তিন নেতার মাজার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

0
291

রাজধানী ঢাকার দোয়েল চত্বরের কাছে অবস্থিত তিন নেতার মাজার (Teen Netar Mazar) বাংলাদেশের স্থাপত্য শিল্পের অন্যতম নিদর্শন। বাংলাদেশের জাতীয় তিন নেতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, খাজা নাজিমুদ্দিন এবং এ কে ফজলুল হক-এর সমাধির উপর ১৯৬৩ সালে স্থপতি মাসুদ আহমদ ও এস এ জহিরুদ্দিনের নকশায় তিন নেতার মাজার স্থাপনাটি নির্মাণ করা হয়েছে। তিন নেতার মাজারের কাছেই রয়েছে হাইকোর্ট এবং শিশু একাডেমি।

যশোর সেক্রেড হার্ট হাই স্কুল এর ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র মুবাশশির কবির কিছুদিন আগেই ঘুরে এসেছে তিন নেতার মাজার। তার খুবই ভালো লেগেছে জায়গাটি। তবে তার খুবই আক্ষেপ রাজনৈতিক দলের নেতা যেমন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কিংবা জিয়াউর রহমানের কবর যেখানে সেগুলো যেভাবে যত্ন নেওয়া হয় বা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা হয় সেরকম কিছু এখানে হয়নি। পুরো জায়গাটা নোংরা। যেন সিগারেট খাওয়ার উপযুক্ত স্থান হয়ে উঠেছে।

স্বাধীনতার পূর্ব সময়ে এই তিন মহান নেতাই তৎকালীন অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে নিযুক্ত ছিলেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তিন নেতার রাজনৈতিক চর্চার বিশেষ অবদান রয়েছে। বাংলার বাঘ খ্যাত শের-এ-বাংলা এ.কে. ফজলুল হক ছিলেন অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী। ফজলুল হক ১৯৫৪ সালে পূর্ব পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া যুক্তফ্রন্ট গঠনে তাঁর ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য।

মুবাশশির কবির

খাজা নাজিমুদ্দিন ১৯৪৮ সালে পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল নিযুক্ত হন। ১৯৫১ সালে তাঁকে পাকিস্তানের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করা হয়। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ১৯২৪ সালে কলকাতা পৌরসভার ডেপুটি মেয়র হন এবং খাজা নাজিমুদ্দিনের মন্ত্রীসভায় তিনি শ্রমমন্ত্রী নিযুক্ত ছিলেন। ১৯৫৭ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী।

কিভাবে যাবেন

রাজধানী ঢাকার যেকোন প্রান্ত থেকে নিজস্ব গাড়িতে অথবা গণপরবহনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার দোয়েল চত্বর সংলগ্ন তিন নেতার মাজারে আসতে পারবেন। মুবাশশির সেদিন প্রথমে মিরপুর থেকে মেট্রো রেলে করে এসে নেমেছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনে। তারপর হাটতে হাটতে দুমিনিটের মধ্যেই পৌছে গিয়েছিল তিন নেতার মাজারে। তার সাথে আরও অনেক পর্যটক ছিলো।

কোথায় খাবেন

খাবারের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মধুর ক্যান্টিন, টি.এস.সি, ডাকসু, হাকিম চত্বর এবং সেন্ট্রাল লাইব্রেরির সামনে থেকে লাল চা, সমুচা, চপ, সিঙ্গারা, চিকেন প্যাটিস থেকে শুরু করে ভাত, ডাল, আলুভর্তা, মুরগির মাংসের তরকারি, মুরগি ও ডিম খিচুড়ি এবং তেহারি খেতে পারবেন।

Previous articleবিশ্বের সবচেয়ে দামি বাড়ি ১০ টি বাড়ি
Next articleডার্ক সাইকোলজি সিক্রেটস অ্যান্ড ম্যানিপুলেশন – এম্যি ব্রাউন
প্রতিধ্বনি
প্রতিধ্বনি একটি অনলাইন ম্যাগাজিন। শিল্প,সাহিত্য,রাজনীতি,অর্থনীতি,ইতিহাস ঐতিহ্য সহ নানা বিষয়ে বিভিন্ন প্রজন্ম কী ভাবছে তা এখানে প্রকাশ করা হয়। নবীন প্রবীণ লেখকদের কাছে প্রতিধ্বনি একটি দারুণ প্ল্যাটফর্ম রুপে আবির্ভূত হয়েছে। সব বয়সী লেখক ও পাঠকদের জন্য নানা ভাবে প্রতিধ্বনি প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। অনেক প্রতিভাবান লেখক আড়ালেই থেকে যায় তাদের লেখা প্রকাশের প্ল্যাটফর্মের অভাবে। আমরা সেই সব প্রতিভাবান লেখকদের লেখা সবার সামনে তুলে ধরতে চাই। আমরা চাই ন্যায়সঙ্গত প্রতিটি বিষয় দ্বিধাহীনচিত্ত্বে তুলে ধরতে। আপনিও যদি একজন সাহসী কলম সৈনিক হয়ে থাকেন তবে আপনাকে স্বাগতম। প্রতিধ্বনিতে যুক্ত হয়ে আওয়াজ তুলুন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here