কবিতার প্রতিধ্বনি – কবিতার এক পাতা
প্রতিধ্বনির সাপ্তাহিক আয়োজন
২৮/০২/২০২৫ ||শুক্রবার
- সুশান্ত হালদার
- ইকবাল হোসেন রোমেছ
- আব্দুল্লাহ আল মুহসিন
- তাসনিম মীম
- মোঃ আব্দুল রহমান
- সামিউল ইসলাম
- রজব বিন হুসাইন
- প্রবক্তা সাধু
- রানা জামান
- ইসমত আরা সুপ্তি
- সোহেল রানা
- বাপী নাগ
- মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ্
- ফেরদৌস জামান খোকন
- মোঃ নূরনবী ইসলাম সুমন
- মোঃ সৈয়দুল ইসলাম
- মুহাম্মদ তমিজুল হক রিপন
- মাহবুব-এ-খোদা
- ফরিদ আহমদ ফরাজী
- নার্গিস আক্তার
ই-পেপার পড়তে নিচের লিংকে ক্লিক করুন অথবা এই পাতা থেকেই পড়ুন
আমিও বাল্মিকী হতাম একুশ অবিচ্ছেদ্যে
সু শা ন্ত হা ল দা র
যে ক্ষতি হবার হয়ে গেছে
প্রতিমা বিসর্জন শেষে গঙ্গা-স্নানে ঘরে ফেরে সবাই
মন্দিরবেদী শূন্য পড়ে আছে
সন্ধ্যাবাতি যে দেবার
সে দিয়ে গেছে বেলপাতা ফুল ভক্তি সহযোগে,
লাটিম ঘোরাবার সখে
বৃক্ষডালে বসে এখন কালিদাস সেজেছে মেঘদূত আকাশে
যে ক্ষতি হবার হয়ে গেছে
যে বা যারা শ্মশান-যাত্রী ছিল মওকা মেটাবার
তারাও আজ সুদূর অভিযাত্রী- দেশ থেকে দেশান্তরে,
মাটি কাটা উইপোকা হলে
আমিও বাল্মিকী হতাম একুশ অবিচ্ছেদ্যে!
অবন্তিকা -২
ইকবাল হোসেন রোমেছ
তোমার ট্রেন লাইনে কাটাপড়া
কোন এক কবি কেন এসেছিল এই রাস্তায়?
আর নিখোঁজ হয়ে যাওয়া তারকার সন্ধ্যানেই বা কেন যুক্ত হলো নাসা!
তারপর পুড়ে যাওয়া লস অ্যাঞ্জেলেসে কেন তোমার ছবি খূঁজে ফেরে পথিক।
উত্তর দাও ‘অবন্তিকা’
আমি বন মানুষের শহরে কেন?
প্লাকার্ড হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি
বিংশ শতাব্দীর কথিত মানবতাব পক্ষে!
ঐ যে আন্দোলনে শহীদ হয়ে যাওয়া দেশপ্রেমিক,
মনে আছে ১৭৫৭’র মিরজাফরদের
যেখানে নবাব লড়ে যায় আর ভীরুরা পালিয়ে বাঁচে।
কোন উত্তর আছে তোমার ‘অবন্তিকা’
ঐ যে গাজার রাস্তায় বোমা বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেওয়া হলো হাজারো নারী,শিশু, যুবক,বৃদ্ধ।
ঐ যে আজ চুক্তি হলো কথিত মানবতাব।
আবার তারা তৈল বিক্রি করবে আর আমাদের বুকের উপর দিয়ে চলে যাবে ইসরাইলি ট্যাংক….
আর নয়
আব্দুল্লাহ আল মুহসিন
আর নয় রক্ত আর নয় খুন
আর নয় গুম আর নয় নয় আগুন
আর নয় হত্যা আর নয় লুট
আর নয় ক্রস ফায়ার আর নয় শুট
আর নয় বিভেদ আর নয় ঘুষ
আর নয় লিপ্সা আর নয় দোষ
আর নয় দুর্নীতি আর নয় বৈষম্য
আর নয় বিদ্বেষ আর নয় আসাম্য
আর নয় ডাকাতি আর নয় ভোট চোর
আর নয় মাদকতা আর নয় অসুর
আর নয় অস্রবাজি আর নয় দাংগাবাজ
আর নয় লুটেরা আর নয় রংবাজ।
রঙিন স্পন্দন
তাসনিম মীম
শীতের শুষ্কতা কাটিয়ে এলো নতুন পল্লব
কুঁড়ি ও ফুলের মেলা,
চারিদিকে আজ রঙ্গিন বসন্তের শোভা।
গাছে গাছে নতুন পাতা
শিমুল পলাশের লাল আভা,
শিহরিত করে মন কৃষ্ণচূড়ার ঐ লাল দোলনা।
বসন্ত মানেই জীবনের স্পন্দন
প্রকৃতির নবজাগরণ,
গান ও কবিতার মোড়ক উন্মোচন
ভালোবাসা ও কাঙ্খিত স্বপ্নের যেন পুনরুজ্জীবন।
বসন্ত মানেই প্রকৃতির ক্যানভাসে রঙের ছোঁয়া,
জীবনের প্রতিটি কোনায় কোনায় নতুন আলোর আশা।
পলাশের আগুন আর কোকিলের গান,
সৌরভ আর মৃদুমন্দ বাতাসে
কবিতা ফিরে পায় নতুন প্রাণ।
শপথ
মোঃ আব্দুল রহমান
গোলাপী মন অসুস্থ
পাপড়িরা কাঁদছে, রাতভর যন্ত্রণায় কাতর
লক্ষী-পেঁচা তবুও অলক্ষীকেই দেখে
ভোরের শিশির মোরগের ডাকে তিক্ত ও বিষাক্ত ফণা
মধ্যরাতে শপথের ভাঙনে
চাঁদের জোছনা হলো কলুষিত
অনুভূতির বিছানায় আগুন
মন-ময়ূরীর পেখম জ্বলছে তুষের আগুনে
তবুও তারাদের প্রতিবিম্ব
অমর শিল্পী ঝিঁঝি পাশে নেই আজ
চিরন্তন আলো ফিকে, জোনাকিরা গুহায় লুকিয়ে
শপথের ঘায়েলে পুবের রবি ডুবলো পাড়ে…
ভুলশয্যা
সামিউল ইসলাম
জেনেছি কোনো এক সন্ধ্যায়,
গিয়েছ চলে অবিদিত এক পাড়ায়।
মুছে দেওয়ার চেষ্টায় স্মৃতিদের দেয়ালে,
রঙ লেপানো চলছে।
থাক!
অতটুকু আমি শুধরে নেবো।
আজ মধ্যরাতে অনেক ঘষামাজা আছে,
তুমি সেখানে মন দাও।
এই রাতগুলোতে,
স্মৃতিদের গলা টিপে হত্যা করতে হয়!
স্বপ্নের ঠিকানায়
রজব বিন হুসাইন
দুনিয়ার কোনো রমণীর সাথে নয়,
হৃদয়ে যতো ভালোবাসা আছে
জান্নাতি সব হুরদের কাছে
খুনসুটি খেলে গলে গলে মিলে
করে নেবো বিনিময়।
কথা হবে সব কবিতার ঢঙে
অনুরাগ মাখা সাত রাঙা রঙে,
বসে দুজনায় পাল তোলা নায়ে
চলে যাবো কোনো অচেনা গাঁয়ে
স্বপ্নের ঠিকানায়।
খোদার পাঠানো পয়গাম পেয়ে
প্রেয়সীকে বুকে জড়িয়ে নিয়ে
তিলোত্তমা গালে চুম্বন দিয়ে
দু’বাহুর মধু আলিঙ্গনে
মেনে নেবো পরিণয়।
ভালোবাসা রবে চির অমলিন,
শতভাগ খাঁটি সন্দেহহীন,
চির-সুন্দর দীপ্ত মহিম,
শুরু হবে পূতপবিত্র এক
জীবনের অধ্যায়।
ভাষার জন্য
প্রবক্তা সাধু
ভাষা নিয়ে মাতামাতি
করছে কেবল একটি জাতি
কোন সে জাতি কোন সে ভাষা
বাঙালি আর বাংলা ভাষা।
ঊনিশশতো বাহান্নতে
ভাষার জন্য ঢাকার পথে
আন্দোলনে ছাত্র-জনতা
দেখলো পাকি বর্বরতা।
একুশে ফেব্রুয়ারির দিন
বাঙালিরা দুঃখে মলিন
রফিক শফিক ছালাম জব্বার
বরকতেরে করলো সংহার।
ভাষার জন্য শহীদ হলো
রাষ্ট্র ভেঙ্গে দু-ভাগ হলো
এমন নজীর এইনা ভবে
দেখছে কোথায় কেবা কবে?
দুঃখে ভরা ফাগুন দিনে
বাংলা এলো রক্ত ঋণে
সেই একুশে ফেব্রুয়ারি
আমরা কি ভাই ভুলতে পারি?
ঘড়ির কাঁটায় দোলে সময়
রানা জামান
ঘড়ির কাঁটায় দোলে বাড়তে থাকে
রুহুর বয়সচক্র পল হতে পল
উদ্দাম টেনেও থামে না কাঁটার গতি
ক্ষণকাল কিংবা আরো কম
ঘড়ির কাঁটার ক্ষমতা কিসের?
প্রকৃতির হাত অবিনাশী
সূর্যের ঘোড়েলে জীবনের চাকা
পিছিয়ে যাবার প্রচেষ্টা বিফলে
চোখ খোলা থেকে কলুর বলদ
ঘাণি টানে সভ্য সমাজের ছদ্মে
লাঠিমের সূতো কোথাও কাঠিন্যে
আটকে আছে, ছিঁড়ে না কখনো।
রমাদান
ইসমত আরা সুপ্তি
রমাদানে জান্নাতের দ্বার
খুলে দেবেন রবে,
কবরের ওই কঠিন আজাব
বন্ধ রাখা হবে।
প্রতি কাজের সওয়াব হবে
বৃদ্ধি বহু গুণে,
তাই কুরআনের সাথে থাকো
পড়ে কিংবা শুনে।
প্রতি নফল কাজের সওয়াব
হবে ফরযসম,
এই সুযোগে হয়ে ওঠো
রবের প্রিয়তম।
কাজে কামে প্রতিক্ষণে
জিকির থাকুক জিভে,
রবের স্মরণ কভু যেন
মন থেকে না নিভে।
এই রমাদান যেন আমার
নাজাত বয়ে আনে,
এই দোয়াটা সারাক্ষণই
করছি মনে প্রাণে।
একুশের কবিতা শহিদ মিনার
সোহেল রানা
রক্তে রাঙানো বুক!
যে সহস্র প্রাণের উদীপ্ত মুখ,
সূর্যের নির্মলতর রূপ।
আকাশ গহিন অন্ধকারের অতলে!
নক্ষত্র শোকে বিবর্ণ! মোমবাতির
ঝড়োকান্না এবড়োখেবড়ো শিখায় জ্বলছে…
প্রতীক্ষার প্রহরে বাগানের ফুল,-
হৃদপিঞ্জর চন্দনকাঠের চিতায় দাউদাউ জ্বলছে!
সেই আগুন ঢেলে দেবে!
কখন রাত্রির মধ্যপ্রহর অতিক্রম করবে
ভোর;
আকাশে রক্তের গন্ধ!
ধূসর ডানার চিল এলোমেলো মাতালের মতো!
বাতাসে করুণ স্পন্দন ধ্বনিত প্রতিধ্বনিত-
শান্ত সাগরে অশান্ত ঢেউ : রক্তস্রোতে দাঁড়িয়ে আছে মা!
আর পাহাড়-শূন্যতায় খাঁ খাঁ হৃদয়ে বাবা!
প্রেয়সী শীতে-ভিজা কানাকুয়োর চোখ!
(যেমন বেতঝোপের-শীষে ডুবায় আটকা-পড়া কানাকুয়া)
বোনের চোখে অগ্নিশিখা- ধুলো বাষ্প হয়ে উড়ছে…
ভাইয়ের বুকে বিদ্ধ বুলেটে সহোদরের হৃদয় খান খান!
তাই কপালে কাফনের কাপড় বাঁধা- রক্তাভা,
বুকে কালো ব্যাজ!
মাতৃভাষা
বাপী নাগ
বাংলা ভাষা আমাদের
প্রাণের ভাষা।
আমাদের বাংলা ভাষা
যে মাতৃভাষা।
যে ভাষাতে কথা বলা
সে ভাষায় স্বপ্ন।
সে ভাষাকে নিতে হবে
আমাদেরই যত্ন।
বীর শহীদ আত্মত্যাগ
এই মাতৃভাষী।
এই ভাষায় কত মায়ের
মুখের হাসি।
অমর একুশে শহীদের
এই জয় গান।
এ ভাষার মান আনতে
কত রক্তদান।
মোদের এই মাতৃভাষা
মন থেকে মানি।
এই ভাষাতে কত শান্তি
আমরা তা জানি।
এই বিশ্বজুড়ে রয়েছে
কত ভাষাভাষী।
আমার এই মাতৃভাষা
কত ভালোবাসি।
আগুনঝরা
মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ্
ফাগুনের ঝাঁঝমাখা দুপুরের
আঁচলটুকু জড়িয়ে আছে
জলবিম্বের মতো;
শুদ্ধতার আদুল গায়ে মমতার মগ্ন শিশির।
আগুনের ভেতর থেকে
উঠে আসা মিছিলের মুখ,
চিরকালের অস্থির রাজপথ থেকে প্রকাশিত আগুনকাব্যে অভিন্ন বুনট; দেখেশুনে পুরো আকাশটার অবয়ব সাজিয়ে দিয়েছে একক দুপুর।
তপ্তপলাশের বসতি কতিপয় নগ্নতা,আর উন্মাদনা ঝলসে দিল।
অনুপম গেরুয়া সুখ পলল ছন্দে ছন্দে, স্বপ্নবুনন বুক চিতিয়ে।
বিস্মৃতির অতলে নিরঙ্কুশ বিদ্বেষের ছলাকলা প্রতিদিনই, পরিপুষ্ট করে দ্যায় দুর্মুখার ভবিতব্য।
ক্ষমা
ফেরদৌস জামান খোকন
ভুল বুঝে কেউ চাইলে ক্ষমা
ক্ষমা তুমি করে দাও,
বিনিময়ে প্রভুর রহম
বান্দা তুমি নিয়ে নাও।
মানুষ জাতি নানা রকম
কর্ম ভবে করে যায়,
শয়তান থাকে ধোকার মূলে
পিছন থেকে করে ধায়।
কথার দ্বারা কাজের মাঝে
যদি তুমি কষ্ট পাও,
বিবেক বুদ্ধি সবই আছে
ক্ষমা তবে করে যাও।
ক্ষমা চাইলে করবে ক্ষমা
ক্ষমা করা মহৎ কাজ,
ভুলের জন্য ক্ষমা করা
নেই তো তাতে কোন লাজ।
আসুন সবাই আজকে থেকে
সৃষ্টির সেরা মানুষ হই,
ক্ষমা করার গুণের কথা
বন্ধু তোমায় ডেকে কই।
ইতিহাসের শিক্ষা
মোঃ নূরনবী ইসলাম সুমন
ইতিহাসের পাতা খুলে দেখো রক্তাক্ত সে গল্প,
ভুলের মাঝে দগদগে ক্ষত, নিপীড়িতের দলট।
পায়ের নিচে চাপা দিয়ে কাঁদে কত শত প্রাণ,
ব্যর্থতার ছায়ায় ঢাকা জনপদের গান।
স্মৃতির মশাল নিভে গেলে আঁধার নামে ঘোর,
স্বৈরাচারী শকুন আসে শাসন করতে চোর।
ভুলের পুনরাবৃত্তি যে জাতির গ্লানি বয়ে আনে,
নতুন রক্ত ঝরায় তারা ধ্বংসেরই টানে।
যে ভুল ছিল বিভীষিকা, তা পুনরায় কেন?
স্বাধীন মাটিতে কেন গজায় কন্টকময় বীজ যেন?
অভিশপ্ত শাসন আসে, গিলে ফেলে জয়,
রক্তে লেখা ইতিহাস তবে কাদের জন্য হয়?
বিদ্রোহ যদি স্মৃতিহীন হয়, পথের দিশা কোথায়?
সেই তো আবার শৃঙ্খলে বন্দি দাসত্বের ছোঁয়ায়।
কেন আবার নিঃস্ব হবে, কেন কাঁদবে মা?
পৃথিবীতে মুক্ত বাতাস কি জন্ম নেয় না?
তাই আজও শপথ নেবো, ভুল করবো না আর,
ইতিহাসের পাঠ নেবো, থাকবো সদা হুঁশিয়ার।
যে ভুলে রক্ত ঝরেছিল, সে ভুল আজ নয়,
বিদ্রোহ আমার অস্ত্র হবে, চেতনার পরিচয়!
বাংলা প্রাণের ভাষা
মোঃ সৈয়দুল ইসলাম
জন্ম নিয়ে মায়ের মুখে
বাংলা ভাষাই শুনি,
বাংলা ভাষা প্রাণের ভাষা
হৃদয় মাঝেই বুনি।
বাংলা ভাষা রক্তে কেনা
বলেন মা’ জননী,
সালাম বরকত রফিক জব্বার
বাংলা ভাষার খনি।
একুশ এলেই শহীদ মিনার
যায় ভরে যায় ফুলে,
গর্ব আমার ভাষা শহীদ
কেমনে থাকি ভুলে।
বাংলা ভাষা মধুর ভাষা
তুলনা যার নাই,
এই ভাষাতেই দেশ বিদেশে
বাংলারই গান গাই।
সকল ভাষার চেয়ে সেরা
আমার বাংলা ভাষা,
এই ভাষাতেই বাঁচা মরা
শান্তি সুখের আশা।
রমজানের প্রস্তুতি
মুহাম্মদ তমিজুল হক রিপন
মুছে ফেলো অন্তর থেকে
নফ্স আম্মা বস্তুটি,
রমজান মাস আসার আগেই
সেরে নাও রমজানের প্রস্তুতি।
সেহরি খাবো রোজা রাখবো
পড়বো কুরআন কালাম,
নেক আমলের এই মাসেতে
দিবো সবাইকে সালাম।
সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি
খাবোনা কোন কিছু,
ভালো কাজটাই বাছাই করবো
থাকবোনা শয়তানের পিছু।
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়বো
আমল করবো নেক,
হাদিস মাসয়ালা তাসবীহ মুখে
বলবো আল্লাহ এক।
সন্ধ্যা হলে ইফতার খাবো
পরিবার একসাথে,
সারা জাহানের মুসলিম সবে
তারাবিতে মাতে।
এই ভাবে ত্রিশটি রোজা
পার করবো সবে,
বলা তো যায়না আমাদের
রবের ডাক আসে কবে?
আমার দেশ
মাহবুব-এ-খোদা
অপরূপ দেশ সজ্জিত বেশ
পাপড়ি বিছানো ফুল,
পুবাকাশে রবি মন কাড়ে ছবি
নেই কোনো তার তুল।
সবুজের বুকে লাল রঙ ঢুকে
আমরা পেয়েছি দেশ,
ফসলের মাঠ প্রতিদিন হাট
কী দারুণ পরিবেশ!
বাংলার কোল ইলিশের ঝোল
টেনে আনে মহাসুখ,
বটের ছায়ায় স্নেহের মায়ায়
দূরে ঠেলে দেয় দুখ।
বাউলের গান জুড়ায় এ প্রাণ
ছুটে যাই বহুদূর,
কিচিমিচি ডাক রাখালের হাঁক
কানে লাগে সুমধুর।
নদী ভরা জল করে টলমল
জেলেদের হাসিমুখ।
তবুও নিশ্চিন্তে ঘুমাই
ফরিদ আহমদ ফরাজী
আমি জানি না কীভাবে বিদায় নেবো
যমদূত কেমন আচারণ করবে!!
আমাকে নেয়ার সময়।
ওই ঊর্ধলোকে সাত আসমান ভেদ করে
কি এমন আছে? যা নিয়ে দাঁড়াবো
আমার মাবুদের কাছে?
চেনা নেই,অচেনা পথ
আলো ছিলো হাতের কাছেই
কোরান,সৎ কাজ,দ্বীন প্রতিষ্ঠার চেষ্টা
সবই ছিলো নাগালেই
সাথেতো কিছুই নেই? হতভাগা আমি।
ইমেগ্রেশনে ঈমানের পার্সপোর্ট নিয়ে
পারবো কি পাড় হতে? জানা নেই
রবের প্রতিনিধিদ্বয় প্রশ্ন করবে
উত্তর দিতে পারবো কী? জানা নেই
ডান্ডাবেড়ি পরাবে নাকি ছেড়ে দেবে, জানা নেই
সামনের পথ আলোকিত? নাকি
ঘোর অন্ধকার জানা নেই
কতো শতো বিপদ অপেক্ষা করছে
অপেক্ষা করছে যমদূত
তবুও হাসি, খাই ঠকাই, নিশ্চিন্তে ঘুমাই।
রাত দেড়টার মানুষ
সামিউল ইসলাম
একটা পুরুষ ঘর্মাক্ত গন্ধ গায়ে,
রাত দেড়টায় এলো বাড়ি।
কেউ নেই সেই জমাটবাঁধা নৈঃশব্দ্য রাত জেগে।
হাত মুখ ধুয়ে বিছানায় শুয়ে।
আজ সকালে কী হবে না হবে সব অনুচিন্তন ঘুমে।
ভোরবেলায় উঠে দেখে আবারো সব মানুষ ঘুমে।
হাত মুখ ধুয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে।
এভাবেই সব দিনযামিনী চলে।
একদিন একটা পুরুষের অপবাদ শোনা হয়।
সে কাউকে ভালোবাসে না,
ছুঁয়েও নাকি দেখে না!
সত্যিই তো!
সে নিজেও নিজেকে ভালোবাসে না!
একটা পুরুষ ঘর্মাক্ত গন্ধ গায়ে,
রাত দেড়টায় এলো বাড়ি।
স্বাধীনতার অর্থ কী?
নার্গিস আক্তার
স্বাধীনতা মানে মুক্ত হওয়া ।
স্বাধীনতা মানে পরাধীন নয়।
স্বাধীনতা মানে নির্ভয়তা।
স্বাধীনতা মানে শোষণ শাসন নয় ।
স্বাধীনতা মানে দুর্নীতি নয় ।
স্বাধীনতা মানে ঘুষ খাওয়া নেয়া নয় ।
স্বাধীনতা মানে দুর্নীতিমুক্ত।
স্বাধীনতা মানে শান্তিতে বেঁচে থাকা।
স্বাধীনতা মানে দেশের মানুষকে সুখে রাখা।
স্বাধীনতা মানে অত্যাচার জুলুম নয় ।
স্বাধীন মানে জনগণের দাবি মেনে নেয়া।
স্বাধীনতা মানে দেশের মানুষ
খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকা ।
স্বাধীনতা মানে দুর্ভোগ নয় ।
স্বাধীনতা মানে নির্ভয়ে ঘুমিয়ে থাকা।
স্বাধীনতার অর্থ অবর্ণনীয় মুক্ত আকাশ।
লেখা পাঠাতে নিচে ক্লিক করুন