Wednesday, October 9, 2024
spot_imgspot_img
Homeসাহিত্যসাহিত্য সমালোচনাআঞ্জুম ও চাঁদের বুড়ি

আঞ্জুম ও চাঁদের বুড়ি

আচমকা এক রাতে চাঁদের বুড়ি এসে পড়লো আনজুমদের উঠোনে। চিন্তায় পড়লো সবাই।কিভাবে ফিরিয়ে দেয়া বুড়িকে চাঁদের দেশে? ছোট্ট টুনটুনিকে নিয়ে অভিযানে বের হলো আনজুম ও চাঁদের বুড়ি। ভালো করতে গিয়ে বিপদে ফেলে দিলো জ্বিন সালাদিন। এদিকে পাহাড়ের মতো বড় হিংস্র দানবীয় এক সাপ ব্যাসিলিস্কের কাছে বন্দী আছে ঘুমন্ত রাজকন্যা। তাকে উদ্ধার করলে জানা যাবে পঙ্খীরাজের খবর।  জঙ্গলে সোনার ডিমপাড়া হাঁসটাকে নিয়ে বিপদে পড়লো হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালকে খুজতে গিয়ে। যেতে হবে নাকি তুষার রাণীর ভয়ংকর রাজপ্রাসাদে। আকাশে রাগী গ্রিফিনের গর্জন।ফিনিক্সের দুষ্টুমি আর ইয়েতি মামার উপহার… এর মাঝে কি শেষ পর্যন্ত ফিরতে পারবে চাঁদের বুড়ি চাঁদের দেশে?

কাহিনী সংক্ষেপ:

দূরন্ত মেয়ে আনজুমদের উঠোনে হুট করে একরাতে পা পিছলে চাঁদের বুড়ি এসে পড়ে। তারপর সে ফিরে যাবার জন্য কাঁদতে থাকে। আনজুম কি করবে ভেবে পায় না।

বাড়ির পাশে পুকুর পাড়ে জংলা মতো জায়গাটিতে রাধুনী ইদুর ও ব্যাঙ রাজকুমারকে নিয়ে জরুরী সভা বসে। চাঁদের বুড়ি পৃথিবীতে থাকলে মহাবিপদ। জোয়ার ভাটা নিয়েতো ঝামেলা হয়েই যাবে, তার উপর চাঁদ দখল করে বসতে পারে ভয়ংকর ডাইনীরা। তার চেয়ে বড় ভয়ের কথা পৃথিবীতে পড়ে বুড়ির শক্তি গেছে কমে। এখন সে ঠিকঠাক চলতে ফিরতেই পারে না। ছোটখাট হামলা হলে আর খুজে পেতে হবে না।

ব্যাঙ রাজকুমার তার ঘুমন্ত রাজকন্যা ও জাদুর আয়নার কথা বলে। বলে পঙ্খীরাজ ঘোড়ার কথা। যে চাঁদের বুড়িকে ফিরিয়ে দিয়ে আসতে পারবে চাঁদে।

ঘুমন্ত রাজকন্যাকে খুজতে আনজুম তার পোষা জ্বিন, বিজ্ঞানী সালাদিনের আবিস্কার করা রকেটে চাঁদের বুড়ি ও মহাজ্ঞানী কচ্ছপকে সঙ্গে নিয়ে অভিযানে বেড়িয়ে পড়ে।

সেখানে তাদের সাথে দেখা হয় সোনার ডিম পাড়া হাসের সাথে। দেখা হয় একটা অসুস্থ রোগাটে ঘোড়ার সাথে যে নিজেকে পঙখীরাজ ঘোড়া বলে দাবি করে।

আনজুম ও তার দল মহাবিপদে পড়ে যায় যখন সে জানতে পারে দানবীয় এক সাপ ব্যাসিলিস্ক পাহারা দিচ্ছে ঘুমন্ত রাজকন্যাকে।

ব্যাসিলিস্ক দমন করতে হলে দরকার হ্যামিলনের বাঁশীওয়ালাকে। কিন্তু বাঁশীওয়ালা ব্যবসার ব্যাপারে খুব সিরিয়াস। আগে মজুরী চাই তার। অ্যাডভান্স না নিয়ে কোন কাজ করবে না সে। আগের বার হ্যামিলন থেকে বাচ্চা ছিনিয়ে নিয়ে চলে গিয়েছিলো। আনজুম ও চাঁদের বুড়ি তাকে কি দেবে?

বিপদ বুঝে সোনার রাজহাঁস আসে বাঁচাতে। সে কথা দেয় সোনার ডিম দেয়ার।

অনেক কষ্টে ব্যাসিলিস্কের কবল থেকে ঘুমন্ত রাজকন্যাকে বাঁচিয়ে পঙ্খীরাজে করে চাঁদের বুড়িকে পৌছে দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু সেখানে বাধ সাধে গ্রিফিন। ভয়ংকর হিংস্র এই পাখিপশু পাহাড়া দিচ্ছে আকাশের সীমানা। চাঁদের বুড়িকে কিছুতেই চাঁদে ফিরতে দেবে না সে।

এদিকে বুড়ির পুরোনো শত্রু শীতের দেশের রানী তুষার ডাইনী, খবর পেয়েছে বুড়ির দুর্বলতার। আক্রমণ করে বসে সেও।

আনজুমরা তখন ফিনিক্স পাখি, মৎস্যকন্যা ও ইয়েতীদের সাহায্য নিয়ে শেষ পর্যন্ত চাঁদের বুড়িকে চাঁদে পাঠাতে পারে।

পুরো পৃথিবী রক্ষা পায় ভয়ংকর এক বিপদ থেকে। চাঁদের বুড়ি তখন মনের সুখে চরকা কাটে।

বইটি লিখেছেন ফারহা আন্দালিব। ছোটদের এই বইটি পাওয়া যাচ্ছে বইটই অ্যাপে। মাত্র ২৫ টাকা খরচ করলেই আপনি মোবাইলে পড়তে পারবেন চমৎকার এই বইটি। ছোটদের উপযোগী দারুণ একটি বই।

Facebook Comments Box
প্রতিধ্বনি
প্রতিধ্বনিhttps://protiddhonii.com
প্রতিধ্বনি একটি অনলাইন ম্যাগাজিন। শিল্প,সাহিত্য,রাজনীতি,অর্থনীতি,ইতিহাস ঐতিহ্য সহ নানা বিষয়ে বিভিন্ন প্রজন্ম কী ভাবছে তা এখানে প্রকাশ করা হয়। নবীন প্রবীণ লেখকদের কাছে প্রতিধ্বনি একটি দারুণ প্ল্যাটফর্ম রুপে আবির্ভূত হয়েছে। সব বয়সী লেখক ও পাঠকদের জন্য নানা ভাবে প্রতিধ্বনি প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। অনেক প্রতিভাবান লেখক আড়ালেই থেকে যায় তাদের লেখা প্রকাশের প্ল্যাটফর্মের অভাবে। আমরা সেই সব প্রতিভাবান লেখকদের লেখা সবার সামনে তুলে ধরতে চাই। আমরা চাই ন্যায়সঙ্গত প্রতিটি বিষয় দ্বিধাহীনচিত্ত্বে তুলে ধরতে। আপনিও যদি একজন সাহসী কলম সৈনিক হয়ে থাকেন তবে আপনাকে স্বাগতম। প্রতিধ্বনিতে যুক্ত হয়ে আওয়াজ তুলুন।
RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments