সিয়াম রাফিন
উত্তমে উত্তমে আজ অধম হইয়াছি
নিজেকে যেন মাটিতেই পাইয়াছি
যেথাই যাই সেথায় ছ্যাছড়াটিই খাই
একুলেতে ঘুরি আবার ওকুলেতেই যাই
বগলেতে জীবন বৃত্তান্ত চাপাই
ঠাই নাই ঠাই নাই জীবনেতে কুল নাই
দীর্ঘ বেদনা তবু অঙ্গেতে ছাপ নাই
তবুও কেন সব মানবে আমায় সুধায়
মোর নাকি বাচিবার অধিকার ই নাই?
আইএ বিএ তে ছিলাম বোধহয় শীর্ষে পাচঁ
গুরুজন কহিলেন, বুকে হাত দিয়া
উজ্জ্বলতায় ভরা নাকি মোর জীবনের সাচ
সাচ হয়ত যাই ভাংগিয়া হইয়াছেও তাই
দীর্ঘ দশটি বছর খাটিয়াও যোগ্য স্থান নাহি পাই
ঘুরিতে ঘুরিতে চিনিয়াছি মানুষ, চিনিয়াছি বহু পথ
তবুও যেন এই ধরণীতে মোর ঠাই নাই ঠাই নাই।
ঘুরিতে ঘুরিতে একটি দিনে বাবুসাব হেসে বললেন
কিরে ব্যাটা কে ওখানে পাছে পাছে হাটিতেছে
এইত সেই, সেই গুরুজন যিনি
উজ্জ্বল করিয়াছিলেন মোর জীবন
সম্মানের সাথে তাকে জানালাম সম্ভাষণ
কিরে বাপু, রফিক্কাও না তুমি?
বেশভূষায় চাহিলাম ঠাওর নাহি পাহিলাম!
অপমান আর সহিতে নাহ পারিলাম
উত্তর খানি দিলুম এবার মুখ তুলিয়া
মাইনে যদি হয় হাজারে দশ
পড়নে কি শোভা পায় মোর দামী বসন-গজ?
এই কালেতে দশ হাজারে জীবন কি চলে?
শুধু সবজি কিনতেই সব টাকাই যায় জলে।
না বাড়াইয়ে কথা ফিরিয়া আসিলাম বাসা
অন্তরে চাপা ব্যাথা যেন তীব্র হইয়া উঠিল
সঙ্গিনীর সহিত বিহা খানও নাহি টিকিল
চাকুরিখানাও নাহি ঠিক ঠাক করিয়া জুটিল
গুরুজনের নীতিকথার সে জীবন সাচ
ভাঙ্গিয়া স্বয়ং ফেলনা কাগজেই মুড়িলো।
আর বুঝি পথ নাই বাচিবার দিশ নাই
সব ভাবিয়া ভাবিয়া বেশ তীব্র হইল ব্যাথা
নিঃশ্বাসে টান বাড়িল কষ্ট চোখে আপছা আলোয়
অন্তরে ডাক উঠিল,
এই বুঝি, এই বুঝি, বন্ধ হইবে মোর জীবনের সব কথা
অবশেষে দেহখানা মাটিতে লুটাইয়াই পড়িল।।।
সিয়াম রাফিন
ঠিকানাঃ বলিয়ারপুর , সাভার ,ঢাকা