অভিনন্দন! গ্রাসিয়াস!! কমরেড লুইস লুলা ডি সিলভা। ল্যাটিন আমেরিকায় এখন যে ঋতুই থাকুক আজ এক যুগ পর পুরো ব্রাজিল জুড়ে আকাশ ভেঙ্গে ঝরছে বিপ্লবী বৃষ্টি।
এপ্রিল, ১৯৮০। মেটাল ওয়ার্কারদের ১৭-দিনের ধর্মঘটে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য তাঁকে গ্রেপ্তার করে সামরিক জান্তা। ৩১ দিন পর পেলেন মুক্তি। জেলে থেকে বেরিয়েই আবার শ্রমিক আন্দোলনে। হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান। মাত্র চোদ্দ বছর বয়সে একজন শ্রমিক হিসেবে যাঁর জীবন শুরু।
এরপর ২০০৩ সাল। ব্রাজিলের প্রথম বামপন্থী রাষ্ট্রপতি হিসাবে নির্বাচিত হলেন।দ্বিতীয় দফায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার পর ২০১১-তে যখন বিদায় নিচ্ছেন, তখন তাঁর জনসমর্থনের হার ছিল ৮৩ শতাংশ। হ্যাঁ, ৮৩ শতাংশ, ছাঁপার ভুল নয়। স্বাভাবিক। রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন তাঁর সরকার লক্ষ লক্ষ মানুষকে তুলে এনেছে দারিদ্র্যসীমার অন্ধকার থেকে।
এরপর ১১ নভেম্বর, ২০১৯। আবারো ভুয়া মামলায় বৃদ্ধ বয়সে জেলে কাটালেন ৫৮১ দিন।
এসব ইতিহাস। এই অসামান্য লড়াকু মানুষটি একটি সংগ্রামের আস্ত দলিল। লাতিন আমেরিকার ইতিহাস নতুন করে লেখা হচ্ছে। এবার পাখির চোখ ইউরোপ। শ্রমিক আন্দোলন ক্রমশ তীব্র হচ্ছে।
৩৩ য়ের লুলা, শ্রমিক, সংগঠক লুলা, নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইস্পাত কারখানার সফল ধর্মঘটের। শ্রমিক নেতা, সংগঠক লুলা এরপর জেল খাটবেন। শ্রমিক শ্রেণীর পক্ষ নেওয়ার অপরাধে। কিন্তু জেল তাকে আটকে রাখতে পারবে না। লুলা বসবেন মসনদে, একজন শ্রমিক হবেন দেশটির প্রেসিডেন্ট। জনতার প্রেসিডেন্ট।
এই পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে মানবতাবিরোধী জানোয়ারদের বিরুদ্ধে গণমানুষের হয়ে দুর্বিনীত সব সংগ্রাম চালাচ্ছেন কয়েকজন বয়সে অশীতিপর বৃদ্ধ কিন্ত মননে ঋজু কিছু যুবা।যুক্তরাজ্যে জেরেমি করবিন,খোদ মার্কিন মুল্লুকে বার্নি স্যান্ডার্সরা লড়ে গেছেন,লড়ে যাচ্ছেন বারবার হেরে গিয়েও।এদিকে বলসেনারোর মত জন্তু জানোয়ারের বাচ্চার বিরুদ্ধে একটা ভাঙাচোরা অবস্থায় থেকেও এই বৃদ্ধ বয়সে জিতে গেলেন লুলা ডা সিলভা।
লাল সালাম,কমরেড লুলা ডা সিলভা।