ভাষার অপব্যবহার

0
342

তাসনিম আক্তার মিম

স্বাধীনতার অর্ধশত বছর পর ভাবছি এখন কি লিখবো!
ভাষা প্রেমীদের বিচিত্র রুপ আমি কি আপনাদের কাছে তুলে ধরবো?
একুশের চেতনা ছিল সোনার বাংলায় নিজ ভাষাকে প্রতিষ্ঠা করবার,
অর্ধশত বছর পরেও কেন চতুর্দিকে শুধু ভাষার অপব্যবহার!

যেখানেই পা বাড়াই চারিপাশে দেখতে পাই শুধু ভাষার অপব্যবহার!
একে অপরের দোষ খোঁজাখুঁজি নিয়ে ব্যস্ত,দিচ্ছে গালাগাল,
গড়ে তুলছে সমালোচনার বিশাল পাহাড়।
স্বাধীন দেশের তরুণদের হাতে দেখি বিয়ার, সিগারেট, বেনসন
মুখে শ্রুতিকটু ভাষার উচ্চারণ, এটাই নাকি আজ আধুনিকতার ফ্যাশন!!

বড়দের কথা তো বলাই বাহুল্য,
বাংলার মাঝে ইংলিশ ও হিন্দি ঢুকিয়ে করছে ভাষার অপারেশন,
বাংলিশে কথা না বললে ক্ষুব্ধ হয় নাকি সম্মান।
বেতার -টিভিতে ভাষা দিবসে করা হয় ভাষার জয়ধ্বনি-উল্লাস,
দুর্ভাগ্য হলেও সত্যি শুরুতেই বলা হয়,
“হ্যালো লিসেনার্স, হ্যালো ভিউয়ার্স”।

বাচ্চাদের কাছে মা হয়ে যায় মম,
বাবা হয়ে যায় ড্যাডি,
ছোট্ট এই অবুঝ বাচ্চারা কি করে বুঝবে মা শব্দটির গভীর উপলব্ধি!!

রফিক, শফিক, সালাম, বরকত যারা দিল ভাষার জন্য আত্ম বলিদান,
তাদের দিবসে আজ বাজানো হয় হিন্দি ডি.জে গান।
শহীদ দিবসে ফুল না দিয়ে তরুণীরা খোপায় বাধে ফুল,
তরুণ-তরুণী সকলের কাছে আজ বাংলার গোটা ইতিহাসটাই ভুল!!

বাংলা আমার মায়ের ভাষা,
আমার ভাইয়ের তাজা রক্তের দান
ভাষা নিয়ে রং তামাশা বন্ধ করার হওক বিধান,
মায়ের ভাষার অপব্যবহার আর নয়,
শপথ করার এখনই সময়।

তাসনিম আক্তার মীম
কুমিল্লা
১৯/২/২০২৪

Previous articleফুলে ফুলে প্রজাপতি
Next articleএকটি কুকুরের আত্মকথা
প্রতিধ্বনি
প্রতিধ্বনি একটি অনলাইন ম্যাগাজিন। শিল্প,সাহিত্য,রাজনীতি,অর্থনীতি,ইতিহাস ঐতিহ্য সহ নানা বিষয়ে বিভিন্ন প্রজন্ম কী ভাবছে তা এখানে প্রকাশ করা হয়। নবীন প্রবীণ লেখকদের কাছে প্রতিধ্বনি একটি দারুণ প্ল্যাটফর্ম রুপে আবির্ভূত হয়েছে। সব বয়সী লেখক ও পাঠকদের জন্য নানা ভাবে প্রতিধ্বনি প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। অনেক প্রতিভাবান লেখক আড়ালেই থেকে যায় তাদের লেখা প্রকাশের প্ল্যাটফর্মের অভাবে। আমরা সেই সব প্রতিভাবান লেখকদের লেখা সবার সামনে তুলে ধরতে চাই। আমরা চাই ন্যায়সঙ্গত প্রতিটি বিষয় দ্বিধাহীনচিত্ত্বে তুলে ধরতে। আপনিও যদি একজন সাহসী কলম সৈনিক হয়ে থাকেন তবে আপনাকে স্বাগতম। প্রতিধ্বনিতে যুক্ত হয়ে আওয়াজ তুলুন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here