৯০ ভাগ কিশোর-কিশোরী মোবাইল ফোন ব্যবহার করে

0
308

দেশের ৯০ শতাংশ কিশোর-কিশোরী মোবাইল ফোন ব্যবহার করে। বিবাহিত কিশোরীদের প্রায় অর্ধেক ও অবিবাহিত কিশোরীর এক-চতুর্থাংশের নিজস্ব মোবাইল ফোন আছে। কিশোরদের ৫০ শতাংশ এবং বিবাহিত এবং অবিবাহিত কিশোরীদের ২০ শতাংশ সপ্তাহে কমপক্ষে একবার ইন্টারনেট ব্যবহার করে। প্রতি পাঁচটি পরিবারের একটিতে কমপক্ষে একজন কিশোর/কিশোরী (১৫-১৯ বছর বয়সী) আছে; যাদের মধ্যে ৯৭ শতাংশ জীবনের কোনো না কোনো সময় প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় (স্কুল, কলেজ বা মাদ্রাসা) অংশ নিয়েছে।

জরিপে দেখা যায়, ৭৩ শতাংশ অবিবাহিত কিশোরী এবং ৬৬ শতাংশ অবিবাহিত কিশোর বয়ঃসন্ধিকালীন পরিবর্তন সম্পর্কে জানতে আগ্রহী। এই তথ্যের জন্য কিশোরীরা বইয়ের ওপর নির্ভর করলেও কিশোরদের তথ্যসংগ্রহের মূল মাধ্যম ইন্টারনেট। বিবাহিত ও অবিবাহিত কিশোরীদের ৯৮ শতাংশই ঋতুকালীন সময়ে একবার ব্যবহারযোগ্য প্যাড বা সাবান-পানি দিয়ে ধুয়ে বহুবার ব্যবহার করা যায়-এমন উপাদান ব্যবহার করে। তবে ঋতুকালীন স্বাস্থ্যকর আচরণের প্রবণতা বিবাহিত কিশোরীদের মধ্যে নয় শতাংশ এবং অবিবাহিতদের মধ্যে ১২ শতাংশ মাত্র। প্রতি চারজনের একজন কিশোরী (বিবাহিত এবং অবিবাহিত) ঋতুকালীন সময়ে কমপক্ষে একদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়া বন্ধ রাখে। 

জরিপের তথ্য অনুযায়ী, কিশোরীদের মধ্যে তিন শতাংশের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে, স্বামীর থেকে পৃথক আছে অথবা বিধবা হয়েছে। এছাড়া কিশোরীদের ১৭ শতাংশ বর্তমানে চার বছর বা অধিক সময় ধরে বিবাহিত। ৩০ শতাংশ কিশোরীর স্বামীর সঙ্গে বয়সের পার্থক্য কমপক্ষে দশ বছর। জরিপে আরও দেখা যায়, সর্বোচ্চসংখ্যক কিশোরী (৪৫ শতাংশ) যাদের স্বামীর সঙ্গে বয়সের পার্থক্য দশ বছর বা তার অধিক। 

জরিপে প্রতিবেদনে দেখা যায়, এক-তৃতীয়াংশ (৩৪ শতাংশ) বিবাহিত কিশোরী এবং প্রায় এক-পঞ্চমাংশ (১৮ শতাংশ) অবিবাহিত কিশোরী মনে করে স্ত্রী কথা না শুনলে স্বামী তাকে শারীরিকভাবে আঘাতের অধিকার রাখে। ৮৮ শতাংশ অবিবাহিত কিশোরী পথে এবং ১৯ শতাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়ার পথে যৌন নিপীড়নের শিকার হয়। 

প্রতিনিধিত্বশীল ৭২ হাজার ৮০০ পরিবারকে জরিপের নমুনায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। যার মধ্যে ৬৭ হাজার ৯৩টি পরিবারে জরিপ পরিচালনা করা হয়। এরমধ্যে চার হাজার ৯২৬ জন বিবাহিত কিশোরী এবং সাত হাজার ৮০০ অবিবাহিত কিশোরী। এছাড়া পাঁচ হাজার ৫২৩ অবিবাহিত কিশোরকে জরিপের আওতায় সাক্ষাৎকার নেয়া হয়। 

সমীক্ষা অনুসারে, প্রতি দশজন অবিবাহিত কিশোর-কিশোরীর মধ্যে একজন কৃশকায় ও কম ওজনের। অন্য দশ ভাগের এক ভাগ স্থূলকায় বা বেশি ওজনের। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো-৭৬ শতাংশ কিশোর এবং ৮৫ শতাংশ কিশোরী খাদ্যের পাঁচটি গ্রুপ যেমন-শাকসবজি, স্টার্চ জাতীয় খাবার, দুগ্ধ, প্রোটিন এবং ফ্যাটযুক্ত খাবারের মধ্যে চারটি গ্রুপেরও বেশি খাবার গ্রহণ করে থাকে। বেশিরভাগ কিশোর-কিশোরী (৭০-৮০ শতাংশ) আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খায়। মাত্র এক চতুর্থাংশ কিশোর-কিশোরী ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করে।

জরিপের ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আব্দুল মান্নান; স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মোহাম্মাদ আলিনূর এবং মার্কিন দাতা সংস্থা ইউএসএআইডি’র পপুলেশন, হেলথ, নিউট্রিশন অ্যান্ড এডুকেশন অফিসের পরিচালক জার্সেস সিধওয়া।

Previous articleস্প্যাম কল ঠেকাতে
Next articleশিশু-কিশোরদের মোবাইল ফোনের নেশা দূর করার উপায়
প্রতিধ্বনি
প্রতিধ্বনি একটি অনলাইন ম্যাগাজিন। শিল্প,সাহিত্য,রাজনীতি,অর্থনীতি,ইতিহাস ঐতিহ্য সহ নানা বিষয়ে বিভিন্ন প্রজন্ম কী ভাবছে তা এখানে প্রকাশ করা হয়। নবীন প্রবীণ লেখকদের কাছে প্রতিধ্বনি একটি দারুণ প্ল্যাটফর্ম রুপে আবির্ভূত হয়েছে। সব বয়সী লেখক ও পাঠকদের জন্য নানা ভাবে প্রতিধ্বনি প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। অনেক প্রতিভাবান লেখক আড়ালেই থেকে যায় তাদের লেখা প্রকাশের প্ল্যাটফর্মের অভাবে। আমরা সেই সব প্রতিভাবান লেখকদের লেখা সবার সামনে তুলে ধরতে চাই। আমরা চাই ন্যায়সঙ্গত প্রতিটি বিষয় দ্বিধাহীনচিত্ত্বে তুলে ধরতে। আপনিও যদি একজন সাহসী কলম সৈনিক হয়ে থাকেন তবে আপনাকে স্বাগতম। প্রতিধ্বনিতে যুক্ত হয়ে আওয়াজ তুলুন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here