শিশির আজম
ষাঁড়
আমার ঘুমের ভেতরেই ষাঁড়টা আমাকে গুতো মারলো
আমি উচ্চবাচ্চ করলাম না
আমি দেখেছি সন্ন্যাসীদের যখন ওরা দুধে চুমুক দেয়
একটা কথাও বলে না
ষাঁড়টা আরও ভয়ংকর কিছু করে ফেলতে পারে
এ আমি জানতাম
অনেকটা জেগে থেকেছি অনেকটা ঘুমিয়েছি
হয় তো এভাবে আরও চলবে
হয় তো আরও অপেক্ষা করতে হবে
আমারও ষাঁড় রয়েছে
ও নিজেকে দেখছে
জানো তো ষাঁড় কোন কিছুই ভালভাবে নেয় না
মিল
বেশ অনায়াশে আমরা কবিতা লিখি
পাহাড় নিয়ে
প্রজাপতি নিয়ে
জন্মভূমি নিয়ে
বিরক্তি ছাড়াই আমরা কবিতা লিখি
এমন কি
কবিতা নিয়েও
হেমন্তের রাতে আমরা কবিতা লিখি
মা নিয়ে
আমাদের যে পরাক্রমশালী শাসক
তাকে নিয়েও
অনিষ্টকারীর তকমা এড়িয়ে আমরা আর কতোদিন লিখবো
কবিতা
এ প্রত্যাশা কি অমূলক
যে কবিতা
নিজেই একদিন লিখতে শুরু করবে
আমাদেরকে
আমরা
আবার মিশে যেতে পারবো
জগতের মহাসত্তায়