নুসরাত ফতেহ আলী খান

0
377

লেখকঃ আলী আসগর স্বপন

নুসরাত ১৯৪৮ সালে পাকিস্তানের ফয়সালাবাদের এক পাঞ্জাবী পরিবারে ১৩ই অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন। নুসরাত ফতেহ আলী খান, একজন সংগীত তাত্ত্বিক, গায়ক, বাদক, প্রখ্যাত কাউয়াল পরিবারের পঞ্চম সন্তান এবং ছেলে সন্তানদের মধ্যে প্রথম পুত্র সন্তান। খান পরিবার, যেখানে চার বড় বোনসহ এক ছোট ভাই ফররুখ ফতেহ আলী, কেন্দ্রীয় ফয়সালাবাদে বেড়ে উঠে। প্রথমদিকে, তার পিতা চাননি যে নুসরাত পারিবারিক পেশায় আসুক। তিনি চেয়েছিলেন নুসরাত অনেক সম্মানিত একটি পেশায় নিজেকে নিয়োজিত করুক এবং একজন চিকিৎসক হয়ে জনগণের সেবা করুক, কারণ তিনি মনে করতেন, কাওয়ালি শিল্পীরা নিম্ন সামাজিক মর্যাদার অধিকারী।

যাইহোক, নুসরাত ফতেহ আলী খান নিজের জীবনের একাগ্র সাধনা ও নিষ্ঠায় কাওয়ালির প্রতি এমন এক প্রবণতা, সুরের যাদুতে মুগ্ধতা ছড়ালেন যা অন্যান্য শিল্পীরা স্তম্ভিত হয়ে গেলো।

নুসরাত ফতেহ আলী খানের সংগীতে এমন পারদর্শীতা অবলোকন করে নিজ সন্তে আগ্রহ দেখে তার পিতা অবশেষে নিজের ইচ্ছা ত্যাগ করেন। পুত্রকে কাওয়ালি সংগীতে আরও পারদর্শী করার সুযোগ দেন।

পিতার আশীর্বাদ ও নিজের নিরলস প্রচেষ্টা ও অক্লান্ত পরিশ্রম এবং সাধনায় তাইতো নুসরাত ফতেহ আলী খান বিশ্ব দরবারে কাওয়ালি বা সুফিগানকে এতোটা জনপ্রিয় করতে পেরেছিলেন।

উস্তাদ নুসরাত ফতেহ আলি খান কিংবদন্তিতুল্য সঙ্গীত শিল্পী, বিশেষ করে ইসলামের সুফিবাদের অবিচ্ছেদ্য অংশ আধ্যাত্বিক সঙ্গীত কাওয়ালির জন্য তিনি বিশ্বনন্দিত।

সুফিবাদ গান বা কাওয়ালী গানে অসাধারণ কণ্ঠের ক্ষমতার জন্য তাকে রেকর্ডকৃত কণ্ঠে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠদের একজন হিসেবে আজও বিবেচনা করা হয়।

শুধু তাই নয় নুসরাত ফতেহ আলী খান একটানা কয়েক ঘন্টাযাবত একই তালে কাওয়ালি পরিবশেন করতে পারেন। যা বিশ্বের অন্য কোন সংগীত শিল্পীর পক্ষে অসম্ভব।

নুসরাত ফতেহ আলী খান প্রায় ৬০০ বছরের পারিবারিক কাওয়ালি ঐতিত্যের মধ্য দিয়ে বেড়ে উঠেছিলেন , সেই কাওয়ালি সঙ্গীতকে তিনি বিশ্বসঙ্গীতে পরিণত করতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন।

নুসরাত ফতেহ আলী খান সুফিবাদ সংগীত বা কাওয়ালি গানের সবচে গুণী শিল্পী। তাই উনাকে শাহেন শাহ এ কাওয়ালি, যার অর্থ কাওয়ালির রাজাদের রাজা , হিসেবে বেশ জনপ্রিয়।

নুসরাত ফতেহ আলী খান নিজের জীবনের একাগ্র সাধনা ও নিষ্ঠায় কাওয়ালির প্রতি এমন এক প্রবণতা, সুরের যাদুতে মুগ্ধতা ছড়ালেন যা অন্যান্য শিল্পীরা স্তম্ভিত হয়ে গেলো।

নুসরাত ফতেহ আলী খানের সংগীতে এমন পারদর্শীতা অবলোকন করে নিজ সন্তে আগ্রহ দেখে তার পিতা অবশেষে নিজের ইচ্ছা ত্যাগ করেন। পুত্রকে কাওয়ালি সংগীতে আরও পারদর্শী করার সুযোগ দেন।

পিতার আশীর্বাদ ও নিজের নিরলস প্রচেষ্টা ও অক্লান্ত পরিশ্রম এবং সাধনায় তাইতো নুসরাত ফতেহ আলী খান বিশ্ব দরবারে কাওয়ালি বা সুফিগানকে এতোটা জনপ্রিয় করতে পেরেছিলেন।

আজ এই কিংবদন্তি সুফিবাদ সংগীত শিল্পী শাহেনশাহ এ কাওয়ালী নুসরাত ফতেহ আলী খানের জন্মদিন। আজকের এই দিনে গুণী শিল্পীকে গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।

Previous articleভালবাসা কখনো কখনো ফিকে হয়ে যায় কিন্ত একেবারে মরে না
Next articleএকাডেমিক ও নৈতিক শিক্ষা লাভের উপায়
প্রতিধ্বনি
প্রতিধ্বনি একটি অনলাইন ম্যাগাজিন। শিল্প,সাহিত্য,রাজনীতি,অর্থনীতি,ইতিহাস ঐতিহ্য সহ নানা বিষয়ে বিভিন্ন প্রজন্ম কী ভাবছে তা এখানে প্রকাশ করা হয়। নবীন প্রবীণ লেখকদের কাছে প্রতিধ্বনি একটি দারুণ প্ল্যাটফর্ম রুপে আবির্ভূত হয়েছে। সব বয়সী লেখক ও পাঠকদের জন্য নানা ভাবে প্রতিধ্বনি প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। অনেক প্রতিভাবান লেখক আড়ালেই থেকে যায় তাদের লেখা প্রকাশের প্ল্যাটফর্মের অভাবে। আমরা সেই সব প্রতিভাবান লেখকদের লেখা সবার সামনে তুলে ধরতে চাই। আমরা চাই ন্যায়সঙ্গত প্রতিটি বিষয় দ্বিধাহীনচিত্ত্বে তুলে ধরতে। আপনিও যদি একজন সাহসী কলম সৈনিক হয়ে থাকেন তবে আপনাকে স্বাগতম। প্রতিধ্বনিতে যুক্ত হয়ে আওয়াজ তুলুন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here