গ্রীষ্মের দুপুর প্রচন্ডরকমের গরম পড়েছে, গাছের পাতা গুলো বোধহয় ধর্মঘট করেছে। নয়তো বা আলসে হয়েছে, কোন কিছুর বিনিময়েই তারা আজ নড়বেনা বলে পণ করেছে।
দুপুরের খাবার শেষ করে সবেমাত্র শিমুল তুলার বালিশে মাথাটা কাত করেছে আকাশ, চোখের কোনে খানিকটা ঘুম লেপ্টে আছে। হটাৎই ফোনের কিড়িং কিড়িং আওয়াজ কানে আসলো, ফোন রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে শুভ বলছে- আকাশ ভাই কেমন আছেন? -এইতো বেশ, তো আপনার কি খবর? -আমিও ভালো তবে একটা বিষয়ে গভীর চিন্তিত, যার কারণে এই অসময়েও আপনাকে ফোন না করে পারলাম না। -তা কি বিষয়ে আপনার ফোনের উদ্দেশ্য? (আকাশের প্রশ্ন)
-আসলে আপনিতো জানেন আমার একটা বিড়াল আছে, আজ দুপুরের সময় লক্ষ করলাম ও আমার রান্না করা খাবার চেটেপুটে খাচ্ছে। কৌতুহল বশত তাকে জিগ্যেস করলাম কিরে খাবারটা কি খুব বেশিই মজা হয়েছে?
ও মিউ মিউ করে কি যে বললো,
তা ঠিক বুঝে উঠতে পারলাম না।
ওর ভাষা জানতে পারলে ভালো হতো, খাবারটার ঠিক প্রশংসা করলো নাকি বদনাম করলো সেটা বোঝা যেতো।
এই কারণেই বিড়ালের ভাষা জানার বই আছে কি-না জানতে চাওয়া,
তাছাড়া আপনিতো লেখক মানুষ তাই ভাবলাম এমন কোন বই আপনি নিজেই লিখেও ফেলেছেন হয়তো, আপনিতো আবার অগুনিত বঙ্গানুবাদ বইও লিখেছেন।