খাদিজা আক্তার
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ভরা আমাদের এই পৃথিবী। চারদিকের চোখ জুড়ানো ও হৃদয়কাড়া প্রকৃতি আমাদেরকে বিমোহিত করে প্রতিনিয়ত। তবে শুধু সৌন্দর্য্যেই এই পৃথিবী ঘেরা নয়, সৌন্দর্য্যের পাশাপাশি ঠিক ততটাই রহস্যময় এই পৃথিবী। যে রহস্য সম্পর্কে এখনো বিজ্ঞানিরা পুরোপুরি তথ্য পাননি। এমনই এক রহস্যময়ী স্থান “ডোর টু হেল”।
নামটি হয়তো অনেকের কাছেই নতুন কিংবা অদ্ভুত। কি সেই “ডোর টু হেল” চলুন জেনে আসি।
ডোর টু হেল ( Door To Hell)
নরকের দরজা:-
তুর্কমেনিস্থানের অধিকাংশ জায়গা মরুভূমির অন্তর্গত।কারাকুম মরুভূমির মাঝামাঝি অবস্থিত ৩৫০ জন বাসিন্দা নিয়ে গঠিত একটি গ্রাম হলো দারওয়াজ বা দোয়াজ।
দোয়াজ শব্দটি একটি ফার্সি শব্দ। যার বাংলা অর্থ হলো দরজা। ভূপৃষ্টে একটা বড় গর্ত, আর সেই গর্তে লকলক করে জ্বলছে আগুন। এই আগুন গত ৪৭ বছর ধরে জ্বলে চলেছে। পৃথিবীর মানুষের কাছে এটি নরকের দরজা হিসেবে পরিচিত। আসলে এই গর্ত প্রাকৃতিক গ্যাস সমৃদ্ধ স্থান। ১৯৭১ সালে সোভিয়েত বিজ্ঞানিরা এই অঞ্চলে প্রাকৃতিক সম্পদের খোঁজে এসেছিলেন। তখন দোয়াজ গ্রামে খনন করার সিদ্ধান্ত নেন তারা। খনন শুরুর কিছু সময় পর উপরের অংশ ভেঙে পরে যায় এবং বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়। যা ২০০ ফুট চওড়া এবং ৬৬ ফুট গভীর। ফলে প্রচুর পরিমাণে মিথেন গ্যাস বের হতে থাকে।
মিথেন গ্যাস মূলত একটি গ্রীন হাউজ গ্যাস যা মানুষ এবং প্রকৃতি উভয়ের জন্যই ক্ষতিকর। তখন এর আউটপুট বন্ধ করার জরুরি হয়ে পড়েছিলে, তাই বিজ্ঞানির এই গর্তে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলো।তারা ভেবেছিলো এই আগুন সপ্তাহ খানেক জ্বলবে,কিন্তু তাদের এই ধারণা ভুল প্রমাণ করে গত ৪৭ বছর ধরে এই আগুন জ্বলে আসছে।
প্রতি বছর বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে হাজার হাজার পর্যটক এই ডোর টু হেল তথা নরকের দরজা নামক গর্তটি দেখতে আসেন।রহস্যে ভরা এই আগুনের গর্তে বছরের পর বছর জ্বলতে থাকা অগ্নিকান্ডের জন্য এর নাম ডোর টু হেল তথা নরকের দরজা।