জ্বীনের তাণ্ডব 

1
465

ওমর ফারুক

নানা মারা যায় ২০০৮ সালে।তাকে গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে মাটি দেওয়া হয়।কারন,নানার ওসিহত ছিল।

নানার গোসল এবং জানাজা শেষ করে অ্যাম্বুলেন্সে উঠিয়ে গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।গ্রামে পৌঁছাতে আনুমানিক রাত এগারোটা বেজে যায়।নানাকে দাফন করে,রাতের খাবার কমপ্লিট করে নেই।এবার ঘুমানোর পালা।সবাই ক্লান্ত ছিল তাই সবাই সবার জায়গামতো ঘুমিয়ে পড়ল।মাঝরাতে চালের উপর বিকট এক শব্দ হলো,সে শব্দে সবার ঘুম ভেঙ্গে যায়।বাহিরে চার-পাঁচটা বিড়াল একাধারে চেচাচ্ছে।আবার বড় বড় হাড়ি পড়ার শব্দ।সবাই ভয় পেয়ে গেল।ঘরপুরা অন্ধকার ছিল তাই ব্যাপারটা ভয়ংকর আকৃতি ধারণ করে।সবাই ভয়ে কাতর হয়ে যায়,মুখ থেকে কোনো শব্দ বের হচ্ছিল না।
তখনই ফজরের আজান শুরু হয়ে যায়,আযানের সাথে সাথে পরিবেশ শান্ত হয়ে যায়।

লিখুন প্রতিধ্বনিতেলিখুন প্রতিধ্বনিতে

পরের দিন ঘটে আরও ভয়ংকর ঘটনা।তখন রাত তিনটা বাজে,হঠাৎ করে সবার ঘুম ভেঙে গেল একসাথে।তারা শুনতে পেল রান্না ঘর থেকে কে যেন হেঁটে আসছে।সবাই তখন ভয় পেয়ে যায়।আমরা পাঁচ দিন ছয় রাত গ্রামে ছিলাম।এসব ঘটনা ঘটতে দেখে,ঐ এলাকার বড় পীর সাহেবকে ডেকে আনা হলো।সে এসে বলল,এ বাড়িতে একটা জ্বিন বাসা পেতেছে।ঐ জ্বিন নাকি লাশ নিয়ে আসার সময় আমাদেরকে দেখে আমাদের পিছু পিছু চলে এসেছে।হুজুর অনেক দোয়া পড়ে বাড়িটা বন্ধ করে দিয়ে যায়।তারপর আমরা চলে আসি।পড়ে নাকি আর কোন ঘটনা ঘটেনি।এটা কোন গল্প নয়,বাস্তব একটা ঘটনা।

Previous articleরুহানির ঘর
Next articleফুলকে যে ভালোবাসে
প্রতিধ্বনি
প্রতিধ্বনি একটি অনলাইন ম্যাগাজিন। শিল্প,সাহিত্য,রাজনীতি,অর্থনীতি,ইতিহাস ঐতিহ্য সহ নানা বিষয়ে বিভিন্ন প্রজন্ম কী ভাবছে তা এখানে প্রকাশ করা হয়। নবীন প্রবীণ লেখকদের কাছে প্রতিধ্বনি একটি দারুণ প্ল্যাটফর্ম রুপে আবির্ভূত হয়েছে। সব বয়সী লেখক ও পাঠকদের জন্য নানা ভাবে প্রতিধ্বনি প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। অনেক প্রতিভাবান লেখক আড়ালেই থেকে যায় তাদের লেখা প্রকাশের প্ল্যাটফর্মের অভাবে। আমরা সেই সব প্রতিভাবান লেখকদের লেখা সবার সামনে তুলে ধরতে চাই। আমরা চাই ন্যায়সঙ্গত প্রতিটি বিষয় দ্বিধাহীনচিত্ত্বে তুলে ধরতে। আপনিও যদি একজন সাহসী কলম সৈনিক হয়ে থাকেন তবে আপনাকে স্বাগতম। প্রতিধ্বনিতে যুক্ত হয়ে আওয়াজ তুলুন।

1 COMMENT

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here