বিশ্বকাপ প্রেডিকশন

0
1107

ইংল্যান্ডের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নাই। প্রথম ম্যাচে জার্মানীকে নড়বড়ে মনে হলেও তাদের চান্স আছে ০৫٪। কচিকাচার দল স্পেনের ০৫%। ফ্রান্স ১০%। যদিও কাগজে কলমে এবং মাঠে দুই জায়গাতেই ফ্রান্স, স্পেন আর ইংল্যান্ডরে সবচেয়ে বিপজ্জনক মনে হচ্ছে।

কিন্তু বিশ্বকাপের মতো লম্বা টুর্নামেন্টে শুরুতে যারা চূড়ায় থাকে তারা নকআউটে গিয়ে একটা হোঁচট খায়। এরাও খাবে। এটা নিয়তি।

.

সেই হিসেবে ব্রাজিলের অবস্থা ভালো। কাল তারা খুব ভালো খেললেও সেই ভালোটা খেলছে মূলত তাদের আপাত ব্যাকবেঞ্চাররা। তাদের চার ফরোয়ার্ডের মধ্যে তুলনামূলক দুর্বলজন সেরাটা খেলছে। ফার্স্ট বেঞ্চের লোকেরা সেরাটা দেয়া শুরু করলে এদের আরো ভয়ঙ্কর মনে হবে। কিন্তু অসুবিধা হচ্ছে তাদের মিডফিল্ড আর উইং ব্যাক আদৌ চ্যাম্পিয়ন দলের মতো না। ২০০২ এর দল যেমন ব্যালান্স ছিলো, এই দল তেমন না।

মোটের উপর ব্রাজিলের সম্ভাবনা ৪০%

.

আর্জেন্টিনার দল শক্তির বিচারে কাগজে-কলমে ছয় বা সাতে থাকার কথা। কিন্তু এদের দলীয় কেমেস্ট্রি অন্যদের চেয়ে ভালো। দলের সব জায়গাতেই দুর্বলতা আছে। কিন্তু আনফিট খেলোয়াড়দের ফিটনেস রিকভার হলে বলা যায় লেফট উইং ছাড়া কোনো জায়গাতেই খুব বেশি বাজে অবস্থায় নাই। লোসেলসো/গঞ্জালেজ থাকলে সেটাও চলনসই হতো। বৃদ্ধ গোমেজ ভরাডুবি করায় সামনের ম্যাচ থেকে ঐখানে হয়তো ডিমারিয়া/আলভারেজরে ট্রাই করবে। তারা উৎড়ে যাবে। রাইটে মেসি/দিবালা/কোরেয়া আছে। ঐখানে মারিয়ার দরকার নাই।

.

আর্জেন্টিনা ২০০৬ ছাড়া কখনো খুব ভালো দল নিয়ে বিশ্বকাপে আসছে, অথবা বিশ্বকাপে খুব ভালো খেলছে তেমন দেখি নাই। ২০১৪ সালে ফাইনালে কপালের ফেরে হারলেও ফাইনালে উঠছিলো মূলত কপাল গুণেই। ২০১৪ এর দলের চেয়ে বর্তমান দল ভালো। যদিও এই দলে রানিং স্টার কম। কিন্তু আলভারেজ/ফার্নান্দেজের মতো ফিউচার স্টার আছে।

মোটের উপর আর্জেন্টিনার সম্ভাবনাও 40%

.

পর্তুগাল বা অন্য কোনো নতুন দলের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আদৌ কোনো সুযোগ আছে বলে মনে হয় না। আফ্রিকার কোনো দল অঘটন ঘটালেও তা সেমিফাইনাল পর্যন্ত।

.

ব্রাজিল ৪০%

আর্জেন্টিনা ৪০%

ফ্রান্স ১০%

স্পেন ৫%

জার্মানী ৫%

Previous articleস্বাধীনতা 
Next articleকালের বিবর্তনে চন্দ্রমুখী
ইমতিয়াজ মাহমুদ
ইমতিয়াজ মাহমুদ ২৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৮০ সনে ঝালকাঠিতে জন্মগ্রহণ করেন।তিনি দেশের অন্যতম পাঠক প্রিয় কবি। প্রকাশিত বই: ম্যাক্সিম (২০১৬), কালো কৌতুক (২০১৬), পেন্টাকল (২০১৫), নদীর চোখে পানি ও অন্যান্য কোয়াটরেন (২০১৩), মানুষ দেখতে কেমন (২০১০), সার্কাসের সঙ (২০০৮), মৃত্যুর জন্মদাতা (২০০২), অন্ধকারের রোদ্দুরে (২০০০)। পেন্টাকল গ্রন্থের জন্য কলকাতা থেকে পেয়েছেন কৃত্তিবাস পুরস্কার। প্রথম কবিতা দীর্ঘশ্বাসে প্রকাশিত হয় ১৯৯৯ সালে পাক্ষিক শৈলী পত্রিকায়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here