পালকপিতা

0
69

ইউনুস মোহাম্মদ 

খোরশেদ বিয়ে করার পর যখন দশ পনেরো বছর কেটে গেল এবং কোনো সন্তান হলো না তখন একটি ছেলেকে পালতে আনলো।
দিনে,দিনে ছেলে বড় হলো।ছেলে যথেষ্ট উচালম্বা আর শরীর স্বাস্থ্যও ভালো ;দেখতে বড়লোক ঘরের সন্তানের মতো।সেই সাথে তার জ্ঞান বুদ্ধিও ভালো।বুদ্ধি বিবেচনাও যথেষ্ট।খোরশেদের বাড়ির কারো স্বভাবের সাথে মিলে না।যেন কোনো বনেদি ঘরের সন্তান।অবশ্য খোরশেদও মন্দ স্বভাবের লোক না।কারোটা খাবে না,কাউকে খাওয়াবেও না।তবে খোরশেদ গ্রামের ভেতরে কিপ্টে সেটা সকলেই জানে।ছেলের নাম ইসাহক।ইসাহক ঢাকায় গিয়ে কাজ শিখলো।তারপর বাড়িতে অল্প কিছু করে টাকা পাঠাতে লাগলো।

এখন ইসাহক বিবাহিত।তার বিবাহের বয়স দুই বছর।বউ সুন্দরী।ভালোবেসে বিয়ে করেছিলো।তার ঘরে একটি মেয়ে হয়েছে।অনেক ভেজাল বিচ্ছেদের পর ইসাহক আলাদা খায়।খোরশেদ ছেলেকে বাড়িতে টিকতেই দিতে চায় না।এদিকে খোরশেদের ঘরে এখন চার সন্তান।এক ছেলে আর তিন মেয়ে।ইসাহককে আনার কয়েক বছর পরই এই ছেলে মেয়েগুলো হয়েছে।তারা এখন সবাই সেয়ানা।খোরশেদের সন্তানের অভাব সেরে গেছে।ইসাহককে খোরশেদ বাড়িতেই জায়গা দিতে চায় না।চকে খোরশেদের অনেক জমিজমা আছে।বাড়িটাও প্রায় এক বিঘা জমির ওপরে।দক্ষিণ পাশে রাস্তা পর্যন্ত ফসলি পালান।পালানটা প্রায় এক বিঘা জায়গা জুড়ে।পালানটা বাড়ির ভিটা ছেড়ে নিচু।খোরশেদ সেখানে বারোমাস শাক সব্জি ফলায়।এলাকার কিছু লোক খোরশেদকে ভিটার একপ্রান্তে ইসাহকের একটা ঘর তুলার জন্য জায়গা দিতে বললো।খোরশেদ সরাসরি মানা করলো।ইসাহককে কোনো জায়গা দিবে না সে।চকের জমিজমা থেকেও না।খোরশেদ এই কথা প্রকাশ্যেই বলে।কিন্তু ইসাহক কখনও খোরশেদের কাছে কিছু দাবী করেনি।খোরশেদের সম্পত্তির ওপর তার কোনো লোভ নেই।তবে সে থাকার জন্য একটু জায়গা দিক এই প্রত্যাশা করেছিলো।কিন্তু যখন কোনো জায়গা দিবে না বলে খোরশেদ সকলের সামনে মানা করলো ইসাহক তখন বউ নিয়ে দূর সম্পর্কের এক আত্মীয় বাড়িতে আশ্রয় নিলো।তারপর কিছু শুভাকাঙ্খীর সহযোগিতায় ইসাহক কিছুদিন পর বিদেশে গেল।মালিক ভালো।ইসাহক ফ্রী ভিসায় কাজ করে।অনেক টাকা কামাই করে।এতোকিছুর পরও ইসাহক বাড়িতে কিছু কিছু করে টাকা পাঠায়।কিন্তু তারপরও খোরশেদের মন গলে না।সে এখনও তার সিন্ধান্তে অটল।এলাকার লোকেরা ছিঃ,ছিঃ করে।বলে জন্মদাতা পিতা অইলে এমন করতে পারতো না।ছেলেকে এক কাঠা জায়গাও দিলো না খোরশেদ।

এরপর দশ বছর কেটে গেছে।ইসাহকের অবস্থা এখন ভালো।নিজে জায়গা রেখে ঘর বাড়ি করেছে।বাড়িতে ওয়াল তোলা পাকা চার চালার ঘর দিয়েছে।রাস্তা ঘেঁষে বাড়ি।ঘরে সবকিছুর ব্যবস্থা আছে।সোফাসেট,ডাইনিং টেবিল,বেসিং জোড়া গ্যাসের চুলা,বড় ওয়াল টিভি।কোনো কিছুর অভাব নেই।সেদিন খোরশেদের এলাকা থেকে এক লোক গিয়েছিল।সে দেখে এসেছে সব।ইসাহক লোকটির হাতে পাঁচ হাজার টাকা দিয়েছে।তার বাপের হাতে দিতে বলেছে টাকাটা।বাড়ি এসে সেই গল্পই করে লোকটা।বলে,এমন ভালো পোলা আইজকাইল আছে কোথায়?হেই পোলাডারে খোরশেদ বাড়ি ছাড়া করলো।

এদিকে খোরশেদের অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়।এক বছর ধরে স্ট্রোক করে পড়ে আছে।মাথা ঠিক নেই।উল্টাপাল্টা কাজ করে।একটা লাঠি নিয়ে হাটে।নিজের বউকে কখনও ভাই বলে,কখনও মা বলে।খোরশেদের বউ সেই কথা লোকের কাছে বলে আর হাসে।খোরশেদ মানষিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে। বউকে সে অনেক বিরক্ত করে।অনেক কিছু ক্ষতি করে।সেদিন ডাল রান্না করে রেখেছিল ঘরে।খোরশেদ হাতের লাঠি দিয়ে সেই ডাল ঘুটে নষ্ট করে ফেলেছে।বউ জিজ্ঞেস করায় বলেছে,না ঘুটা দিলে ডাল গলবো কেম্নে?রাত দুপুর বেলা উঠে বলে এতো রোদের মধ্যে আমি ঘুমামু না।লেংটা হয়ে ঘরে বসে থাকে।কখনও কাপড় ছাড়া বাইরে বের হয়।খোরশেদকে একলা রেখে তার বউ এক মুহূর্তের জন্য কোথাও যেতে পারে না।

নূর ইসলাম বিয়ে করেছে।বিয়ে করে আলাদা খায়।ছেলের সাথে একদমই বনিবনা নেই।পূর্ব পাশে চার চালার ঘর তুলেছে তারা।এই দুয়ারে একবারের জন্যও আসে না।নূর ইসলাম বিদেশে থাকে।বউও কথা বলে না তাদের সাথে।নুর ইসলাম বউয়ের কথা শোনে।জন্মদাতা মা বাবা তার কাছে বউয়ের চেয়ে কম মূল্যবান।ছেলেটা প্রচন্ড জেদি।ছেলে থাকতেও খোরশেদ এখন ছেলেহারা।একটা পুরনো জরাজীর্ণ ঘরে থাকে।বহু বছর ধরে এই একটা ঘরেই আছে।ঘরে মোজার বেড়া ছিলো বহুদিন।মোজার বেড়া খসে পড়েছে বলে কয়েক বছর আগে কম দামী টিন এনে ঘরে বেড়া দিয়েছে।বাইরে বেল্কিতে জং ধরে খসে পড়ছে।এই অবস্থায় অন্য কেউ হলে জমি বেঁচে চলতো।কিন্তু খোরশেদ এতো দূরাবস্থাতেও এক কাঠা জমি বিক্রি করে নাই।উপযুক্ত চিকিৎসা পেলে হয়তো পূর্ণাঙ্গ সুস্থ না হলেও এতোটা অসুস্থ হতো না।টাকার ওভাবে সেই চিকিৎসাটাই হয়নি।জমি বেঁচার কথা বললেই খোরশেদ ক্ষেপে যায়।সবাইকে গালাগালি করে।ইসাহক দুইবার টাকা দিয়েছে।এলাকার লোকেরা বলে,এইডা অইলো বড় পোলার অভিশাপ।পোলাডারে ঠকাইছে না।আল্লায় এই জন্যই এমন করছে।

খোরশেদকে এখন বাড়ির বাইরে দেখা যায় না।বহুদিন হলো এলাকায় কেউ তাকে দেখে না।সারাদিন বাড়ির ভেতরেই থাকে।সেদিন বিকেলে বউকে মা ডেকে বসলো।খুব নরম স্বরে জিজ্ঞেস করলো তুমি কোথায় গেছিলা মা?
খোরশেদের বউ এর আগেও এই ডাক শুনেছে।তাই অবাক হলো না।যার জ্ঞান নেই সেতো কতো কিছুই বলে।শুধু বললো,কী কও।আমি তোমার বউ।মা না।
খোরশেদ অত্যন্ত নরম হয়ে বললো,আমারে তুমি ফালাইয়া যাইয়ো না।খোরশেদের গলায় কান্নার স্বর।
খোরশেদ এখন কথায়,কথায় কাঁদে।
বউ দৃঢ়ভাবে বললো,তোমারে ফালাইয়া যামু ক্যাঁ?ফালাইয়া যামু না।
খোরশেদ এমন কথা প্রায় দিনই বলে।তাই তার কথার গুরুত্ব দেয়ার কিছু নেই।খোরশেদকে ধরে ঘরে দিয়ে রান্না ঘরে এসে রান্না করতে বসলো তার বউ।গাছের শুকনো পাতা আর ডালপালা রান্নার জ্বালানি।বাড়িতে খড়ির অভাব নেই।বাড়ির চারপাশ জুড়ে বিভিন্ন গাছপালা।সারাবছর শুকনো ডালপালা আর পাতা জমা হয়ে থাকে।তার এক চুলা সেই পাতা আর ডালপালা পুড়ে শেষ করতে পারে না।রান্না ঘরে খড়ির মাচা।
খোরশেদ ঘরে এসে আবোল তাবোল বকতে লাগলো।আজ হয়তো মাথাটা বেশি খারাপ হয়েছে।শুয়ে পড়েছে সে।মাথার ওপর পুরনো কার।বাশের চটা ঘুনে ধরে ভেতরে ফাপা হয়ে গেছে।একটু নড়াচড়া পড়লেই ধুলোর মতো ঘুন ঝরে পড়ে নিচে।বহু পুরনো একটা চৌকি ঘরে।কাঠ ভালো।তাই চৌকিটা এখনও শক্তপোক্ত আছে।খোরশেদ একবার উঠে হাত দিয়ে কি যেন দেখায়।একা,একাই কথা বলে।
রান্নাঘর থেকে খোরশেদের বউ সব শোনে।কিন্তু শোনেও এগিয়ে যায় না।এটা এখন অভ্যাস হয়ে গেছে।
খোরশেদের বউ আবার ডাক শুনতে পেল।মা,ও মা আমারে রাইখা যাইও না।
খুব নরম স্বরে বিনয়ের সাথে বলছে।

এমন মানুষকে একা রেখে এক মুহূর্তের জন্য কোথাও যাওয়া যায় না।যে কোনো একটা অঘটন ঘটিয়ে ফেলতে পারে।রাতের বেলায় পাগলামি চেতে।খোরশেদ নিজে ঘুমায় না।বউকেও ঘুমাতে দেয় না।জেগে থেকে তাকে পাহারা দিতে হয়।
আজ রাতে অবস্থা আরো খারাপ হলো।সারারাত চোখে ঘুম নেই।একটু পর,পর খোরশেদ উঠে বাইরে বেড়িয়ে যায়।রাতকে দিন বলে।বলে দুপুর বেলা আমি ঘরে থাকুম ক্যাঁ?
বাইরে থাইকা ঘুইরা আহি।বউকে বলে তুমিও আহো।বউ তাকে টেনে ধরে বসিয়ে ধমকের স্বরে বলে,চুপ কইরা শও এহেনে।অহনে দিন কোতায়।অহনেদি রাইত দুপুর।
খোরশেদকে নিয়ে এমন ঘুমহীন থাকতে হচ্ছে অনেকদিন।খোরশেদের বউ বড় ক্লান্ত।
রাত তখন আড়াইটা বাজে।খোরশেদের বউ,র চোখে কেবল একটু ঘুম নেমে এসেছে।আর তখনই খোরশেদ উঠে বাইরে বেড়িয়ে গেল।বউ কিছু টের পেল না।যখন ঘুম ভাঙল তখন দেখে খোরশেদ বিছানায় নেই।ঘরে সারারাত লাইট জ্বালানো থাকে।এখনও লাইট জ্বলছে।লাইটের আলোতে সারা ঘরে দেখলো।খোরশেদ কোথাও নেই।পাশের বাড়ির এক পড়শিকে ডেকে সারা বাড়ি ভরে তালাশ করলো।কোথাও নেই খোরশেদ।খোরশেদের বউ খুব চিন্তিত হয়ে পড়লো।সেই সাথে বিস্মিতও।যে মানুষটা ঠিক মতো হাটতে পারে না।সে বাড়ি ছেড়ে কতো দূরে গেল।খোরশেদের বউ সবার কাছে ফোন দিলো।জানালো সবকিছু।আশেপাশের পাড়া পড়শিদেশের বাড়ি গিয়ে এখানে ওখানে যতোটা সম্ভব তালাশ করলো।খোরশেদ কোথাও নেই।

ভোর হলো।মসজিদের মাইকে ঘোষণা এলো পত্তনদার পাড়া গ্রামের শেখ খোরশেদকে পাওয়া যাচ্ছে না।কেউ যদি তাকে দেখে থাকেন বা পেয়ে থাকেন তবে জানানোর জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ করা হলো।সারা এলাকা ভরে গমগম আওয়াজে মাইকে বেজে উঠলো এই ঘোষণা।ঘোষক মসজিদের ইমাম সাহেব।পূর্বদিকে ঘরবাড়ি আর গাছপালার আড়াল থেকে ভোরের কচি সূর্য বেড়িয়ে আসছে।লাল আভা ছড়িয়ে পড়েছে চারদিকে।এখনও পূর্ব পাশের কয়েক বাড়ির লোকজনের সাড়া নেই।এরা ওঠে বেলা আটটা ন,টা বাজে।এই ঘোষণার অল্প সময়ের মধ্যেই বাড়িতে পাড়াপ্রতিবেশিরা জড়ো হয়ে গেল।একটা মানুষ ঘর থেকে নাই হয়ে গেল।তাকে কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না।কি আশ্চর্য ব্যাপার।মারা গেলেও তো এক জাগায় লাশটা থাকবে।প্রতিবেশীরা একেকজন একেক কথা জিজ্ঞেস করে।কোন সময় বাইরে গেছে।কয় নাই কিছু?
খোরশেদের বউ বলে,কইলে কি আর এমন অয়।আমিতো সাথে সাথেই বাইরইতাম।এমন হারাইতোনি?সারা রাইত চেতন আছিলাম।শেষ রাইতে একটু চোখটা লাইগা আইছে।আর তহনই বাইরইয়া গেছে।
বড় ঘরের পেছনে পালান।জায়গাটা ভিটা ছেড়ে এক কোমড় নিচু।বৃষ্টির দিনে বড় ঘরের চালার পানি গড়িয়ে পড়ে সেখানে।দরকার ছাড়া সেখানে আসা হয় না।সেখানে বড় ঘরের কোণায় বড় একটা পানির ড্রাম পেতে রেখেছে খোরশেদের বউ।ড্রাম থেকে পানি উঠিয়ে রান্নাবান্না করে।ড্রাম এখন অর্ধেকটা পানিতে ভর্তি।কি মনে করে খোরশেদের বউ ড্রামের কাছে এলো।ভেতরে উঁকি দিতেই সে চমকে উঠলো।খোরশেদ ড্রামের ভেতরে নিথর হয়ে পড়ে আছে।মাথা নিচে পানিতে ডোবানো।নিচে ড্রামের পাশে তার হাতের লাঠিটা পড়ে আছে।খোরশেদের বউ জোরে একটা চিৎকার দিলো।ওরে আল্লারে আমার কি সব্বনাশ অইলোরে।

লিখুন প্রতিধ্বনিতেলিখুন প্রতিধ্বনিতে


তারপর সবাই এসে ধরাধরি করে খোরশেদকে ড্রামের ভেতর থেকে বের করলো।খোরশেদ মারা গেছে।সবাই আন্দাজ করলো ড্রামের কাছে এসে শরীরের ভারসাম্য রক্ষা করতে না পেরে ভেতরে পড়ে গেছে।ড্রাম বসানো বাড়ির ভিটা ছেড়ে একবুক নিচুতে।আর খোরশেদ দাঁড়িয়েছিলো ঘরের কোণে ভিটির ওপর।ভারসাম্য রক্ষা করতে না পেরে হয়তো সহজেই ড্রামের ভেতরে গিয়ে পড়েছে।হয়তো পানির জন্য এসেছিলো এখানে।অথবা এমনি এসেছিলো।যারা মাথা ঠিক নেই সেতো কতো কিছুই করে।
খোরশেদের তিন মেয়ে।সবাই এলো।খবর পেয়ে ইসাহক এলো।তাকে কেউ ফোন দেয়নি।সে খবর পেয়ে নিজে থেকে এসেছে।তার বউ,ও এসেছে।নুর ইসলাম বিদেশে।ইসাহকের চোখে পানি নেই।সে সকলের মাঝে দাঁড়িয়ে আক্ষেপ করে বলতে লাগলো,এমন অইছে আমারে একটা বার কেউ ফোন কইরা কয় নাই।আমারে কোনো সময় পোলা বইলাই স্বীকার করে নাই।যদি পেটের পোলা অইতাম তাইলে খবর পাইতাম।

Previous articleভয় 
Next articleআয়াজ আহমদ বাঙালি’র একগুচ্ছ কবিতা
প্রতিধ্বনি
প্রতিধ্বনি একটি অনলাইন ম্যাগাজিন। শিল্প,সাহিত্য,রাজনীতি,অর্থনীতি,ইতিহাস ঐতিহ্য সহ নানা বিষয়ে বিভিন্ন প্রজন্ম কী ভাবছে তা এখানে প্রকাশ করা হয়। নবীন প্রবীণ লেখকদের কাছে প্রতিধ্বনি একটি দারুণ প্ল্যাটফর্ম রুপে আবির্ভূত হয়েছে। সব বয়সী লেখক ও পাঠকদের জন্য নানা ভাবে প্রতিধ্বনি প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। অনেক প্রতিভাবান লেখক আড়ালেই থেকে যায় তাদের লেখা প্রকাশের প্ল্যাটফর্মের অভাবে। আমরা সেই সব প্রতিভাবান লেখকদের লেখা সবার সামনে তুলে ধরতে চাই। আমরা চাই ন্যায়সঙ্গত প্রতিটি বিষয় দ্বিধাহীনচিত্ত্বে তুলে ধরতে। আপনিও যদি একজন সাহসী কলম সৈনিক হয়ে থাকেন তবে আপনাকে স্বাগতম। প্রতিধ্বনিতে যুক্ত হয়ে আওয়াজ তুলুন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here