বিপরীত সময়ের মুখোমুখি

মুহাঃহাবিবুররহমান

এইখানে একটি পদচিহ্ন একেঁ দাও-

বিস্তর ফাক রেখে দাড়াও রৌদ্রজ্জল দিনের শুরু ভাগে,

কোনো রাগ কিংবা অভিমান যেন তোমাকে স্পর্শ করতে না পারে।

দিনের প্রথম ভাগের নরম রোদের তাপে উত্তপ্ত হবে তোমার মসৃন শরীর

চুলের ডগায় জমবে ঘামের ফোটা-

শ্রাবনে ঝরা ধারার মতো ঝরতে পারে নিঃসঙ্গ বৃষ্টির কণা

প্লাবিত মেঠ পথে জমে থাকবে ঘোলা জল অথবা তাবৎ জঞ্জালরাশি,

সে পথে যায়না হাটা

নগ্ন পায়ে বিঁধে চোরাকাটা আর মরা শামুকের দেহ।

এইখানে কতক্ষণ দাড়াতে পারবে জানি সে শক্তির কথা?

তোমার ইচ্ছে শক্তি দৃঢ় মনোবলের ভাষা বুঝিনি কোনোদিন,

আমাকে বুঝতে দিও তোমার ভিতর বাহির, মৌনতা-উল্রাশের চেনা অচেনার গলি।

সব উঞ্ষতা লুকিয়ে রাখবে জানি, হৃদয়ের বালু চরে লাল কাঁকড়ার দাপাদাপি দেখে

যৌবন তোমার জাগবে সন্ধ্যা রাগের সুরে..

কম্পিত পদভারে দাড়াবে সামনে এসে দিন শেষের ম্রিয়মান আলোয় নত মুখে।

কি যে বিচ্ছিন্ন সময়ের মাঝে সমস্ত শরীর জুড়ে ক্ষত যন্ত্রনা মাখামাখি

তবুও শক্ত হয়ে দাড়াবে জানি, শক্ত হয়ে দাড়াতে হবেই

চারি পাশের লোলুপ দৃষ্টি পোড়াতে পারে স্বপ্নগুলো, একদম সত্যি জেনে নিও,

বিশ্বাস রাখবে নিজের উপর-

আমাদের পৃথিবীটা নষ্ট হয়ে গেছে, জলন্ত বারুদের পরে নিমজ্জমান মানবতা

সত্যি এবং মিথ্যের মাঝে প্রভেদের দেয়াল নেই তাই সব গোলমেলে।

শব্দহীন একটি নিঃসঙ্গ কুঠরীর দেয়াল ভেদ করে

কখনো বাইরে যাবেনা চিৎকার ধ্বনি-

নিরন্ন মানুষ মরবে জটরের জ্বালায়, পিপাসায় অথবা বোবা কান্নার তোড়ে

তার এবং তাদের কষ্টের সীমানেই জাগতিক প্রান্তরে।

বাইরে তখনও কথার ফুলঝুড়ি ঝরবে মঞ্চে ময়দানে।

তুমি দাঁড়াবে তবুও ধর্য ধরে এক বুক যন্ত্রনার স্রোত ঠেলে

বিপরীত সময়ের মুখোমুখি।

———————

মুহাঃহাবিবুররহমান

প্রভাষক

ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ

নওয়াবেঁকী মহাবিদ্যালয়

শ্যামনগর, সাতক্ষীরা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here