Wednesday, October 9, 2024
spot_imgspot_img
Homeসাহিত্যলেখকের ভাবনাঅখণ্ড ভারত বনাম আমাদের পাঠ্যপুস্তক

অখণ্ড ভারত বনাম আমাদের পাঠ্যপুস্তক

ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির আদর্শিক অভিভাবক আরএসএস বা রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের প্রধান নেতা মোহন ভাগবত গত সপ্তাহে বলেছেন, মুসলিমদের শ্রেষ্ঠত্ববাদী মানসিকতা বিসর্জন দিতে হবে। মাস দুয়েক আগে গত নভেম্বরে বলেছেন, বৃহত্তর ভারতবর্ষে বসবাসকারী প্রত্যেক ব্যাক্তিই সত্যিকার অর্থে হিন্দু।

আরও দুই মাস পিছিয়ে যান, গত আগস্টে ভারতের স্বাধীনতার পঁচাত্তর বছর পূর্তির অনুষ্ঠানে তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, অচিরেই বাংলাদেশ সহ আরও কয়েকটি আঞ্চলিক ভূখণ্ডকে একত্র করে “অখণ্ড ভারত” নামে একটি সার্বভৌম হিন্দুরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা হবে। মোহন ভাগবতের নেতৃত্বে আরএসএস সেই নতুন দেশের সংবিধানও ইতিমধ্যে রচনা করে ফেলেছে যেখানে বলা হয়েছে মুসলমানদের কোন ভোটাধিকার থাকবেনা।

এই অখণ্ড ভারত প্রতিষ্ঠার জন্য মোহন ভাগবত একটি সময়সীমাও ঘোষণা করেছেন। নরেন্দ্র মোদির বিজেপি’কে সাথে নিয়ে পরবর্তী পঁচিশ বছরের মধ্যেই তিনি ও তার দল আরএসএস এই কাজ শেষ করতে চান।

“পঁচিশ বছর” সময়টা এখানে লক্ষ্যণীয়। কেন? সেকথা বলার জন্যই আজকের এই কন্টেন্ট।

আজকে যারা আমাদের দেশের মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী আগামী পঁচিশ বছর পরে এদের বয়স হবে ৩৫ থেকে ৪০ এর আশেপাশে। কৈশোর আর তারুণ্য পেরিয়ে যৌবনের সেই পারফেক্ট বয়সে তারা উপনীত হবে যেই বয়সে মেধা, শক্তি ও কার্যক্ষমতা দিয়ে সমাজের ব্যপক পরিবর্তন আনা সম্ভব।

এখন বুঝতে পারছেন মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের পাঠ্যপুস্তকে কোন উদ্দেশ্যে মোঘল শাসকদের খলনায়ক হিসেবে দেখানো হয়েছে?

এখন বুঝতে পারছেন ……

(i) কোন প্রোগ্রেসিভ সেকুলারদেরকে খুশী করতে;

(ii) কোন অ্যাগ্রেসিভ ন্যারেটিভকে গ্রহনযোগ্যতা দিতে; আর

(iii) কোন রিগ্রেসিভ এজেন্ডাকে বাস্তবায়ন করতে

এমন রেটোরিক প্রোপাগান্ডায় ভরপুর একটা কারিকুলাম প্রণয়ন করা হয়েছে যেখানে সুলতানি শাসনামলের এডভান্সড সিভিলাইজেশনের চেয়ে আর্য সভ্যতা, বৈদিক সংস্কৃতি, মৌর্য সাম্রাজ্য, পাল ও সেন রাজবংশকে মহিমান্বিত করে উপস্থাপন করা হয়েছে?

আমি কিন্তু বুঝতে পারছিনা।

আমি এটাও বুঝতে পারছিনা, এই পাঠ্যপুস্তক প্রবর্তন করেছে বাংলাদেশের National Curriculum & Textbook Board, Bangladesh নাকি ভারতের National Council of Educational Research and Training – NCERT

আপনারা বুঝলে আমাকে জানাবেন।

Faatiha Aayat

Faatiha Aayat Official Group

Facebook Comments Box
ফাতিহা আয়াত
ফাতিহা আয়াতhttp://faatihaaayat.com/
ফাতিহা আয়াত যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বসবাসকারী বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত লেখক, শিশু অধিকার কর্মী ও একজন জলবায়ু পরিবর্তন সংস্কারক। • ২০১৮ সালে মাত্র সাত বছর বয়সে তিনি জাতিসঙ্ঘের ইকোসক চেম্বারে আন্তর্জাতিক যুব দিবস সম্মেলনে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে বক্তব্য রাখেন। পরবর্তী বছর ২০১৯ সালে তিনি জাতিসঙ্ঘের ৭৪তম সাধারণ অধিবেশনে শিশু অবমাননা, লিংগ বৈষম্য ও পারিবারিক সহিংসতা বিষয়ে বক্তব্য রাখেন। • ২০২০ সালে তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ম বার্ষিক হার্ভার্ড আন্ডারগ্রাজুয়েট উনিসেফ ক্লাব কনফারেন্সে জলবায়ু প্রশমন ও টেকসই অভিযোজন বিষয়ে বক্তব্য রাখেন। ফাতিহা আয়াত ২০২১ সালে স্কটল্যান্ডে অনুষ্টিতব্য জাতিসঙ্ঘ জলবায়ু পরিবর্তন সম্মলেনে প্রণিতব্য গ্লাসগো অ্যাগ্রিমেন্টের খসড়া তৈরীতে জলবায়ু পরিবর্তনের রূপরেখা সম্মেলনের অধীনে একজন অংশীদারের ভুমিকা পালন করেন। • একই বছর তিনি জাতিসঙ্ঘের ৭৬তম সাধারণ অধিবেশনের বিজ্ঞান সম্মেলনের ফিচারড স্পীকারের এবং জর্জিয়া টেক বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশ্বিক জলবায়ু কর্মসূচী সম্মেলনের লাইটনিং স্পীকারের সম্মাননা পান। • ফাতিহা আয়াত ২০২২ সালে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে জলবায়ু পরিবর্তন এবং বৈশ্বিক সহযোগিতার বিষয়ে যুব দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে ভাষণ দেন। এলকই বছর তিনি একটি উপযুক্ত এবং টেকসই ভবিষ্যতের জন্য পরিবেশ, বাণিজ্য, স্বাস্থ্য, উদ্ভাবন, সংস্কৃতি এবং নিরাপত্তা সম্পর্কিত কনকর্ডিয়া বার্ষিক সম্মেলনে কথা বলেন এবনং ফোর্ড ফাউন্ডেশন সেন্টার ফর সিভিল জাস্টিস-এ একটি কল টু অ্যাকশন বক্তব্য দেন। • ফাতিহা আয়াত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে এলিমেন্টারি গ্রাজুয়েট হিসেবে “প্রেসিডেন্ট’স অ্যাওয়ার্ড ফর আউটস্ট্যান্ডিং অ্যাকাডেমিক এক্সিলেন্স - গোল্ড সার্টিফিকেট” লাভ করেন। • ফাতিহা আয়াত হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব কন্টিনিউইং এডুকেশন থেকে লিডারশীপ এক্সিলেন্সের উপর প্রোফেসশনাল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম সম্পন্ন করেন। • ফাতিহা আয়াতের তিনটি বই প্রকাশিত হয়েছে। অ্যাামাযন পাবলিশিং থেকে প্রকাশিত হয়েছে বেয়ার উইথ অ্যা বেয়ার এবং সিস্টার্স রিইউনিয়ন। আর অনন্যা প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়েছে ডায়েরী অব অ্যা মুসলিম কিড। তিনি CHIL&D নামের একটি সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা যেখানে তিনি জলবায়ু, স্বাস্থ্য, তথ্য, শিক্ষা ও উন্নয়ন নিয়ে কাজ করেন।
RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments