সোহেল রানা
একটা শূন্যতা আর হাহাকার গ্রাস করে
হাঙরের ক্ষুধা হয়ে অনলস গোগ্রাসে আমার;
ধীরে ধীরে গিলে নিচ্ছে সমাজ-সংস্কৃতি-কৃষ্টি কালচার–
এমন কি সকালের শিশির এবং গোধূলি-রক্ত রঙও
অভাব,
অভাব আমার স্পর্শ করেনি বাস্তবিকই।
(অভাব নাস্তি ভাতমাছ পোশাক আশাক ও দৈনন্দিন জীবন-সরঞ্জামাদির–
বন্যা, দুর্ভিক্ষ ও খরার মতো কোনও অপায়ও)
তবে এ-কথাও সত্য : অভাবের ঘর্মাক্ত শরীর লতিয়েই
আজ আমি চিকচিক
এক দিনমজুরও অর্ধ কর্মদিবস উপার্জন সাপেক্ষে
তিন কর্মদিবস উদরপূর্তি-নিশ্চিন্ত-ভাতঘুম–
নির্মিত বড়ো বড়ো প্রাসাদ,
কংক্রিটের পথঘাট, উন্নয়ন রোল!
নির্মিত হচ্ছে মানবসভ্যতার প্রাচীর।
আমার খুব ইচ্ছে করে
সেখানে ফিরে যেতে, যেখানে মানুষ আর মানবতা
আর জীবজন্তু ও জীবনের আপেক্ষিক সৌন্দর্য, সৌহার্দ্য
এবং সম্প্রীতির বাঁধন ছিল অখণ্ড।
উদোম আকাশের তলে।
৮৮-র বন্যা।