মধুরিমা ব্যানার্জী
গরমে গভীর জ্বরে কাঁপছিলো চন্দ। এমাসেও ছেলের সেমেস্টার এর টাকা ও হাত খরচের টাকা তার হাতে তুলে দিতে না পারলে ছেলেটা সম্পর্ক রাখবেনা বলেছে গরীবের ঘরে নুন আনতে পান্তা ফুরায় সেখানে ছেলে প্রথম থেকেই বিলাসিতায় অভ্যস্ত সেই দোষ অবশ্য চন্দরের। ছোটবেলা থেকেই চন্দ কাজ করে হরি নারায়ণ মুখার্জীর বাড়ি তখন থেকেই তার স্বপ্ন সংসার হলে ছেলে বা মেয়েকে রাজার হালে রাখবে। আজ পরিণতি এত দুঃসহ যে বিলাসী ছেলে চন্দরের গলায় পারা দিয়ে টাকা চায় মা বাবার খাওয়া হয়না দুটো সবজি বিক্রি করে বুড়ো হাড়ে বাবুদের বাড়ি কাজ করে ছেলের ফুর্তির টাকা তুলে দেয় চন্দর। বড় বাবুদের বাড়িতে ঝুড়ি ঝুড়ি মিথ্যে বলে চন্দর। বলে তার নিজের আনন্দ হয় কাজ করে তাই চড়া রোদে সে বাবুদের বাড়ি কাজ করে, সবজি বেচে।ছেলে জানলে মারবে। সৎ চন্দর কে গতবার ছেলে হুমকি দিয়ে গেছে বাবুর বাড়ির থেকে জিনিস চুরি করে তাকে দিতে। ছেলে যে অমানুষ জ্বরের তাপে এসব ভুলভাল বলছিলো আর ভাবছিলো চন্দর। কেশব অনেক খুঁজে বাজারে চন্দরের দোকান পেলো। বাবুর ছেলে বলে পরিচয় দেবেনা সে এতবছর বিলেতে থেকেও চন্দর কে সে ভোলেনি ছোট বেলা থেকে কোলে পিঠে মানুষ হয়েছে সে।যতই চন্দর কাকু মিথ্যে বলুক তার ছেলের কীর্তি জানে সে সামনের সাহায্য চন্দর নেয়না তাই সব সবজি রোজ কিনে এই দহনবেলায় মানুষটার শান্তি মেলে। কেশব সুকৌশলে সবজির দাম মিটিয়ে ফিরতে গেলে চন্দর তার হাত চেপে ধরে বলে কেশব তোর এত দয়া? আমি যে হেরে গেলুম। কেশব বলল তুমি জিতে গেলে কাকু। তোমার এক নয় আজ থেকে দুটো ছেলে দুফোটা ঘামের সাথে লোনা জলে গাল ভিজে যায় চন্দরের।।