট্রিটমেন্টেও আপনি সেরে ওঠেননি?’ এবার লিনির চোখে একটু রহস্যময় ভাব এসে ভর করে। হাতের ডায়েরিটা ডাক্তার সাহেবের দিকে এগিয়ে দিয়ে বলে, ‘ আমার দেখা প্রতিটি অদ্ভুত স্বপ্ন এতে লেখা আছে। এক ডক্টরের সাজেশনে আমি এগুলো লিখেছিলাম ট্রিটমেন্টে হেল্পের জন্য। আপনি কি প্লিজ এটা স্টাডি করে বলবেন কেন এত সাইক্রিয়াটিস্ট দেখিয়েও আমার অসুখ সারছে না?’
যদিও এসব তার কাজ না, তবুও কৌতূহল বশতই ডায়েরিটা নিলেন ডাক্তার সাহেব।লিনি আবার আসবে বলে চলে যায়।
.
রোগী দেখা শেষ করে বাসায় ফেরার পর সময়টুকু ডাক্তার সাহেবের একবারেই নিজস্ব। তিনি ফ্রেস হয়ে রাতের খাবার খেয়ে কিছুক্ষণ ফেসবুকিং করেই নিজের ল্যাপটপটা নিয়ে বসেন। মুভি দেখা তার নেশা। অবসর সময়টুকু তিনি মুভি দেখেই কাটান।
.
বেশ অদ্ভুত একটা স্বপ্ন দেখে ঘুম ভেঙে যায় ডাক্তার সাহেবের। মুভি দেখতে দেখতে কখন ঘুমিয়ে পড়েছিলেন খেয়াল নেই। ঘুম ভাঙার পরও স্বপ্নের রেশটা কাটেনি। স্বপ্নে তিনি ডিউটিতে যাওয়ার জন্য তাড়াহুড়ো করে রেডি হচ্ছিলেন। নাস্তা শেষে কফি কালার একটা শার্ট গায়ে চাপিয়ে বের হতে যেতেই সামনে এসে দাঁড়ালো লিনি। আরে! এই মেয়েটা এখানে কেন? কেমন বউ বউ লাগছে মেয়েটিকে। লিনির হাতে ধবধবে সাদা একটি শার্ট। সে তার রূপের ছটা ছড়িয়ে ঝলমলে একটা হাসি দিয়ে শার্টটা এগিয়ে দেয় ডাক্তার সাহেবের কাছে। ‘রোগী দেখে দেখে তুমি খুবই কাঠখোট্টা হয়ে গিয়েছো ডাক্তার বাবু। এসব কালারের শার্ট পরে কেও হাসপাতালে যায়? আজকে থেকে হাসপাতালের ডিউটিতে তুমি প্রতিদিন ধবধবে সাদা শার্ট পরে যাবে যেন তোমার পরিচ্ছন্ন ভাব দেখে রোগী অর্ধেক সুস্থ হয়ে যায়।’
এমন অদ্ভুত স্বপ্নের মানে কী? আর দুইদিনের পরিচয়েই বা সে মেয়েটিকে স্বপ্নে দেখবে কেন? নানা চিন্তায় আর ঘুম আসে না তার। উঠে পানি খেতে যেয়েই মনে পরে লিনির দেওয়া ডায়েরিটার কথা। ব্যস্ততার চাপে ওটার কথা তো সে ভুলেই বসে আছে।
ডাক্তার সাহব ডায়েরিটা নিয়ে তার স্টাডিরুমে চলে আসেন৷ বেশ আয়েস করে বসে ডায়েরির পাতা উলটিয়েই বিরক্ত হয়ে যান তিনি। কিছুই লেখা নেই। ফাঁকা ডায়েরি। মেজাজ এবার সত্যিই গরম হয়ে ওঠে তার। এমন ফাজলামোর কোনো মানে হয়? পাতা উল্টাতে উল্টাতে একদম শেষে চলে আসেন তিনি। না, পুরো ডায়েরীই ফাঁকা না। শেষদিকে কিছু লেখা আছে তাহলে।পড়তে গিয়ে থমকে যান ডাক্তার সাহেব। আজকে তার দেখা স্বপ্নটাই হুবুহু সেখানে লিখে রেখেছে পাগলি মেয়েটি। তাহলে লিনিও কি এই একই স্বপ্ন দেখে?
.
তারপর অনেক জল গড়িয়েছে। একদিন সত্যি সত্যি সকালে ডাক্তার সাহেব নাস্তা শেষে ক্যাটকেটে রঙের একটা শার্ট গায়ে চাপিয়ে ডিউটির জন্য তৈরি হচ্ছিলেন। এমন সময় লিনি রান্নাঘর থেকে হন্তদন্ত হয়ে ছুটে এলো। ড্রয়ার থেকে একটা সাদা শার্ট বের করে এগিয়ে দিলো ডাক্তার সাহেবের দিকে। শার্টটি দেখে অবাক হয়ে তাকালেন তিনি লিনির দিকে। ফিক করে হেসে দিল লিনি। শুরু হলো আরেকটি ভালবাসাময় ব্যস্ততার দিন।

Facebook Comments Box
প্রতিধ্বনি
প্রতিধ্বনিhttps://protiddhonii.com
প্রতিধ্বনি একটি অনলাইন ম্যাগাজিন। শিল্প,সাহিত্য,রাজনীতি,অর্থনীতি,ইতিহাস ঐতিহ্য সহ নানা বিষয়ে বিভিন্ন প্রজন্ম কী ভাবছে তা এখানে প্রকাশ করা হয়। নবীন প্রবীণ লেখকদের কাছে প্রতিধ্বনি একটি দারুণ প্ল্যাটফর্ম রুপে আবির্ভূত হয়েছে। সব বয়সী লেখক ও পাঠকদের জন্য নানা ভাবে প্রতিধ্বনি প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। অনেক প্রতিভাবান লেখক আড়ালেই থেকে যায় তাদের লেখা প্রকাশের প্ল্যাটফর্মের অভাবে। আমরা সেই সব প্রতিভাবান লেখকদের লেখা সবার সামনে তুলে ধরতে চাই। আমরা চাই ন্যায়সঙ্গত প্রতিটি বিষয় দ্বিধাহীনচিত্ত্বে তুলে ধরতে। আপনিও যদি একজন সাহসী কলম সৈনিক হয়ে থাকেন তবে আপনাকে স্বাগতম। প্রতিধ্বনিতে যুক্ত হয়ে আওয়াজ তুলুন।
RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments