তাসনিম আক্তার মিম
স্বাধীনতার অর্ধশত বছর পর ভাবছি এখন কি লিখবো!
ভাষা প্রেমীদের বিচিত্র রুপ আমি কি আপনাদের কাছে তুলে ধরবো?
একুশের চেতনা ছিল সোনার বাংলায় নিজ ভাষাকে প্রতিষ্ঠা করবার,
অর্ধশত বছর পরেও কেন চতুর্দিকে শুধু ভাষার অপব্যবহার!
যেখানেই পা বাড়াই চারিপাশে দেখতে পাই শুধু ভাষার অপব্যবহার!
একে অপরের দোষ খোঁজাখুঁজি নিয়ে ব্যস্ত,দিচ্ছে গালাগাল,
গড়ে তুলছে সমালোচনার বিশাল পাহাড়।
স্বাধীন দেশের তরুণদের হাতে দেখি বিয়ার, সিগারেট, বেনসন
মুখে শ্রুতিকটু ভাষার উচ্চারণ, এটাই নাকি আজ আধুনিকতার ফ্যাশন!!
বড়দের কথা তো বলাই বাহুল্য,
বাংলার মাঝে ইংলিশ ও হিন্দি ঢুকিয়ে করছে ভাষার অপারেশন,
বাংলিশে কথা না বললে ক্ষুব্ধ হয় নাকি সম্মান।
বেতার -টিভিতে ভাষা দিবসে করা হয় ভাষার জয়ধ্বনি-উল্লাস,
দুর্ভাগ্য হলেও সত্যি শুরুতেই বলা হয়,
“হ্যালো লিসেনার্স, হ্যালো ভিউয়ার্স”।
বাচ্চাদের কাছে মা হয়ে যায় মম,
বাবা হয়ে যায় ড্যাডি,
ছোট্ট এই অবুঝ বাচ্চারা কি করে বুঝবে মা শব্দটির গভীর উপলব্ধি!!
রফিক, শফিক, সালাম, বরকত যারা দিল ভাষার জন্য আত্ম বলিদান,
তাদের দিবসে আজ বাজানো হয় হিন্দি ডি.জে গান।
শহীদ দিবসে ফুল না দিয়ে তরুণীরা খোপায় বাধে ফুল,
তরুণ-তরুণী সকলের কাছে আজ বাংলার গোটা ইতিহাসটাই ভুল!!
বাংলা আমার মায়ের ভাষা,
আমার ভাইয়ের তাজা রক্তের দান
ভাষা নিয়ে রং তামাশা বন্ধ করার হওক বিধান,
মায়ের ভাষার অপব্যবহার আর নয়,
শপথ করার এখনই সময়।
তাসনিম আক্তার মীম
কুমিল্লা
১৯/২/২০২৪