6.7 C
New York
Saturday, April 27, 2024
spot_img

দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি হাহুতাশ এবং অন্যান্য

পৃথিবীর বয়স কত আমরা তা জানি না। বিজ্ঞানীরা আনুমানিক একটি বয়স আমাদের জানিয়েছে। কেউ চাইলে সেটাকে বিশ্বাস করতে পারে আবার কেউ চাইলে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিতে পারে। পৃথিবীর বয়স যাই হোক না কেন তাতে ক্ষুদ্র একটি জীবনের অধিকারী মানুষের তেমন কিছু যায় আসে না। পৃথিবীর বয়স যতই বাড়ছে ততোই সে তার রুপ যৌবন হারাচ্ছে কিংবা বলা যেতে পারে সে তার রুপ বদল করছে বার বার। কিন্তু তার কি নিজের একার কোনো ক্ষমতা আছে এটা করার? নাকি তাকে সহযোগিতা করছি আমরা মানুষ এবং অন্যান্য জীবজন্তু। বিশেষ করে মানুষই পৃথিবীকে নিয়ন্ত্রণ করছে।কল্যাণকর বা অকল্যাণকর যা কিছু পৃথিবীতে ঘটছে তার মূলে আমরা মানুষ জাতি। এই পৃথিবীতে এখন ফ্রিতে বেঁচে থাকার সুযোগ নেই। খাদ্য,বস্ত্র,বাসস্থান,চিকিৎসা এগুলো ছাড়া মানুষ বাঁচতে পারে না। আবার এগুলোর কোনোটাই ফ্রিতে পাওয়া যায় না। দিন যতই যাচ্ছে প্রতিটি জিনিসের দামও ক্রমাগত ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। দ্রব্যমূল্যের এই উর্ধ্বগতির সময়েও কিন্তু একটি জিনিসের দাম বাড়েনি। আর সেটা হলো মানুষ। কবি তাই আক্ষেপ করে বলেছিলেন “ অভাব শুধু নেই মানুষের, চাই কত মণ চাই কত সের?”

তবে এই যা জীবন ধারণের জন্য আজ যা কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় হিসেবে দেখা হয় এবং কাড়িকাড়ি টাকা খরচ করে কিনতে হয় এগুলোর সবই একদিন একদম ফ্রিতে পাওয়া যেতো। আপনি যদি পৃথিবীর শুরুতে চলে যান তবে দেখবেন বেহেশত থেকে হযরত আদম আঃ এবং হাওয়া আঃ যে পৃথিবীতে অবতরণ করেছিলেন সেখানে তাদের আগে কোনো মানুষ ছিলো না। একটি আপেল গাছে যদি আপেল ঝুলে থাকে তবে আদমের কাছে তা বিক্রি করার মত কেউ ছিলো না। তিনি সেটা ফ্রিতেই উপভোগ করতে পেরেছেন। পাশেই বয়ে চলা নদী কিংবা ছোট্ট জলাশয়ে যে মাছ অবাধে ডুব সাতার কাটতো। সেই সময়ে অনায়াসে কেউ সেটা নিজের মনে করে ধরে খেতে পারতো। কেউ বাধাও দিতো না আবার কেউ বলতো না এই মাছের দাম দিতে হবে। এভাবে যেতে যেতে পৃথিবী একটু একটু করে মানুষের পদধ্বনিতে মুখরিত হতে লাগলো। মানুষের মনের মধ্যে একধরনের লোভ তৈরি হলো। তারা বিভিন্ন জিনিস নিজেদের অধিনে রাখার চেষ্টায় ব্যস্ত হয়ে উঠলো। ফলে নিজের ঘরের আঙিনায় থাকা গাছ গুলোর দখল নিলো। ওগুলোর ফল কেবল তারই মালিকানায়। অন্য কেউ খেতে চাইলে তাকে কিছু না কিছু বিনিময় হিসেবে দিতে হবে। মুফেতে খাওয়ার সুযোগ আর নেই। পাশের ছোট্ট ডোবা পুকুর বা খাল কিংবা বয়ে চলা নদীর যে অংশ সে দখল করলো সেটার মালিকানা তার। ওখানে সাপ থাকুক বা মাছ তা কেবল তারই। সেগুলোর কোনো কিছুর সুবিধা ভোগ করতে চাইলে বিনিময়ে কিছু দিতে হবে।

এভাবেই একটু একটু করে পুরো পৃথিবী দখল হয়ে গেলো। ভাগাভাগি হয়ে গেলো নদী বা সমুদ্র, জমিনের প্রতিটি ইঞ্চি এমনকি আকাশের সীমানাও বেঁধে দেওয়া হলো। তারপর দিন যতই গড়ালো সেই সব নিয়মত নীতি আরও কঠোর হলো। সীমানা প্রাচীরে ছেয়ে গেলো পুরো পৃথিবী। একদিন যেখানে কোনো কাটাতারের বেড়া ছিলো না,আইল ছিলো না, প্রাচীর ছিলো না। বহু বছর আগের সেই পৃথিবীটাই ছিলো সত্যিকারের গ্লোবাল ভিলেজ। আজকে কাটাতারের বেড়া দিয়ে,সমুদ্র সীমা বেধে দিয়ে, আকাশ সীমা নির্ধারণ করে যখন সেই একই মানুষ গ্লোবাল ভিলেজের কথা চিন্তা করে তখন হাসি পায়। কী হতো যদি পুরো পৃথিবী আগের মতই থাকতো। কোনো কিছুর মালিকানাই কারো অধিনে না থাকতো? সে বিরাট ভাবনার বিষয়। এতো আইন কানুন বানিয়ে, সীমানা প্রাচীর নির্ধারণ করেই ক্যাঞ্জাল থামানো যাচ্ছে না তখন হয়তো আরও ভয়াবহ অবস্থা তৈরি হতো। দিন যাবে আর পৃথিবীর জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু পৃথিবীর আয়তন বাড়বে না। জমি বাড়বে না। বরং জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে ক্রমাগত ভাবে ফিক্সড অ্যাসেট কমতে থাকবে। নিত্যনতুন বসতি স্থাপনের মাধ্যমে চাষযোগ্য জমির পরিমান কমতে থাকবে। নদী ও খাল ভরাট হবে। আর এগুলোর ইফেক্ট পড়বে জনজীবনে। যোগান কমার সাথে সাথে চাহিদা যখন বাড়ে তখন দাম বাড়াটাই স্বাভাবিক। এবং সেই দাম যদি অস্বাভাবিক ভাবে বাড়ে তাতেও আপাতদৃষ্টিতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই।

দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি ঠেকানোর জন্য আদতে তেমন জোরালো কোনো পদ্ধতি না থাকলেও কিছু কাজ করলে তা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হতে পারে। প্রয়োজনের চেয়ে কিছুটা কম ব্যবহারের অভ্যাস গড়ে তোলা, বাজার নিয়ন্ত্রণ করা,যারা অসৎ উপায় অবলম্বন করে তাদের শাস্তির আওতায় আনা এবং পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি করা। যেগুলো আমরাই উৎপাদন করতে পারি বা আমদানি নির্ভর না সেই সব দ্রব্যের দাম যখন আকাশ ছুতে দেখি তখনই চোখ কপালে ওঠে। যেমন ইলিশ মাছ। এটা পুকুরে বা খালে চাষ করার সুযোগ নেই। ইলিশ উৎপাদনের জন্য কোনো খরচও করতে হয় না। এটা রাশিয়া বা ইউক্রেন থেকেও আসে না। তবুও কেন এতো দাম ইলিশের? ইলিশ খাওয়া নিয়ে অবশ্য সমাজে অনেক কথা প্রচলিত আছে। হরহামেশাই দেখা যায় টিভি চ্যানেলের ক্যামেরার সামনে নিম্ন আয়ের মানুষ বলছে ইলিশের যে দাম তা আমাদের নাগালের বাইরে। কতদিন যে ইলিশ খাইনি তার হিসেব নেই। আমরা কম বেশি সবাই জানি সত্যি সত্যিই ইলিশের অনেক দাম। সুতরাং ওই দাম দিয়ে ইলিশ কেনার ক্ষমতা কয়জনেরই বা আছে। বাস্তবতা অবশ্য অনেক ক্ষেত্রেই ভিন্ন। তেমন একটা বাস্তব ঘটনা শোনাতে চাই। এটা শোনার পর চাইলে যে কেউ প্র্যাকটিক্যালি প্রমান করে দেখতে পারে।

আমার শহর সমুদ্র সৈকতের শহর। এই শহরে চমৎকার একটি মসজিদ আছে নাম ”বদর মোকাম”। আমি জুম্মার নামাজ সাধারণত এখানেই পড়তে চেষ্টা করি। এরকমই এক জুম্মার নামাজের পর মসজিদের সামনে দাড়িয়ে অনেকের সাথে কথা বলছিলাম। সেখানে একজন রিকশা চালক ভাই ছিলেন। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি নিয়ে সবাই মতামত দিচ্ছিলো। আমি প্রসঙ্গক্রমে তার কাছে জানতে চাইলাম ভাই কিছু মনে না করলে জানতে চাই কতদিন আপনি ইলিশ মাছ খাননি? তিনি খানিকটা মলিন মুখে বললেন কতদিন যে খাইনি তা মনে করতে পারছি না। ইলিশের যে দাম তাতে কি করে খাই বলুন? তার এইটুকু কথা শুনে অনেকেই বলতে পারে আহারে সত্যি কথাই বলেছে এই ভাই। ইলিশ কি আর এখন সাধারণের খাবারের তালিকায় থাকার মত অবস্থায় আছে। এটুকু শুনেই মন্তব্য করার আগে বাকি গল্প শুনুন। আমি তার কথার সাথে সহমত পোষণ করলাম। আমিও মানি যে ইলিশের অনেক দাম। এবার তাকে প্রশ্ন করলাম ভাই কিছু মনে না করলে জানতে চাই আপনি বিড়ি বা সিগারেট খান কি না? তিনি একটু মুচিকি হাসি দিয়ে বললেন তিনি সিগারেট খান। আমি যেহেতু ধুমপান করি না তাই সিগারেটের দাম সম্পর্কে ততোটা জানা নেই ।তার কাছে জানতে চাইলাম আপনি যে সিগারেট খান তার দাম কত? তিনি জানালেন প্রতিটির দাম ১১ টাকা এবং তিনি রোজ ৫ থেকে ৭টা সিগারেট খান। তাকে বললাম তার মানে আপনি রোজ যদি এভারেজে ৫টা করে সিগারেট খান তাহলে দাম পড়বে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। মাসে ১৫০০ থেকে ১৬৫০ টাকার সিগারেট খান। আর এক কেজি মোটামুটি সাইজের ইলিশের দাম ৯০০ থেকে ১২০০ টাকার মধ্যে। আপনি কতদিন অনেক দামের কারণে পরিবার সহ ইলিশ খেতে পারেন না অথচ ইলিশ খেতে যে পরিমান টাকা খরচ হতো তার চেয়েও বেশি টাকা খরচ হয় আপনার সিগারেটের পিছনে। তখন তিনি বিস্মিত হলেন। তিনি বললেন এভাবেতো কখনো ভেবে দেখিনি। আশেপাশে যারা ছিলেন তারা স্বীকার করলেন অনায়াসেই তিনি ইলিশের দাম বেশি হলেও কিনে খাওয়ার মত ক্ষমতা রাখেন।

গ্রামে একটি কথা বলে “ অল্প অল্প পড়ে, ভাড়ে মানায় না”। খেজুর বা তাল গাছ থেকে রস বের করার জন্য যে পাতিল দেওয়া হয় সেখানে ফোটায় ফোটায় রস পড়ে ঠিকই একসময় ভরে ওঠে। ঠিক সেরকম বিষয়। আমরা প্রতিনিয়ত এমন অনেক কিছুতে অল্প অল্প করে খরচ করি আর মনে করি এ আর এমন কী? কিন্তু মাস শেষে সেটার হিসেব করলে ওই রিকশা ওয়ালা ভাইয়ের মতই হবে। আমি ঘুরে ঘুরে দেখেছি বস্তিতে যারা থাকে,টিনশেড বাসায় যারা থাকে তাদের বাসা ভাড়া প্রায় ফ্ল্যাট বাসার সমান। মানে কক্সবাজারের প্রেক্ষিতেই বলতে পারি টিনশেট বিল্ডিং বা ঘরে এক রুমের ভাড়া ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা। আমি নিজে কিছুদিন থেকেছি। আবার ফ্ল্যাট বাসায় তিন রুমের ফ্ল্যাট হলে দেখা যায় ভাড়া ১৫ হাজার টাকা। মানে রুম প্রতি ভাড়া একই রকম থাকে। কিন্তু জীবন যাপনের ধারায় আমূল পরিবর্তন দেখা যায়। সুযোগ সুবিধাও অনেক ব্যবধান। এই যে ইলিশের দাম বেশি বলে আমাদের যারা খেতে পারিনা বলছে তারা কিন্তু সিগারেটের দাম বেশি বলছে না।

আচ্ছা বর্তমান বাজারে প্রতিটি জিনিসের দামই চড়া এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। কিন্তু আমি জাস্ট কিউরিওসিটি থেকে জানতে চাইছি যদি একজন মানুষ টানা এক মাস কোনো ডিম না খায় তাহলে কি তার খুব বেশি ক্ষতি হবে? টানা এক মাস যদি সে মাছ না খায়, মাংস না খায় তাতে ঠিক কোন ধরনের এফেক্ট পড়বে? আমি চিকিৎসা বিজ্ঞানের কেউ নই তাই সঠিক বলতে পারছি না। কিন্তু আমি মনে করি তেমন এফেক্ট পড়বে না। ধরুন একটি পণ্য দিয়ে যদি যাচাই করা হয় যে সারা দেশের কেউ আগামী এক মাস কোনো ডিম খাবে না! তাহলে কী ঘটবে? ইলিশতো সারা বছর পাওয়া যায় না খুব একটা। এই যে সারা বছরের অন্য সময়ে মানুষ ইলিশ খাচ্ছে না। এতে যেমন কোনো ক্ষতি হচ্ছে না তেমনি এক মাস যদি কেউ একটাও ডিম না খায় তাহলেও আদতে কিছু হবে না। আবার ব্যবহারের পরিমানও কমিয়ে আনা যেতে পারে। আমি যখন ছোট ছিলাম তখন দেখেছি একটি ডিম পিয়াজ মরিচ দিয়ে ভেঙ্গে মামলেট করা হতো। তারপর সেটা তিন চার খন্ড করে আমাদেরকে পরিবেশন করা হতো। আমরা যদি এক কালে ওরকম খেয়ে থাকি তবে এখন সেরকম খেতে দোষ কোথায়? আমি অন্তত দোষের কিছু দেখি না। যদিও আমি জানি এগুলো কোনো সমাধান নয়।

সবচেয়ে সহজ সমাধান হলো নিজের প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি নিজে যদি উৎপাদন করা যায় তবেই সবথেকে ভালো হয়। অবশ্য এটাও মনে করি যে একটু চেষ্টা করলেই তা সম্ভব। অনায়াসেই ঘরের আনাচে কানাচে যে কোনো জায়গায় একটু জায়গা করে দুটো মুরগি পালন করা সম্ভব। ঘারের সীমানা ঘিরে চাইলে শাক সবজি চাষ করা যায়। মরিচ রসুন পিয়াজও চাষ করা যায়। ছাদ বাগানের ধারণা ব্যপক ভাবে ছড়িয়ে দিতে হবে। কারো বাড়ির আঙিনা ফাঁকা থাকবে না। বিজ্ঞানের উন্নতির সাথে সাথে আমরা যদিও বলছি আমাদের উন্নয়ন ঘটেছে আসলে কি তাই? একসময় আমি দেখেছি আমাদের বাড়িতে, আমাদের জমিতে লাল শাক,পুইশাক,পালংশাক,কুমড়ো,লাউ,বরবটি,শিম,বেগুন,ঝিঙে,ধুন্দল,উশি,মরিচ,পিয়াজ,হলুদ,রসুন চাষ হতো। আমি নিজে বস্তা ভরে বাজারে কাচা মরিচ বিক্রি করেছি, বেগুন বিক্রি করেছি। কিন্তু সেই আমাদের বাড়িতেই এখন এর কোনোটাই হতে দেখি না। আমরা আসলে আমাদের কৃষিপ্রধান দেশ হওয়ার পরও ক্রমাগত ভাবে কৃষিকে অবহেলা করে চলেছি। ফলশ্রুতিতে আমরা দ্রব্যমূল্যের এই উর্ধগতিতে হাপিয়ে উঠছি। সীমিত আয় দিয়ে আর সংসার চালাতে পারছি না। অথচ আমরা যদি আমাদের শিকড়কে ভুলে না যেতাম। আমাদের অন্যান্য সক্ষমতার পাশাপাশি আগেরটাও ধরে রাখতাম তবে এই দশা হতো না। যদি সেই কৃষিকাজগুলো সমান ভাবে এগিয় নিতে পারতাম তবে আজ দ্রব্যমূল্য এমন আকাশ ছুঁতে পারতো না।

দ্রব্যমূল্য আকাশ ছুঁয়ে ফেলার জন্য প্রধানত যে কারণগুলো রয়েছে তার মধ্যে দুর্নীতি,ঘুষ,অনিয়ম অন্যতম। কৃষক যখন ফসল ফলায় তখন তার যে ম্যাটেরিয়াল লাগে তার দাম আকাশ ছোঁয়া। ফলে তার ফসল উৎপাদন খরচ বাড়ে। সেটা যখন সে বিক্রি করে তখন ক্রেতাদের সিন্ডিকেট ধরে ভোক্তা পর্যায়ে যেতে যেতে সেটাও আকাশছোয়া হয়ে যায়। পণ্য ভর্তি ট্রাক যখন রাস্তায় নামে তখন নানা জায়গায় চাঁদা দিতে হয়। ফলে ওগুলোও যোগ হয় পণ্যের দামের সাথে। এভাবে নানা কারণে দাম বাড়তেই থাকে। অতি লাভের আশায় এক শ্রেণীর মজুতদার মজুদ করার মাধ্যমে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরির মাধ্যমেও দাম বাড়ায়। হরতাল,অবরোধ সহ নানা কারণে দাম বাড়ে। আর পণ্যের উৎপাদন কমে যাওয়াও একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ। অন্যদিকে চাহিদার তুলনায় যোগান কমে যাওয়া, জনসংখ্যা বৃদ্ধি প্রতিটি জিনিসের দাম বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট ভূমিকা রাখে।

লেখক: জাজাফী
৯ নভেম্বর ২০২৩

Facebook Comments Box

বিষয় ভিত্তিক পোস্ট

শহীদুল ইসলামspot_img

সাম্প্রতিক পোস্ট