-মুহাম্মদুল্লাহ বিন মোস্তফা
লাখো জোয়ান হাতে তলোয়ার নিয়ে মারতে জানোয়ার হচ্ছে আগুয়ান।
ভয় নেই তাঁদের মনে, তাঁরা বীর জনে জনে, সাহসে বলিয়ান।
একটা কামান এসে কিছু লোকের বন্ধ করলো জবান।
তা দেখে আরো কিছু লোক ভয় পেলো না, হলো তাঁদের উত্তেজিত জান।
সেই বীরদল,
এক অলৌকিক শক্তিধর যেন, ঘূর্ণিবায়ুর মতো তাঁদের বল।
এ লাড়াই একদিনের নয়! এতো তাড়াতাড়ি শেষ কিভাবে হবে?
দীর্ঘ নয়মাসে রক্ত ভেজা ঘাসে এ লড়াই শেষ হয় যবে,
হেরেছিলো কে আর জিতেছিলো কে? কোন্ সে মহাজন?
যুদ্ধের পরে তাঁদেরই তরে আধাঁর কেটে চারদিক হয়েছিলো আলোড়ন।
জিতেছিলো কোনদল?
ক্ষমতায় উচ্চ তবে মনে যারা দুর্বল? জয় তাঁদেরই যাদের শক্ত মনোবল।
এই দেশ, এই মাটি সবই শহিদদের রক্তের বিনিময়ে কেনা।
এনে দিলো তাঁরা স্বাধীন দেশের ছাঁয়াতলে মোদের, তাঁরাই বীরসেনা।
যারা বীর, যারা বীর, যারা অন্যায়ের কাছে করে না নত মাথা,
যারা জীবন দিয়েও চায় স্বাধীনতা, বিজয় তাদেরই তরে গাঁথা।
এটা কি আমার বাণী? না-না, পকৃতিই এর সবচেয়ে বড় সাক্ষ্যদাতা,
ইতিহাসের দিকে তাকিয়ে দেখো, আরো সাক্ষী তার প্রতিটা পাতা।
দেশে-দেশে, মহাদেশে, পৃথিবীর চারদিকে অন্যায় আজ করছে বিচরণ।
সৎ-অসতের ব্যবধান, শেষে তাঁর পরিণাম, লোকে ভুলে গেছে, নেই তাঁর স্মরণ।
এদিকে-ওদিকে চেয়ে দেখো লোকে করছে চিৎকার, “কই তাঁর অধিকার?
চুরিচারি-মারামারি-বাড়াবাড়ি-অত্যাচারি কবে বন্ধ হবে এসব কারবার?”
শুন সবে একদিন!
অশান্তির পরে হঠাৎ করে সবার তরে জগৎ জুড়ে আসবে ফিরে- শুভদিন।
হতে পারে আজ এ কথা পরিস্থিতির জন্য সব মিছে।
তবে জেনে নিও, দেখবে তুমি কাল এমনদিন তোমার পিঁছে।
সেদিন আসলে, ভিন্নভাষী-মাঝি-চাষী সবে মন খোলে হাসবে।
নিজের স্বার্থ, অন্যায়-অবিচার ফেলে মানুষকেই ভালোবাসবে।
সেদিন আর বেশি দূরে নয়!
যেদিন রাতের আধাঁর কেটে আবার হবে ভোর, সেদিন অতি নিকটে নিশ্চয়।
বিজয় তাঁদেরই তরে গাঁথা
বিজয় তাঁদেরই তরে গাঁথা -মুহাম্মদুল্লাহ বিন মোস্তফা
Facebook Comments Box