আজকাল সবার হাতে মোবাইল, তাই সুযোগ পেলে ডাটা অন করে ফেসবুক, ইউটিউব ভিডিও দেখা কারও সাথে কথা বলা ইত্যাদি কাজ করে থাকি।কিন্তু এর যেমন উপকারিতা আছে, আবার তেমনি অপকারিতাও আছে। কারণ বর্তমান সময়ে মানুষ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে, যেমন চোখে কম দেখা, কানে কম শোনা মাথার চুল পড়া, শরীর শুকিয়ে যাওয়া, রাতে ঘুম কম হওয়া।খাওয়ার প্রতি অনিহা, রক্ত শূন্যতা দেখা দেওয়া, পড়া লেখায় মনোযোগ না থাকা,কোনো কাজের প্রতি মন না বসা।ইত্যাদি রোগে মানুষ সমস্যায় পড়েছে। তবে মানুষ মোবাইলে প্রতি আসক্ত হওয়ায় সব চেয়ে মাথা আর শারীরিক দূর্বলতায় সমস্যার সম্মুখীন বেশি হচ্ছে।
যেমনঃ
১। দাঁড়িয়ে মোবাইল চালানো যাবে না। কারণ মাথা সামনের দিকে হেলে থাকে আর পা থেকে ঘাড় পর্যন্ত সোজা থাকে এতে মাথায় টান পড়ে মস্তিষ্ক অনাক্রম গড়ে তোলে,চাপ সৃষ্টি করে অনেক সময় পাশে থাকা লোক ডাকলেও সাড়া জাগায় না।
২। এক টানা ২ ঘন্টার বেশি কোথাও বসে মোবাইল চালানো বা গেম খেলা যাবে না, এতে মস্তিষ্ক কাজ করবে মোবাইলের প্রতি শরীর নির্বোধ ভাব চলে আসে।যখন উঠে দাড়াবেন মাথা ঘুরে উঠে কিছু সময়ের জন্য চোখ দিয়ে ঘোলাটে দেখা যায়।
৩।রাতের বেলা মোবাইলের স্কিনের আলো কমিয়ে চালাতে হবে। কারণ দিনের বেলা সূর্যের আলো বাতাস জ্বলীয় বাষ্প থাকার কারণে মোবাইলের আলো উজ্জ্বল হতে পারে না। কিন্তু রাতে পরিবেশ ঠান্ডা ও চারদিকে অন্ধকার থাকায় উজ্জ্বলতা বেশি দেখায়,যা চোখের জন্য ক্ষতি কারক রশ্মি।
৪ হেটে হেটে মোবাইল চালযাবে না,দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। আবার সাইকেল বা মোটর সাইকেল চলা অবস্থায় কথা বলা যাবে না। প্রয়োজনে হলে কোনো এক জায়গায় থেমে কাজ শেষ করতে হবে।
৫।গর্ভবতী মায়ের শারীরিক,মানসিক চাপ সৃষ্টি বা স্বাভাবিক জীবন যাপনে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে, তাই গর্ভবতী মায়ের মোবাইল বেশি ব্যাবহার না করাই ভালো।
স্বাধীন মালিক
মিঠাপুকুর, রংপুর