তমসুর হোসেন
পৌষের কঠিন শীতে প্রিয় সন্তানকে শক্ত মাটিতে দাফন করে
বাইশ বছর ধরে ক্রমাগত শীতল অশ্রæপাত করছি আমি
আমার বিষণ্ণ মনকে আশ্বস্ত করার ভাষা পাইনি খুঁজে
আমাকে সান্ত¦না দেয় মন্দা বাতাস,শোকবিহŸল রাতজাগা পাখি।
পৃথিবীর মমতা মিথ্যার রঙিন প্রহেলিকায় জড়ানো থাকে
সব মাধুরিমা চাপা ক্রন্দনের মিহি উষ্ণতায় মলিন বিবর্ণ
দুঃখের কাব্যভাষা বজ্ররাতের প্রচণ্ড শব্দের মতো উদ্ধত অপ্রিয়
একবুক দগদগে অঙ্গার নিয়ে বিষুবের পিচ্ছিল আলপথ ধরে
হেঁটে যাচ্ছি অবয়বহীন নিরাশার অসমান উত্তুঙ্গ পথ ধরে।
বারোটি পলের অস্থির কম্পমান স্বর্ণগলা উজ্জ্বল বুদ্বুদ হয়ে
আমার সন্তান সৃষ্টির সীমা নিরীক্ষণে মহাশূন্যে কাটছে সাঁতার
নক্ষত্রের জনহীন নীরবতা আন্দোলিত করে ক্ষণায়ু সমগ্রের
মুখপাত্র হয়ে ঢুকছে সে প্রশ্ন থেকে জটিলতর প্রশ্নের গভীরে
অশ্রæশীলা সব বঞ্চিতা মাতৃজঠরের নিশর্ত মুক্তির উল্লাসে।
বাইশটি বসন্ত তাকে স্মরণ করেছি অন্তহীন নয়নের জলে
হৃদের প্রতিটি তরঙ্গে সময়ের অসম পদক্ষেপে পরম আগ্রহে
প্রখর ¯্রােত ঠেলে শক্ত পাখনায় উজান বেয়ে আসে যে মীন
সেই সম্ভাবনায় আমার সন্তান মহাদীপ্র হয়ে যেতে চায় যুগান্তর
বক্ষের পরম উষ্ণতায় তাকে অনুভব করি সৃষ্টির অপার বিস্ময়ে।