জিউসের ঈগল

আনুগত্যের উদাহরণ
প্রতি বসন্তে কবির গলা কেটে উপহার
দিতে হয়  রাজা জিউসকে 
গলা থেকে গলগল করে বেরিয়ে আসে পাহাড় 
কবি জ্যান্ত হয়ে ওঠে পরের বসন্তে

আর  গলা থেকে জন্ম নেয়া পাথরে শান দেয় তার প্রতিভা
পাথর ঘসে আগুন জ্বালানোর ইতিহাস তার রক্তে
 কবিতা খোদাই করতে গিয়ে
 পেয়েছিলো স্ফুলিঙ্গ
আর  জমা রেখেছিলো 
প্রমিথিউসের  কাছে

মানুষের প্রতিদ্বন্দ্বী 
ক্রুদ্ধ জিউস কবিকে উপঢৌকন দেয় হেফাস্টাসের বজ্র  
ককেশাস পর্বত উঠে দাঁড়ায় কবির
বুকের ওপর
জিউসের ঈগল ঠোক্কর দেয় কবির চোখে
যেমন  ঠুকরে খায় প্রমিথিউসের বুক

কবি ও প্রমিথিউস দুই দেহ সত্তা এক
মানবের আরেক সহোদর হারকিউলিস বহুদিনপর - ছিঁড়ে ফেলে প্রমিথিউসের প্রবঞ্চনা 
উদ্ধাররহিত কবি দাঁড়িয়ে থাকে একা জিউসের ঈগলের মুখোমুখি -রক্তাক্ত 
অগ্নিময় -অনন্ত

Previous articleনাইমুল ইসলামের একগুচ্ছ কবিতা
Next articleপ্রযুক্তির উপর আসক্তি
রেজাউদ্দিন স্টালিন 
রেজাউদ্দিন স্টালিন (জন্ম ২২শে নভেম্বর, ১৯৬২) হলেন একজন বাংলাদেশী কবি, লেখক ও টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব। তিনি আশির দশকের অগ্রগণ্য কবি হিসেবে বিবেচিত। তার রচিত কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ৪৫টি। কবিতায় অবদানের জন্য তিনি ২০০৬ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন। স্টালিন ১৯৬২ সালের ২২শে নভেম্বর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ বৃহত্তর যশোরের ঝিনাইদহ জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার নলভাঙ্গা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা শেখ বোরহানউদ্দিন আহমেদ ছিলেন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং মাতা রেবেকা সুলতানা একজন স্কুল শিক্ষিকা ছিলেন। তিনি অবসরে গিয়েছেন। তার দুই বোন রয়েছে। তারা হলেন সুহিতা সুলতানা ও সেতারা এলিন। স্টালিনের শৈশব কাটে নলভাঙ্গা গ্রামে। পরবর্তীতে তারা সপরিবারে কালিগঞ্জ শহরে চলে যান। ১৯৬৯ সাল থেকে তারা কালিগঞ্জ থেকে যশোর নতুন উপশহরে চলে যান এবং সেখানে উপশহরের ডি ব্লকের ২২৩ নম্বর বাসাতে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। শৈশব থেকে তিনি কবিতা লিখতেন। আট বছর বয়সে তার প্রথম কবিতা শপথ ১৯৭০ সালে শতদল পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here