ব্রিটেনের সাসেক্সের একটি বাজার। একজন পুরুষের হাতে একটি রশি। রশির অপর প্রান্ত একজন নারীর কোমরে বাঁধা। উৎসুক জনতা নারীটিকে আপাদমস্তক দেখছে। কেউ দেখে চলে যাচ্ছে, কেউ বা তামাসা দেখার জন্য দাঁড়িয়ে আছে। সকলেই জানে যে নারীটি পুরুষের স্ত্রী। এ দৃশ্য তাদের কাছে অতি পরিচিত। প্রায়ই কোনো ইংরেজ পুরুষ তার বিবাহিত স্ত্রীকে এভাবে কোমরে বা গলায় বেল্ট পরিয়ে হাটে নিয়ে আসে বিক্রি করে দেওয়ার জন্য। আজকের পুরুষটি তার বৌয়ের দাম হেঁকেছে মাত্র দুই পেনি। কেবল ব্রিটেন নয়, গোটা ইউরোপে এমন দৃশ্য হরহামেশাই চোখে পড়ত মাত্র দেড়শ বছর আগে পর্যন্ত। ১৮৬৯ সাল পর্যন্ত ব্রিটেনে এটা আইনসম্মত একটি প্রথা ছিল যে, পুরুষেরা তাদের স্ত্রীকে বিক্রি করতে পারে। তাই কোনো স্ত্রী যদি আদালতে বিক্রয় হওয়ার বিরুদ্ধে আর্জি জানাত তাহলে বিচারপতিদেরকে স্বামীর পক্ষেই রায় ঘোষণা করতে হত।
প্রখ্যাত ইংরেজ বিচারক স্যার উইলিয়াম ব্ল্যাকস্টোন ১৭৫৩ সালে লিখেছিলেন, বিবাহিত মহিলারা তাদের নিজস্ব সম্পত্তির মালিক হতে পারে না বরং তারাই তাদের স্বামীর সম্পত্তি ছিল। স্ত্রী বিক্রিকে দরিদ্র স্বামীদের জন্য বিবাহ ভেঙ্গে ফেলার পদ্ধতি হিসেবে দেখা হত। ইউরোপের পুরো মধ্যযুগের ইতিহাস ঘেঁটে দেখলে দেখা যাবে, পুরো সময়টাতেই নারীরা সমাজের কাছে কেবল খেলার বস্তু ছিল। তাদেরকে পশুর চেয়েও মূল্যহীন মনে করা হত। একজন নারীর অবস্থান সমাজে কতটা নিচু, অবমাননাকর হলে তাকে দরদাম হাকিয়ে গরু-বকরির মতো বিক্রি করা যায়? সবচেয়ে ভয়ংকর বিষয় হচ্ছে, যারা নারী তারাও শতাব্দির পর শতাব্দি সমাজের দ্বারা নিগৃহীত, লাঞ্ছিত হতে হতে, পরাধীনতার শিকলে বন্দি থাকতে থাকতে এমনভাবে আত্মমর্যাদা হারিয়ে বসেছিল যে, নিজেরাও ভুলে গিয়েছিল তারা মানুষ এবং তাদের গলায় লাগাম পরিয়ে বিক্রি করা যায় না। সেই যুগের মানুষের নৈতিক স্খলন এবং বর্বরতা কত সাংঘাতিক পর্যায়ে চলে গিয়েছিল যে তা বুঝাতে “মধ্যযুগীয় বর্বরতা” নামে একটি আলাদা বাগধারাই রচিত হয়ে গিয়েছে।
মধ্যযুগে ইউরোপের সমাজের নারীদের অবস্থান তুলে ধরছি একটি বিশেষ কারণে। তা হলো, আজ একবিংশ শতাব্দিতে এসে পৃথিবীতে সভ্য নামে পরিচিত পাশ্চাত্য সভ্যতার আতুঁড়ঘর খোদ ইউরোপের এমন প্রযুক্তিগত সমৃদ্ধি দেখে যারা ভাবেন যে, এমন উন্নত সমাজ, সভ্য সমাজ, এমন প্রাচুর্য্য, সমৃদ্ধি, সমাজে নারীদের এমন সম্মান, মর্যাদা, অবস্থান, মেধার সাক্ষর আর বুঝি কোনোকালে মানুষ দেখে নি। তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, ১৫০ বছর আগেও যে ইউরোপের সমাজে একজন নারীর মূল্য আর একটি গরু-বকরির চেয়ে বেশি কিছু ছিল না। সেই তথাকথিত শ্রেণিটিই আজ দেড়শো’ বছর পর এসে ইউরোপের নারীদের কথিত স্বাধীনতা ও মান-মর্যাদা দেখে ভক্তিতে গদগদ হয়ে যান, পশ্চিম বন্দনার ভাষা হারিয়ে ফেলেন। তারা প্রশ্ন তোলেন, ইসলাম কি নারীদের এমন স্বাধীনতা ও সম্মান দিতে পেরেছিল?
তাদের উদ্দেশে বলছি, আজ থেকে ১৪০০ বছর আগে ইসলাম নারীদের যে সম্মান, মর্যাদা, স্বাধীনতা দিয়েছিল তা আজও আপনারা কল্পনা করতে পারবেন না। কিন্তু যা আপনারা কল্পনা করতে পারবেন না, তা-ই ইতিহাস। চৌদ্দশ’ বছর আগের আরব সমাজ ছিল অজ্ঞতা, কু-সংস্কার, মূর্খতা, বর্বরতায় পরিপূর্ণ। তারা ছিল বাকি পৃথিবীর চোখে অবজ্ঞাত, অবহেলিত। কারণ সেখানে কোনো ফল-ফসলের আবাদ হত না। মরুভূমির রুক্ষ পরিবেশে তাদের জীবনযাপনও ছিল অত্যন্ত রুক্ষ। এই রুক্ষতা তাদের চরিত্রের উপরও ছাপ ফেলেছিল। মানুষগুলো ছিল নিষ্ঠুর, মানবতাবোধহীন। ছিল না নগর সভ্যতা, ছিল না শিক্ষা। ইব্রাহীম (আ.) এর কোনো শিক্ষাই অবশিষ্ট ছিল না তাদের মধ্যে। সমাজে নীতিনৈতিকতার কোনো বালাই ছিল না। সবচেয়ে করুণ অবস্থা ছিল নারীদের। আরবের গোত্রগুলো খাদ্য সংগ্রহের প্রয়োজনে সুযোগ পেলেই অন্য গোত্রের উপর হামলা চালাতো। পরাজিত করতে পারলে তাদের ঘোড়া, উট ও নারীদেরকে লুট করে নিয়ে যেত। এটা গোত্রের পুরুষদের জন্য ছিল একটা অপমানের বিষয়। এ কারণে তারা কন্যা সন্তান কামনা করত না। ছেলেরা বড় হয়ে যোদ্ধা হবে, গোত্রের জন্য লড়বে। আর নারীরা গোত্রের অসম্মানের কারণ হবে, তাদেরকে অন্য গোত্রের পুরুষরা ভোগ করবে এ চিন্তা থেকে অনেক গোত্রের ঐতিহ্যই ছিল কন্যা সন্তান হলে তাদেরকে বড় হওয়ার আগেই হত্যা করে ফেলা। হত্যা করার পদ্ধতিটা ছিল আরো বর্বরোচিত। পিতা নিজেই তার কন্যাসন্তানকে জীবিত কবর দিয়ে দিত।
যে কোনো তুচ্ছ কারণে স্ত্রী ও সন্তানদের বেঁধে নির্দয়ভাবে মারধর করা অথবা তাদের চুল ধরে টানা হেঁচড়া করাও স্বামীদের অধিকার ছিল। বিবাহের বিভিন্ন প্রথা বিদ্যমান ছিল। এই সময়ে সর্বাধিক প্রচলিত এবং স্বীকৃত প্রথার মধ্যে রয়েছে: চুক্তি দ্বারা বিবাহ, অপহরণের মাধ্যমে বিবাহ, ক্রয় দ্বারা বিবাহ, উত্তরাধিকার দ্বারা বিবাহ এবং মুতাহ বা অস্থায়ী বিবাহ। পুরুষগণ একাধিক স্ত্রী গ্রহণ, ইচ্ছেমত বর্জন, অবৈধ প্রণয় এবং বহু রক্ষিতা রাখতো। নারীগণও একই সঙ্গে একাধিক স্বামী বা বহুপতি গ্রহণ বা ব্যভিচারে লিপ্ত হত। ধর্ষকেরা কবিতা লিখে নিজেদের অপকর্মের বর্ণনা গর্বভরে প্রচার করত। ভাই-বোনে বিয়ে, উত্তরাধিকারসূত্রে বিমাতাকে বিয়ে করার কু-প্রথাও ছিল। পতিতাবৃত্তিও চালু ছিল। ভোগবাদী আরবরা দাস-দাসী এমনকি শত্রু গোত্রের লোকদের সাথে অবর্ণনীয় নিষ্ঠুরতার পরিচয় দিত। বিত্তবানরা খেলাচ্ছলে দ্রুতগামী উট, ঘোড়ার সাথে হতভাগা নারী বা শিশুকে বেঁধে দিত। ফলে এদের অনেকেই মৃত্যু বরণ করত।
আখেরি নবী মোহাম্মদ (সা.) সেই তমসাচ্ছন্ন যুগে এসে আরবের সমাজ চিত্রকে আমূল পাল্টে দিলেন। প্রাক-ইসলামি যুগে, আরব নারীদের বিবাহ বিচ্ছেদের অধিকার ছিল না এবং তাদের উত্তরাধিকার কোন অংশ দেওয়া হতো না; ইসলামে নারীদেরকে পিতার সম্পত্তি, স্বামীর সম্পত্তি, ছেলের সম্পত্তি, অবস্থাবিশেষে ভাইয়ের সম্পত্তির উত্তরাধিকারী পর্যন্ত করা হয়েছে। কন্যা সন্তানের প্রতি নেতিবাচক মনোভাবের তীব্র প্রতিবাদ করে কোর’আনে বলা হয়েছে, ‘যখন তাদের কন্যাসন্তানের সুসংবাদ দেওয়া হয়, মনঃকষ্টে তাদের চেহারা কালো হয়ে যায়! তাদের যে সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে তার কারণে তারা নিজ সম্প্রদায়ের লোক থেকে মুখ লুকিয়ে রাখে? তারা ভাবে এই সন্তান রাখবে, নাকি মাটিতে পুঁতে ফেলবে, সাবধান! তাদের সিদ্ধান্ত কতই না নিকৃষ্ট। (সুরা নাহল ৫৮-৫৯)
ইসলাম নারীদের সামাজিক অবস্থা পরিবর্তনে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখল। যে নারীরা কিছুদিন আগেও ছিল পরিবারের বোঝা ইসলামের সংস্পর্শে এসে তারা হয়ে গেল পরিবারের সম্মান, সমাজের গৌরব। সকল ক্ষুদ্রতা, সংকীর্ণতা, অন্ধত্ব আর গোড়ামী থেকে বের করে ইসলাম নারীদের বিশ্বজয়ের স্বপ্ন দেখালো। যে নারীদের গণ্ডি ছিল চার দেয়াল, সেই নারীদেরকে ইসলাম রণাঙ্গনে নিয়ে গেল। অবলা নারী পরিণত হল দুর্ধর্ষ যোদ্ধানারীতে। ওহুদের মাঠে শত্রুর আঘাতে আহত রসুলাল্লাহ সংজ্ঞা হারিয়ে ফেললে উম্মে আম্মারা (রা.) তলোয়ার হাতে চারিদিক ঘিরে ফেলা শত্রুর হামলাকে প্রতিহত করেন। জ্ঞান ফেরার পর রসুলাল্লাহ মন্তব্য করেছিলেন, আজকে উম্মে আম্মারার মধ্যে যে শক্তি দেখেছি তা ছিল তোমাদের সবার চেয়ে অধিক। ইয়ারমুকের যুদ্ধে খাওলা বিনতে আজওয়ার (রা.) একটি বিশেষ বাহিনীর অধিনায়ক হিসাবে দুঃসাহসী ভূমিকা পালন করেন। রুফায়দাহ আল আসলামিয়া (রা.) ছিলেন মসজিদে নববীতে স্থাপিত যুদ্ধাহত সৈন্যদের হাসপাতালের অধ্যক্ষ। উইকিপিডিয়াতে তাঁর সম্পর্কে বলা হয়েছে, রুফাইদা আল-আসলামিয়া ছিলেন একজন মুসলিম চিকিৎসাকর্মী ও সমাজকর্মী যিনি ইসলামের ইতিহাসের প্রথম মহিলা মুসলিম নার্স এবং প্রথম মহিলা সার্জন হিসাবে স্বীকৃত। তিনি বিশ্বের প্রথম নার্স হিসেবে পরিচিত। উম্মে শেফা (রা.) মদিনার বাজার ব্যবস্থাপনার মত গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ও রাজস্ব খাতে দায়িত্ব পালন করতেন।
জাহেলিয়াতের যুগে তাদেরকে নিছক শরীর হিসাবে, ভারবহনকারী প্রাণী হিসাবে, শ্রমিক হিসাবে দেখা হত। তাদের যে জ্ঞান মেধা যোগ্যতা প্রতিভা সৃজনশীলতা থাকতে পারে তা বিশ্বাস করা হত না, তার বিকাশেরও সুযোগ ছিল না। ইসলাম তাদের মেধার বিকাশ ঘটানোর সুযোগ সৃষ্টি করে দিল। কীভাবে এটা করল তার বিস্তারিত বিবরণে না গিয়ে এটুকু বলাই যথেষ্ট হবে যে, রসুলাল্লাহ যে নতুন জীবনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করলেন সেই জীবনব্যবস্থার এমন কোনো অঙ্গন ছিল না যেখানে নারীর অংশগ্রহণ ছিল না। হাজার বছরের বঞ্চিত অবহেলিত নারী এই প্রথম নিজেকে পরিপূর্ণ মানুষ হিসাবে প্রমাণ করার সুযোগ লাভ করল। ইসলাম নামক পরশপাথরের ছোয়ায় মুসলমানরা জ্ঞানে-বিজ্ঞানে, প্রযুক্তিতে, সামরিক বলে শিক্ষকের জাতিতে আসীন হলো। তারা হয়ে গেল সুপার পাওয়ার, অন্যদের অনুকরণীয়, অনুসরণীয়। পরবর্তী সোনালী যুগে নারীরা প্রমাণ দিল যে তাদের মেধা পুরুষদের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। তারা শিক্ষাবিস্তার, গবেষণা, চিকিৎসায়, জোর্তিবিদ্যায়, গণিতে, অর্থনীতিতে, রাজনীতিসহ সকল অঙ্গণে ঈর্ষণীয় অবদান রাখতে সক্ষম হল। জুবায়দা বিনতে জাফর যিনি বাগদাদ থেকে মক্কা পর্যন্ত কূপ খনন প্রকল্পের বাস্তবায়ন করেছিলেন। সুতায়তা ছিলেন একজন গণিতবিদ, দাইফা খাতুন যিনি অসামান্য প্রতিভাধর একজন শাসক ছিলেন, যার হাতেই গড়ে উঠেছিল আলেপ্পোর নান্দনিক স্থাপনা। মরিয়ম আল এস্তোলোবি ছিলেন একজন জোর্তিবিদ যিনি আকাশের গ্রহ-নক্ষত্রের গতিপথ নির্দেশক যন্ত্র এস্ট্রোলেইব আবিষ্কার করেছিলেন। বিশ্বের প্রথম সনদ প্রদানকারী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠান করেন একজন মুসলিম নারী যাঁর নাম ফাতিমা আল-ফিহরিয়া। মরোক্কোর ফেইজ শহরের কায়রোয়ান মসজিদকে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত করেন। এভাবে বলতে গেলে জীবনের প্রতিটি অঙ্গনে নারী প্রগতির এক বিস্ময়কর অধ্যায় রচনা করেছিল ইসলাম।
ইসলাম শুধু নারীদেরই এমন বিস্ময়কর পরিবর্তন ঘটায় নি, প্রকৃতপক্ষে পুরো সমাজটাকে ইসলাম বদলে দিয়েছিল। বর্বর আরববাসীকে পরিণত করেছিল সোনার মানুষে। সমাজে এমন শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা করেছিল যে, দিনে রাতে যে কোনো সময়ে একজন নারী স্বর্ণালংকার পরে সানা থেকে হাদরামাউত পর্যন্ত সাড়ে তিনশো’ মাইল পথ হেঁটে যেত নির্ভয়ে। অথচ সে সমাজে নিয়মিত কোনো পুলিশ বাহিনী ছিল না। এমন সমাজ কি এই আধুনিক প্রযুক্তির যুগেও কল্পনা করা যায়? জাতিসংঘের গবেষণায় পাওয়া তথ্যে ধর্ষণের যে শীর্ষ দশ দেশের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তার শুরুতেই আছে আমেরিকা। তথ্যমতে প্রতি ৬ জন নারীর একজন ও প্রতি ৩৩ জন পুরুষের একজন আমেরিকায় ধর্ষণ এর শিকার হয়। প্রকৃত অবস্থা আরো ভয়াবহতার কারণ মাত্র ১৬% ধর্ষণ কেস রিপোর্ট করা হয় আমেরিকায়। ধর্ষণে এগিয়ে থাকা পরবর্তী নয়টি দেশ হচ্ছে যথাক্রমে ব্রিটেন, দক্ষিণ আফ্রিকা, সুইডেন, ভারত, জার্মানি, ফ্রান্স, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও ডেনমার্ক। (অন্যদিগন্ত)
এই হচ্ছে আমাদের সভ্য সমাজের অভ্যন্তরীণ নারী মর্যাদার চিত্র। অথচ এই সভ্যতার পূজারীরা ইসলামের দিকে আঙ্গুল তুলে বলে যে ইসলাম নারীদেরকে বাক্সবন্দী করে, ভোগ্যবস্তু করে, নারীদের বঞ্চিত করে, নারীদের মানুষ হিসাবে মূল্যায়ন করে না ইত্যাদি। আমরা দেখলাম দেড়শ’ বছর আগে ইউরোপের সমাজ কেমন ছিল, দেখলাম এখন উন্নত বিশ্বের অবস্থা কেমন। পশ্চিমা সভ্যতা নারী স্বাধীনতার নামে নারীদের বানিয়েছে প্রদর্শনীর বস্তু, পণ্যের বিজ্ঞাপন। আধুনিকতার নামে, মুক্তির নামে তাদেরকে অশ্লীলতায় প্ররোচিত করছে। বাস্তবে নারীদের মর্যাদা দিতে পারে নি। দেড়শ’ বছর আগেও পারে নি, আজও পারে নি। কিন্তু ইসলাম পেরেছিল। তাই ইসলামের দিকে আঙ্গুল তোলা তাদের সাজে না।
লেখক: আদিবা ইসলাম