ঈদ মানেই হাসি খুশিতে ভরপুর
নাহিদা আক্তার
ঈদ মানেই খুশির ঝরনা,
দুঃখ-গ্লানির ফেলে তরনা।
নতুন পোশাক, রঙিন আলো,
সবার মুখে হাসির পালো।
সকাল বেলা নামাজ শেষে,
গলায় গলায় মিলন হেসে।
মিষ্টি মুখে মধুর কথা,
ভুলে যাই সব দুঃখ ব্যথা।
শিশুরা দৌড়ে পায় আনন্দ,
সাজে ঘর, বাজে ছন্দ।
আত্মীয়-স্বজন আসে কাছে,
ভালোবাসা ভাসে আঁচে।
সন্ধ্যা হলে প্রদীপ জ্বলে,
খুশির গান বাজে গলে।
ঈদ মানেই হাসির খেলা,
ভালোবাসায় মনের মেলা!
ঈদে ছুটছে সবাই দেশে
নার্গিস আক্তার
ঈদের খুশি নিয়ে ছুটছে সবাই দেশে।
আপনজনকে নিয়ে কাটবে আনন্দে ঈদ।
এই আনন্দে ছুটছে মানুষ দূরপাল্লায় দেশে।
গাড়ি ছুটছে হাওয়ার বেগে,
মানুষ দুলছে হেলে দুলে।
জীবন হাতের মুঠো নিয়ে,
ছুটছে সবাই আপন নীড়ে।
যানজটে আলুর দম।
মানুষ ভুগছে যাত্রাপথে।
টিকিটের দাম দ্বিগুণ করে,
মানুষকে দিচ্ছে ধোকায় ফেলে।
ঈদ হলো আনন্দ ,ধর্ম উৎসব।
ঈদুল ফিতর ঈদুল আযহা এই দুটো
ধর্ম উৎসব বার মাসের মিলন মেলা।
ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করে ঈদটাকে
দেয় মাটি করে।
ধর্ম পালন উদযাপন কাজের বেলায় বৃন্দাবন।
ঈদ আনন্দ,ধর্ম উৎসব যানবহনের
ভাড়া হবে সাধ্যের মধ্যে।
দুঃখ পেলে মুমিন মুসলমান
নারাজ হবেন সৃষ্টিকর্তা।
ঈদ এসেছে
শাকেরা বেগম (শিমু)
ঈদ এসেছে ঐ,
পথের ধারে ছেলেমেয়েরা
করতেছে হৈ চৈ।
ঈদ এসেছে তাই,
মনের মাঝে নতুন খুশির
আমেজ খুঁজে পাই।
ঈদ এসেছে বলে,
নতুন জামা গায়ে সবাই
ঈদগাহেতে চলে।
ঈদ এসেছে ঈদ,
তাকে আপন করতে সবার
পালিয়ে গেছে নিঁদ।
ঈদ করব মায়ের সাথে
এস এ বিপ্লব, নারায়ণগঞ্জ
স্বপ্নে আমি দেখেছি
মায়ের সাথে ঈদ করছি,
যদিও, মা এখন না ফেরার দেশে
তাইতো ঈদের দিন সকালে
মাযের কবরে এলাম চলে
এবারের ঈদ টা মায়ের সাথে করব বলে।
কবর টা হতো যদি বাড়ির পাশে
নামাজ শেষে দু হাত তুলে মোনাজাতে
বাকিটা জীবন কাটিয়ে দিতাম মায়ের সাথে
হয় নি সেই সৌভাগ্য,থাকি দুজন দুই দিকে।
মা আছে মাটির ঐ অন্ধকার এক ঘরে
আমি আছি আলোকিত এই শহরে,
দুজনের ব্যবধান শুধুই এখানে
তবুও ইচ্ছে ঈদ করব মা আছে যেখানে।
মায়ের সমাধীতে আসতেই হলাম আমি বোকা
অন্ধকার ঐ ঘর থেকে যেন মাযের ডাক আসে
ঈদ করবে বলে এলি বুঝি খোকা
উপরে তাকিয়ে প্রশ্ন করি, কি দোষ ছিল বিধাতা।
মা জানে না ছেলে আছে কত সুখে
ছেলে ও জানে না মা আছে কেমনে।
এ জীবনে মায়ের সাথে ঈদ করার
সুযোগ আর হবে না জানি
বেশ তো, আমিই না হয় আসব
সেই অপেক্ষায় মরণ প্রহর গুণি।