ইয়াসিন আহসান
হঠাৎ করে এই শীতকালেই আমার বৃষ্টি বিলাস করতে মন চাইলো।চারদিকে প্রচন্ড ঠান্ডা তবুও কেন যেন বৃষ্টির পানিতে গা ভেজানোর এক প্রবল ইচ্ছা মনে জাগলো।
.
কিন্তু আমি চাইলেই তো শীতকালে আকাশ থেকে কুয়াশার চাদর ভেদ করে বৃষ্টির ফোটা পরবে না।তবুও কেন যেন মনে হল আল্লাহ চাইলে কি না হতে পারে!
তিনি চাইলে তো উত্তপ্ত আগুনকেও ঠান্ডা করে দিতে পারেন।পৃথিবীর প্রতিটি জীবই তো তার অনুগত।দেখব আজ আল্লাহর কেরামতি। তিনি নাকি সবার ডাকে সাড়া দেন।
আমিও আজ বৃষ্টির জন্য আল্লাহর কাছে ইচ্ছামত আহবান করব।দেখব কি করে তিনি আমার ডাকে সাড়া না দিয়ে পারেন।
.
যেই ভাবা সেই কাজ।বাইরে প্রচন্ড কনকনে ঠান্ডা। পাতলা একটা চাদর গায়ে পেচিয়ে বাসার বাইরে বেরিয়ে এলাম।বাইরে চারদিকেই উঁচু উঁচু দালান।
তবে তীব্র কুয়াশার কারণে সেগুলোর এক দুইতলার বেশি আর দেখার জো নেই।নির্দিষ্ট একটা উচ্চতা পর্যন্ত গিয়ে বাকি তলা গুলো যেন কুয়াশার মাঝে মিলিয়ে গেছে।
যাইহোক আমি প্রথমে একবার দুরুদ শরীফ পরে চোখ বন্ধ করে বুকের সামনে দুই হাত উঠিয়ে কম্পনরত অবস্থায় দোয়া করতে লাগলাম- হে আল্লাহ তুমি তো সব কিছুর মালিক। সর্বশক্তিমান। হঠাৎ করে এই শীতকালেই আমার বৃষ্টি বিলাস করতে মন চাইলো।চারদিকে প্রচন্ড ঠান্ডা তবুও কেন যেন বৃষ্টির পানিতে গা ভেজানোর এক প্রবল ইচ্ছা মনে জাগলো।
.
কিন্তু আমি চাইলেই তো শীতকালে আকাশ থেকে কুয়াশার চাদর ভেদ করে বৃষ্টির ফোটা পরবে না।তবুও কেন যেন মনে হল আল্লাহ চাইলে কি না হতে পারে!
তিনি চাইলে তো উত্তপ্ত আগুনকেও ঠান্ডা করে দিতে পারেন।পৃথিবীর প্রতিটি জীবই তো তার অনুগত।দেখব আজ আল্লাহর কেরামতি। তিনি নাকি সবার ডাকে সাড়া দেন।
আমিও আজ বৃষ্টির জন্য আল্লাহর কাছে ইচ্ছামত আহবান করব।দেখব কি করে তিনি আমার ডাকে সাড়া না দিয়ে পারেন।
.
যেই ভাবা সেই কাজ।বাইরে প্রচন্ড ঠান্ডা। পাতলা একটা চাদর গায়ে পেচিয়ে বাসার বাইরে বেরিয়ে এলাম।বাসার বাইরের চারদিকেই উঁচু উঁচু দালান।
তবে তীব্র কুয়াশার কারণে সেগুলোর এক দুইতলার বেশি আর দেখার জো নেই।নির্দিষ্ট একটা উচ্চতা পর্যন্ত গিয়ে বাকি তলা গুলো যেন কুয়াশার মাঝে মিলিয়ে গেছে।
যাইহোক আমি প্রথমে একবার দুরুদ শরীফ পরে চোখ বন্ধ করে বুকের সামনে দুই হাত উঠিয়ে কম্পনরত অবস্থায় দোয়া করতে লাগলাম- হে আল্লাহ তুমি তো সব কিছুর মালিক। সর্বশক্তিমান। তুমি তো তোমার বান্দার যেকোনো ইচ্ছা পূরণ করতে সক্ষম। আমি তোমার বান্দা।আমার খুব বৃষ্টি বিলাস করতে মন চাইছে।
প্লিজ তুমি বৃষ্টি দাও,
বৃষ্টি দাও।আমার বৃষ্টি চাই, বৃষ্টি চাই।
না দিলে আমি এখান থেকে যাব না।
তোমাকে বৃষ্টি দিতেই হবে,দাও দাও দাও।
ভাগ্যিস মনে মনে দোয়া করছিলাম নইলে আমার এসব কথা শুনলে নির্ঘাত লোকে আমাকে পাগল ছাড়া অন্য কিছু বলতো না।
যাইহোক, হঠাৎ শরীরে বরফজমা ঠান্ডা অনুভব করলাম।মনে হলো আমি মনে হয় আটলান্টিক মহাসাগরে ডুবে আছি।
দোয়া এত তাড়াতাড়ি কবুল হয়ে গেছে ভেবে মনে মনে লাফাচ্ছি।কিন্তু সেই বরফ পানি এখনও আমার উপর নাযিল হচ্ছে। এই শীতের মাঝে শরীরে পানি লাগার ভয়াবহতা আমি হারে হারে টের পাচ্ছি।আমার শখ এখন বিরক্তিতে পরিণত হয়েছে।
.
এবার আকাশের দিকে মাথা উঁচু করে একটু জোরে সোরেই বললাম-আল্লাহ!! আমার শখ মিটে গেছে।আমি বুঝে গেছি তুমি সব পারো।সবকিছুর ব্যাপারে তুমি ক্ষমতাশীল।
প্লিজ আল্লাহ! তুমি বৃষ্টি থামিয়ে দাও নইলে আমি জমে বরফ হয়ে যাব।
হঠাৎ উপর থেকে গায়েবি আওয়াজ আসলো-
সরি ভাই!আমরা সাত তলায় থাকি তো কুয়াশার কারণে নিচে কেউ আছে কিনা তা দেখতে পারিনি। তাই বারান্দা পরিষ্কারের পানিটা আপনার উপর পরে গিয়েছে।
.
আমার ততক্ষণে হুশ ফিরেছে।মন চাইছে একগাদা…… শুনিয়ে দেই।না থাক।দোষ তো আমারই। আসলে এটাও আল্লাহরই কাজ।
তিনি আমার এমন অদ্ভুত দোয়ার সাড়া বড় অদ্ভুত ভাবেই দিয়েছেন।আমার এমন আজগুবি শখের কারণে প্রকৃতির নিয়মের ব্যাপ্তি না ঘটিয়ে কত সুন্দর করে আমার দোয়াও কবুল করলেন এবং ভালো একটা শিক্ষাও দিয়ে দিলেন।
সামান্য কিছু পানি গায়ে লাগাতেই আমার যে অবস্থা হয়েছিল না জানি আসমান থেকে পানি পরলে আরও কি হত!
ভেজা শরীর নিয়ে আর শীতে দাঁড়িয়ে থাকতে পারলাম না।
কাপুনি গায়ে ঘরে চলে এলাম।এবং এমন অদ্ভুত দোয়ার জন্যও তওবাও করলাম।