কবিঃ রৌনকা আফরুজ সরকার
আমার অপারগতা তুমি জানতে
তুমি জানতে এক মিনিট দেখা করার সময়
আমার সারা জীবনে একবার নাও হতে পারে
তবুও চিরকুমার থাকার সিদ্ধান্ত একাই নিয়েছিলে।
চাইলেও ফুরায় না সময় সংকট
বয়সের ভার, দায়িত্বভার চলার স্বাধীনতাকে সংকুচিত করে
এখন আর স্বাধীন মন স্বাধীনতার বুকে মাথা রেখে
স্বাধীনভাবে ঘুমাতে পারে না।
কখনও কখনও সামাজিক ও ধর্মীয় বেড়াজালে বন্দী হয়ে
নিজেকে আমরা নিজেই পরাধীন করে তুলি
সামাজিক ও ধর্মীয় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে
নিজের পায়ে শিকল দিতে আমরা বাধ্য হই
চাইলেও পাখি হয়ে উড়তে পারি না।
যদিও সামনে থেকে কোনদিন দেখনি
তবুও আমার সবই ছিল তোমার জানা
এত প্রতিকূলতা থাকা সত্ত্বেও মনটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি।
আমার কিছু ব্যাক্তিগত সমস্যার কারনে সময় দিতে পারছিলাম না এটা সত্য
এটাও তো সত্য তুমি জানতে সমস্যাগুলো সাময়িক
সমস্যা কাটিয়ে ওঠার কোন চেষ্টাই বাকি রাখিনি।
জীবনের উপর ধর্মীয় সংকট যাতে না থাকে সে দিকটা বিবেচনা করা উচিত
এর জন্য ধৈর্য ধারণ করতে হয়
মরতে হবে একদিন তাও ভাবতে হয়
ভাবনার দ্বন্দ আর বিবেকের দংশনে সব সময় সবাই সব পেরে ওঠেনা
রাতটুকু অপেক্ষা করলে এক সময় ভোর ঠিকই হয়, আলো ফুটে।
তুমি তো আজকাল বুঝতেই চাইছো না আমার সমস্যা
অভিশাপ সহ দিয়ে দিলে। দেখা করার আগেই অভিশাপ
জানতেও চাইলেনা আমি কত কষ্টে থাকি।
ভালোবাসনা এটাই সত্যি
একাইতো আমি আমার মতো ছিলাম
ভালোবেসে তুমি আমাকে আরো একাকী করে দিয়েছো।
আমি অভিশাপ পাওনা ছিলাম না
এত ভালোবাসার কাহিনী শুনিয়ে
শেষ পর্যন্ত দেখা হওয়ার আগেই অভিশাপ!
কোথায় এত প্রেম? আমি আর গল্প শুনতে রাজি নই।
পৃথিবীর সব জল আমার জন্য শুকিয়ে গেছে
আমি আর চলতে পারছিনা
কাঁদতেও ভুলে গেছি।
শুনছি কেবল বেদনার সুর
জানিনা আজ আর কখন সকাল, কখন দুপুর
খুঁজি না কে মোর মনচোর
তুমি জানো কি মৃত্যু কত দূর?