দশ বছর বয়সেই সফল ব্যবসায়ী পিক্সি কার্টিস

0
1021

আজ আমরা এমন এক কিশোরীর কথা বলবো যে তার স্কুল জীবন পার করার আগেই কর্মজীবন থেকে অবসর নিতে চায়! ভাবছেন সেটা আবার fake rolex daytona for sale কেমন কথা? যার কথা বলতে চাই তাকে কিশোরী বলবো নাকি শিশু বলবো সেটা আপনারাই বিচার করুন। নাম পিক্সি কার্টিস। এখন ওর বয়স মাত্র দশ বছর। এরই মধ্যে সে সফল ব্যবসায়ী হিসেবে বিশ্বব্যাপী পরিচিতি লাভ করেছে।

সাধারণত সারাজীবনের হাড়ভাঙা খাটুনির পর replica rolex submariner for sale আমরা অবসর জীবন উপভোগ করতে পারি। তারপর নিশ্চিন্তে জীবন পার করতে চাই। কর্মজীভন শেষ করতে চায় এক অস্ট্রেলিয় ক্ষুদে শিক্ষার্থী। তবে তার জন্য ৪০ বা ৫০ বছর অপেক্ষা করতে চায় না। সে বরং ১৫ বছর বয়সেই কর্মজীবনে ইতি টানতে চায়। তার পর বাকি জীবন প্রজাপতির মত তার রঙীন ডানা মেলে ঘুরে বেড়াতে চায় দিগন্তের এপার থেকে ওপারে।পিক্সির মায়ের নাম রক্সি জাসেস্কো। গত ডিসেম্বরে রক্সির এই ঘোষণায় সাড়া পড়েগিয়েছিল আন্তর্জাতিক মহলে। বিশ্বজুড়ে এক সময় তা শিরোনামে cheap replica watches পরিণত হয়েছিল। এই ছোট্ট মেয়েটি কিসের ব্যবসা করে সেটা অবশ্যই জানানো হবে। তবে জেনে রাখুন তার ব্যাংক একাউন্টে এখন ডলারের ছড়াছড়ি।যদিও সে প্রাথমিক স্কুলের গন্ডিও পার হয়নি এখনো।

এই বয়সেই খুদে পিক্সির অবসরের পরিকল্পনার কথা জানাজানি হতেই নেটমাধ্যমে সাড়া পড়ে গিয়েছে। তবে একেবারেই অবাক হননি রক্সি। সংবাদমাধ্যমের কাছে তিনি বলেন, ‘আমাদের পরিবারে একটা রসিকতা চালু রয়েছে। আমি ১০০ বছর পর্যন্ত কাজকর্ম করব আর পিক্সি ১৫ বছর বয়সে অবসর নেবে। কে যে স্মার্ট, সে তো বোঝাই যাচ্ছে!’ ছবি: সংগৃহীত

আপনিকি কল্পনা করতে পারবেন কেউ মাত্র দু বছর বয়স থেকে ব্যবসা শুরু করতে পারে? অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে পিক্সি মাত্র দু বছর বয়স থেকে ব্যবসা শুরু করেছিল। যদিও তার নামে সে ব্যবসা শুরু করেছিলেন মূলত তার মা। তবে ব্যবসায়ী হিসেবে পিক্সি নিজেই দারুণ সফল।সিডনির একটি প্রথম সারির জনসংযোগ সংস্থার সিইও রক্সি জানিয়েছেন তার মেয়ে পিক্সি কচি-কাচাদের চুলের সাজসজ্জার জন্য রকমারি জিনিসপত্র তৈরি করতে ভালোবাসে এবং সেগুলো বিক্রি করে। তার এই ব্যবসার নাম সে দিয়েছে “পিক্সিস বাওস”। সেটা ২০১৪ সালের ঘটনা।যেহেতু মা রক্সি নিজে একটি নামকরা প্রতিষ্ঠানের সিইও তাই তিনিও পিক্সিকে তার পণ্য প্রচারে দারুণ সহযোগিতা করেছিলেন। ফলে কিছুদিনের মধ্যেই সে ব্যবসা ফুলে ফেপে ওঠে। প্রথম দিকে মুনাফা খুব কম হলেও ছোট্ট পিক্সি মোটেও থেমে থাকেনি বা হতাশ হয়নি। সে এগিয়ে গিয়েছে।

বিলাসবহুল জীবনের প্রতি আকর্ষণ থাকলেও তার মেয়ের মাথা ঘুরে যায়নি বলে দাবি রক্সির। উল্টে মেয়ের কর্মদক্ষতায় মুগ্ধ তিনি। রক্সি বলেন, ‘আমি ওকে কুর্নিশ জানাই। এই ১০ বছরেই জীবনের অনেকটাই দেখে ফেলেছে ও। তবে এখনও বিনয়ী, দয়ামায়া হারায়নি। বরং মাটির মেয়ে বলতে হবে। বিচহাউস বা ল্যাম্বরঘিনির এসইউভি-র মতো বাড়ি-গাড়ির স্বপ্নপূরণে ওকে অনেক খাটাখাটনি করতে হবে। তবে আমার মনে হয়, সে ওই পথেই এগোচ্ছে।’ ছবি: সংগৃহীত

করোনা ভাইরাস যখন গোটা পৃথিবীকে থমকে দিয়েছে তখন পিক্সিও অনেকটা গৃহবন্দী। তবে তার মাথা খোলা ছিল। বুদ্ধিকে সে মুক্ত করে ছেড়ে দিয়েছে নতুন নতুন আইডিয়া বের করার জন্য। ফলশ্রুতিতে গত বছর মার্চে সে তার দ্বিতীয় ব্যবসা শুরু করে।যেহেতু গোটা দুনিয়ার ছেলে বুড়ো সবাই গৃহবন্দী,ছোটরা খেলার সুযোগ পাচ্ছেনা তাই পিক্সি ভাবলো খেলনা তৈরি করবে। সত্যি সত্যি তাই করলো। এবার সে নাম দিল “পিক্সিস ফিজেটস”। প্রথম মাসেই অভাবনীয় সাফল্য আসলো এবং কাড়ি কাড়ি ডলার আয় হলো। আপনি সেই লাভের পরিমান শুনলে ঘাবড়ে যাবেন। প্রথম মাসেই তার আয় হলো দুই লাখ ডলার। এমনকি প্রথম ৪৮ ঘন্টার মধ্যে পিক্সির কোম্পানীর তৈরি সব খেলনা বিক্রি হয়ে গিয়েছিল। এবার পিক্সি নামে ছোট্ট মেয়েটি আরও একধাপ এগিয়ে গিয়ে তৈরি করলো মূল কোম্পানী। নাম দিলো “ পিক্সিস পিক্স”। আগের দুটি প্রতিষ্ঠান এখন “ পিক্সিস পিক্স” এর আওতাধীন। অনেকটা গুগলের মত।পিক্সির মা বলেন তিনি যতদিন সম্ভব কাজ চালিয়ে যেতে চান অন্যদিকে পিক্সি নিজে মাত্র ১৫ বছর বয়সেই অবসরে যেতে চান। পিক্সির মা বলেন আপনারাই ভেবে দেখুন কে বেশি স্মার্ট! অবশ্যই পিক্সি। এই বয়সেই পাকা ব্যবসায়ীদের মতই তারও কিছু স্বপ্ন আছে। তার মধ্যে একটি হলো সমুদ্রের কাছে একটা বিচহাউস, গ্যারেজে ল্যাম্বারগিনির মতো দামী গাড়ি। অবশ্যই সে ল্যাম্বারগিনি এসইউভি কিনতে চায়।বিলাসবহুল জীবনের প্রতি আগ্রহ থাকলেও ছোট্ট পিক্সির মাথা ঘুরে যায়নি। পরিবারের সবাই এবং স্কুলের বন্ধুরা পিক্সির কর্মদক্ষতায় মুগ্ধ। সবাই ওকে সম্মান করে ওর দক্ষতা ও সাফল্যে। মাত্র ১০ বছর বয়সেই সে জীবনের অনেকটা দেখে ফেলেছে, বুঝে ফেলেছে। সে খুব বিনয়ী এবং দয়ালু। মাটির মেয়ে বলা চলে।পিক্সির মা অবশ্য চান এতো অল্প বয়সে অনেক সম্পদের মালিক হয়ে মেয়ে যেন বখে না যায় বরং সেই টাকা আরও কত ভালোভাবে বিনিয়োগ করা যায় সেটা ওর ১৫বছর বয়স হলে তিনিই সিদ্ধান্ত নিবেন বা সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবেন।পিক্সির কাছ থেকে পৃথিবীবাসীর শেখার আছে অনেক কিছু।

জাজাফী

Previous articleকিশোর-কিশোরী ক্লাব
Next articleপ্রিয়াঙ্কা দুবের নো নেশন ফর উইমেন
প্রতিধ্বনি
প্রতিধ্বনি একটি অনলাইন ম্যাগাজিন। শিল্প,সাহিত্য,রাজনীতি,অর্থনীতি,ইতিহাস ঐতিহ্য সহ নানা বিষয়ে বিভিন্ন প্রজন্ম কী ভাবছে তা এখানে প্রকাশ করা হয়। নবীন প্রবীণ লেখকদের কাছে প্রতিধ্বনি একটি দারুণ প্ল্যাটফর্ম রুপে আবির্ভূত হয়েছে। সব বয়সী লেখক ও পাঠকদের জন্য নানা ভাবে প্রতিধ্বনি প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। অনেক প্রতিভাবান লেখক আড়ালেই থেকে যায় তাদের লেখা প্রকাশের প্ল্যাটফর্মের অভাবে। আমরা সেই সব প্রতিভাবান লেখকদের লেখা সবার সামনে তুলে ধরতে চাই। আমরা চাই ন্যায়সঙ্গত প্রতিটি বিষয় দ্বিধাহীনচিত্ত্বে তুলে ধরতে। আপনিও যদি একজন সাহসী কলম সৈনিক হয়ে থাকেন তবে আপনাকে স্বাগতম। প্রতিধ্বনিতে যুক্ত হয়ে আওয়াজ তুলুন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here