রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ঝগড়া যেন D.N.A-এর অংশ, অবশ্যই আজ থেকে নয়। প্রকৃতপক্ষে মধ্যযুগে শুরু হয়ে ছিল দ্য গুয়েলফস এবং ঘিবেলাইনস যাকে ইতালীয় ভাষায় গুয়েলফি ই গিবোলিনি মধ্য ইতালি এবং উত্তর ইতালির ইতালীয় রাজ্য গুলির মধ্য শুরু হওয়া এই সংঘর্ষ (ইতালী তখন ছোট ছোট রাজ্যে বিভক্ত ছিল) তা পরে পুরো উপদ্বীপে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছিল। এটা ছিল পোপ এবং সম্রাট দ্বিতীয় ফ্রেডেরিকের মধ্যে সংঘর্ষ।
সেই সময়, গেল্ফরা পোপের পক্ষে ছিল, গিবেলাইনরা সম্রাটের পক্ষে । প্রকৃতপক্ষে, যথাক্রমে পোপ বা চার্চ বা সম্রাট উভয়ের ভাগ্যই খুব এক্টা প্রসন্ন ছিলনা তারা আস্তে আস্তে যুদ্ধের আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন কিন্তু বিভক্তির যেই চাঁড়া রোপন করেন তা কিন্তু আস্তে মহিরুহু হয়ে পরে। কারণ প্রতিটি শহরে এই জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক স্বার্থ এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক পরিস্থিতি নিরন্তর পরিবর্তন হয়েছিল। এখানে যা হয় নির্দিষ্ট কিছু পরিবারের কাছে।
সব কিছু বন্ধকি পরেযায়। বিশেষ করে, ত্রয়োদশ শতাব্দীর ফ্লোরেন্সে শাসকএবং অলিগার্কি দুটি দলের মধ্যে কমবেশি এইভাবে বন্টন করা হয়েছিল: প্রাচীন সামন্ততান্ত্রিক অভিজাততন্ত্র “ধনসম্পদ” সাম্রাজ্যের সবকিছু । আজকে আমরা এক্টা শব্দ প্রায়ই ব্যাবহার করি “পারভেনাস” বা পারভেনু হল একটি অবমাননাকর শব্দ যা অস্পষ্ট বংশোদ্ভূত একজন ব্যক্তিকে বোঝায় যিনি সম্পদ, প্রভাব বা সেলিব্রিটি অর্জন করেছেন।
পারভেন্যু হিসাবে বর্ণনা করে থাকি ‘পারভেনু’ কী?
– আমি রক্তে ধারাবাহিকতা বিশ্বাস করি, এবং পারভেনু অভিজাতদের সাথে সাথে কোন ঝামেলা করতে চাই না। যেখানে তুলনামূলকভাবে সাম্প্রতিক “”পারভেনাস” প্রথম বেপরোয়া আর্থিক ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমে অল্প সময়ের মধ্যে সমৃদ্ধ অর্জন , পোপ উল্লাসিত হবেন। টাস্কান আজকে যেটা টোস্কানা ল্যান্ডস্কেপে, এবং ফ্লোরেন্স বেশিরভাগই ছিল গুয়েলফ, পিসা এবং সিয়েনার মতো প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী শহরগুলি তে ছিল , ঘিবেলাইন।
১২৪৯ সালের দিকে, সম্রাট ফ্রেডরিক দ্বিতীয় তার ক্ষমতার জোরে তাসকানির (তাসকানা বাসি ) উপর সাম্রাজ্যের নিয়ন্ত্রণকে আরও কঠোর করে তোলে। তখন শহরের সবচেয়ে শক্তিশালী ঘিবেলাইন দলটির নেতা “ফারিনাটা দেগলি উবার্তি” ফ্লোরেনটাইনের ফিরিয়েন্স বাসিদের জনজীবনে নিজেকে দৃঢ়ভাবে প্রতিস্ঠিত করেন। লোকটি সাহসিকতার পাশাপাশি কমনীয়তা এবং সুশীল কথাবার্তায় প্রতিভাধর ছিল।
মোটকথা, জনগণের প্রধানের ভূমিকায় সকল গুণাবলী তার মধ্যে ছিল। কিন্তু বাস্তবে সে ছিল পক্ষপাতদুষ্ট, উচ্চাভিলাষী এবং নীতিহীন, প্রায় বিশ বছর ধরে তিনি সর্বোচ্চ ঔদ্ধত্যের সাথে তার রাজনৈতিক প্রভাব প্রয়োগ করেছিলেন। একই কারণে, জনগনের মাঝে তাকে প্রভাব কে অবজ্ঞা করতে একটি গ্রুপ তৈরি হয় । “ডিসপিট্টো”, এমন কি বিখ্যাত দান্তে আলিগিয়েরি (ইতালীয় কবি) তর লেখার মাধ্যম কিছুটা তুলে ধরেন। অপমানজনকভাবে জিজ্ঞাসা করতে, ইনফার্নোর ক্যান্টো তে (দ্যা ডিভাইন কমেডি) LA DIVINA COMMEDIA, ১৩১০-১৪ – ইনফের্নো ।
এখানে সেই কথা গুলিই বলেছেন। দান্তের পূর্বপুরুষদের আভিজাত্যের অভাব ছিল। এই চরিত্রটির সাথে ফ্লোরেনটাইন গুয়েলফ দলের প্রধান, সেটি হল কার্ড। অট্টাভিয়ানো দেগলি উবালদিনি, ক্ষিপ্তভাবে লড়াই করেছিলেন, মুগেলোর খুব ধনী ঘিবেলিন পরিবারের বংশোদ্ভূত ।তার নাস্তিক হওয়া সত্ত্বেও বিরোধীতার স্বার্থে ধর্মান্তরিত হয়েছিলেন এই রাজপুত্র। দান্তে অলিগেরির এইচরিত্র গুলি কিন্তু এমনি এমনি তৈরি করেনি। ফেব্রুয়ারী ১২৪৮ সালে, টাওয়ার সংঘর্ষের পর, গুয়েলফ নেতারা রাতে দড়ি কেটে ফেলে, যুদ্ধের মাঠটি ফারিনাটা ফিরেন্স বাসি এবং তার ঘিবেলাইনদের কাছে মুক্ত রেখে দেয়।
১২৫০ সালে সম্রাট ফ্রেডরিক এর মৃত্যু আবারও ফ্রিরেন্স শহরের ক্ষমতার ভারসাম্যকে উল্টে দেয়, এবার ঘিবেলাইনদের পালিয়ে যেতে বাধ্য করে। কে এসেছিল এবং গিয়েছিল তার উপর নির্ভর করে, হারানো অংশের সম্পত্তি লুণ্ঠন। এতটাই যে খারাপ অবস্হায় ১৩ শতকের মাঝামাঝি সময়ে ফ্লোরেন্সের ঘন ঘন পরিবর্তনের কারণে ফ্লোরেন্স কমবেশি ধ্বংসস্তূপের স্তূপে পরিণত হয়। প্রায় এক দশকের সংঘর্ষের পর, ৪ সেপ্টেম্বর ১২৬০ -এ “রেডেড রেশনেম” সংঘটিত হয়েছিল, যখন সিয়েনার কাছে মন্টাপের্তিতে, মধ্য ইতালির গুয়েলফেরিয়া এবং ঘিবেলিনেরিয়া সংঘর্ষ হয়েছিল, প্রায় ৫০হাজার জন অস্ত্রধারী ছিল, যা কমবেশি সমানভাবে বিভক্ত ছিল। দুই পক্ষ, মৃত্যুর জন্য লড়াই করতো ।
ভয়ঙ্কর ছিলমানুষের “যন্ত্রণা এবং ‘মহা ধ্বংস যা লাল রঙে রঞ্জিত করে তুলেছিল” (ইনফার্নো, ক্যান্টো এক্স), প্রায় ১২ হাজার লোক মারা গিয়েছিল, তবে তার চেয়েও ভয়ঙ্কর ছিল গেল্ফদের পরাজয় এবং তাদের কে বন্দি করে রাখা । যাদের মধ্যে অনেক বন্দী অবস্হায় মৃত্যু বরন করে । , যারা বেঁচে ছিল শেষটি দশ বছর পরে সিয়েনের কারাগার থেকে মুক্তি পায়। দান্তে (Dante) (১২৬৫ – ১৩২১) ছিলেন এক বিখ্যাত ইতালীয় কবি। দান্তের জন্ম ইতালির ফ্লোরেন্সে। বিখ্যাত গ্রন্থ দ্য ডিভাইন কমেডি তে তার চিত্রায়ন ইতিহাসের এক রাজসাক্ষী।