Saturday, July 27, 2024
spot_imgspot_imgspot_img
Homeসাহিত্যগল্পপ্রযুক্তির উপর আসক্তি

প্রযুক্তির উপর আসক্তি

হাসান সাহেবঃ আমি অফিসে যাচ্ছি।
হাসিনা বিবি আমার ফোনটা কোথায় রেখেছো পাচ্ছি না যে, অফিসে দেরি হয়ে গেল।
হাসিনা বিবিঃ আমার অনেক দেরি হয়ে গেলো, রাজু আমার ফোনটা দাও।
রাজুঃ দিচ্ছি মা আর একটু গেম খেলি।
হাসিনা বিবিঃ আচ্ছা বাবা তোমাকে সামনে মাসে একটা ফোন কিনে দিবো। দ্রুত দাও আমি এখন অফিসে যায়। এই রশিদ রাজুও মিনাকে স্কুলে রেখে আশিস।
হাসান সাহেবঃ অফিস থেকে বাড়িতে এসে ফোনে ফেসবুক ইউটিউব ভিডিও নিয়ে ব্যস্ত।
হাসিনা বিবিঃ অফিস থেকে এসেই খাবার জন্য সবাইকে ডাকছে।
রাজুঃ তোমরা খেয়ে নাও আমি মোবাইলে খেলা নিয়ে ব্যস্ত আছি পরে খাবো।
মিনাঃ আমি একটা গুরুত্বপূর্ণ কাটন দেখছি। আমার এখন খুদা নেই।
রাজুঃ বাবা আমার গনিতের স্যার এই অংঙক গুলো দিয়েছে। আপনি একটু দেখবেন কেমন হয়েছে।
হাসান সাহেবঃ রাজু দেখছেনা আমি গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যস্ত আছি। এখন যাও
মাঃ তোমরা সবাই ঘুমিয়ে যাও অনেক রাত হয়েছে। বেশি রাত জাগলে শরীর খারাপ করবে।
মিনা ও রাজুঃ আচ্ছা আম্মু আর কিছুক্ষণ খেলে ঘুমিয়ে যাবো।

                   কয়েক মাস পর

হাসিনা বিবিঃ এই রশিদ তোমার স্যার ও মিনা রাজুকে ঘুম থেকে উঠিয়ে অফিসে ও স্কুলে যেতে বলি ও আমার অনেক দেরি হয়ে গেল আমি অফিসে গেলাম।

রশিদঃ স্যার অফিসে যাবেন না অনেক বেলা হয়ে গেছেতো।
হাসান সাহেবঃ এই রশিদ ঘড়িতে কটা বাজে রে।
রশিদঃ স্যার সকাল ১০ টা বাজে।
হাসান সাহেবঃ কি আগে ডাকবি তো তোদের দিয়ে কোন কাজ হবেনা। আমি অফিসে গেলাম।

মিনা ও রাজুঃ স্কুলে যাওয়ার পর থেকে ঘুম ঘুম ভাব,চোখ ব্যথা, মাথা ব্যথা পড়াশোনার প্রতি তেমন মনোযোগী নয়।

শিক্ষকঃ মিনা ও রাজু তোমাদের কি শরীর খারাপ। তোমরা তো আগের মতো ভালোভাবে পড়াশোনা করছো না। তোমাদের অভিভাবক কে স্কুলে দেখা করতে বলবে।
হাসান সাহেবঃ আসসালামু আলাইকুম স্যার।
শিক্ষকঃ ওয়ালাইকুম আসসালাম ও যে জন্য আপনাকে ডেকেছিলাম তা হল মিনা ও রাজু আগের মতো পড়াশোনায় ভালো নয়। স্কুলে এসে মাথা ব্যথা ও চোখের সমস্যা ও অন্য মনস্ক হয়ে থাকে। তাই ওদের একজন ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েন।
ডাক্তারঃ মিনা রাজু তোমাদের কি সমস্যা।
রাজুঃ আমার মাথা ব্যথা করে।
মিনাঃ আমার চোখে সমস্যা হয়।
ডাক্তারঃ হাসান সাহেব আপনার ছেলে ও মেয়ে কি দীর্ঘসময় ফোন বা কম্পিউটারে গেম খেলে।
হাসান সাহেবঃ হ্যাঁ ডাক্তার সাহেব।
ডাক্তারঃ দেখুন হাসান সাহেব আমি কিছু ওষুধ লিখে দিচ্ছি। নিয়ম অনুযায়ী ওষুধগুলো খাওয়াবেন। আর সতর্ক রাখবেন ছেলে ও মেয়ে যেন প্রযুক্তির ব্যবহার প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত আসক্ত না হয়ে পড়ে। অতিরিক্ত ব্যবহার স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ক্ষতিকর।

হৃদয় চন্দ্র বর্মন
সহকারী শিক্ষক
পিয়ার সরদার উচ্চ বিদ্যালয় ও
সাধারণ সম্পাদক,
ইলামিত্র স্মৃতি সাংস্কৃতিক যুব একাডেমি।
গ্রামঃ শুড়লা, ডাকঘরঃ হাটবাকইল, উপজেলাঃ নাচোল, জেলাঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জ।

Facebook Comments Box
RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments