মা’কে নিয়ে একগুচ্ছ কবিতা

0
248

মা জননী
ফারিয়া ইসলাম


পৃথিবীতে যেকোন জায়গায় মোর দু-চোখ যায়,
আমার মায়ের মতো কেহ fake watches অন্য কোথাও নাই!
স্নেহে ভরা মায়াবী মুখ! শীতল তাহার দেহ,
মায়ের মতো এতো আদর করবে না যে কেহ!
আমার জন্য না খেয়ে fake omega তিনি কত্তো কিছু রাখেন,
অসুখ হলে আমার জন্য সারাটি রাত জাগেন!
সন্তানের দেওয়া সকল আবদার মেটানোর চেষ্টা করে
আবদার মেটাতে পারলে মায়ের মন আনন্দেতে ভরে!
মায়ের মতো পৃথিবীতে অন্য best replica watches uk কেহ আর হবে না –
তার মতো এতো স্নেহ আর কেহ দিবে না!
কতো সময় না বুঝে যদি করি জ্বালা যন্ত্রণা,
সন্তানকে মোর বোঝ জ্ঞান দাও প্রভু, করেন তিনি প্রার্থনা।
মায়ের পরে দ্বিতীয় মা, ডেকেছেন আমায় যিনি
তিনি হলেন সবার সেরা আমার মা জননী!
পৃথিবীতে মা আমার সবার চেয়ে সেরা,
তাহার মাঝে লুকিয়ে আছে স্নেহে মায়ায় ঘেরা!


মায়ের স্মৃতি
মনিরুল ইসলাম খান

তোমরা কি সব খবর রাখো
লালমা কোথায় গেছে?
কবর গ্রহে বাস করছে
এ কথা কি মিছে?

নাতিরা সব আদর করে
লালমা বলে ডাক,
জড়িয়ে ধরে বুকে করে
কয়তো কত বাক।

খড়ের চাল মেঠো বাড়িই
বইতো সুখের হাওয়া,
একসঙ্গে করতে সবে
খানা পিনা নাওয়া।

লালমা ছিল সবার তরে
শান্তি ছায়া নীড়,
সেই স্মৃতিটা বুকে আমার
বাঁধছে ব্যথার তীর।


মা
মো. আকিবুল ইসলাম

ধরনির মাঝে রইয়াছ তুমি,
হে মাগো! তুমি যে আমার সব।
তোমারি চরণে রেখেছে খোদায়
আমার জান্নাত।

মাগো, তুমি যে জন্মদাত্রী,
শুধু জন্ম নয়— গড়েছো আপন হাতে।
তুমিই আমার প্রথম পথচলার সঙ্গী,
তুমিই আমার প্রথম শিক্ষক, পথপ্রদর্শক।
হে জননী, তোমার ভালোবাসা—
শব্দহীন, শর্তহীন, এক গভীর অনুভব।

তুমি যে জাগিয়েছ
মোর মনে আত্মবিশ্বাস,
জাগিয়েছ সত্যের উচ্ছ্বাস।
মাগো, তুমিই আমার অনুপ্রেরণা।

শিখিয়েছ নৈতিকতা,
দায়িত্ব, সততা, সত্যের পথে চলা।
কত বিসর্জন দিয়েছ তুমি!
রেখেছ ছায়ার মতো আগলে।

হে জননী, জীবনটা বিলিয়ে দিয়েছ
আমার মুখের পানে চেয়ে।
কোন কলমে লিখব
তোমার ভালোবাসা?

আমি স্মৃতিতে শব্দ খুঁজি,
তবু হই ব্যর্থ— তুমিই যে নিঃস্বার্থ।


মা, তোমায় মনে পড়ে
মোহাম্মদ ফরহাদুল ইসলাম

ঘুম ভাঙে রোদের আলোয়,

চোখে জল এসে যায়।

জানালায় পাখি ডাকে,

তবু কিছু একটায় হায়।

মায়ের সেই ডাকটি আর

শোনা যায় না কানে,

“তুই উঠিসনি এখনো?”

শুধু বাজে মনে।

ছোটবেলায় মায়ের শাসন,

লাগত বড় বারণ,

“ওভাবে বসিস না তো”,

“ভাত খাস ঠিক সময়!”

আজ বুঝি সে ছিল শুধু

ভালোবাসার পরশ,

নীরব আশ্রয় দিয়ে গড়া

ভালোবাসার ঘর।

শহরের এই ফাঁকা ঘরে,

মায়ের গন্ধ নাই,

রান্নাঘরে হাঁসির শব্দ

নিস্তব্ধতায় ঠাঁই।

তখন বলিনি কখনো,

“মা, আমি ভালোবাসি”,

ভেবেছিলাম জানোই তুমি,

শব্দে বলার কি আশি?

তোমার পোলাওয়ের গন্ধে

আজও মনটা কাঁদে,

“তুই খেলে আমি বিশ্রাম!”

তোমার হাসি বাঁধে।

মা, আজ আমি একা বসে,

তোমায় শুধু খুঁজি,

শুনতে পাই না তোমার গলা,

তবু চোখে ভাসে তুমি।

মা, তুমি ছিলে জীবনের আলো,

চুপচাপ দীপ্তি দিতে,

তোমার অনুপস্থিতি এখন আমায়

প্রতিটি মুহূর্তে জীবন শিখায়।

লিখুন প্রতিধ্বনিতেলিখুন প্রতিধ্বনিতে

Previous articleকৃষক রাজা
Next articleসন্ধ্যা রাতের সেঁজুতি
প্রতিধ্বনি
প্রতিধ্বনি একটি অনলাইন ম্যাগাজিন। শিল্প,সাহিত্য,রাজনীতি,অর্থনীতি,ইতিহাস ঐতিহ্য সহ নানা বিষয়ে বিভিন্ন প্রজন্ম কী ভাবছে তা এখানে প্রকাশ করা হয়। নবীন প্রবীণ লেখকদের কাছে প্রতিধ্বনি একটি দারুণ প্ল্যাটফর্ম রুপে আবির্ভূত হয়েছে। সব বয়সী লেখক ও পাঠকদের জন্য নানা ভাবে প্রতিধ্বনি প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। অনেক প্রতিভাবান লেখক আড়ালেই থেকে যায় তাদের লেখা প্রকাশের প্ল্যাটফর্মের অভাবে। আমরা সেই সব প্রতিভাবান লেখকদের লেখা সবার সামনে তুলে ধরতে চাই। আমরা চাই ন্যায়সঙ্গত প্রতিটি বিষয় দ্বিধাহীনচিত্ত্বে তুলে ধরতে। আপনিও যদি একজন সাহসী কলম সৈনিক হয়ে থাকেন তবে আপনাকে স্বাগতম। প্রতিধ্বনিতে যুক্ত হয়ে আওয়াজ তুলুন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here