মিথিলা মেহজাবিন
হে ক্ষতবিক্ষত-পর্যুদস্ত রুহ,
নফসকে পরিতৃপ্ত করার বাসনায় আর কতো কষ্ট পাবে?
কলব যে ধোঁয়াশায় পরিপূর্ণ,
মলিন হয়ে আছে!
কবে তোমার হুঁশ ফিরবে?
নফস কি কখনও সন্তুষ্ট হয়?
তথাপি তা তোমাকে দিয়ে বারবার গাফিলতি করিয়ে যাবে।
তবুও অতৃপ্ত থাকবে।
এদিকে রুহ মরে যাবে।
খা খা রোদ্দুর।
মরু উত্তাপে ফেটে চৌচির।
খাদ্য বিনা তা কি সজিব থাকতে পারে?
আচ্ছা তুমি কি রুহের হাহাকার
শুনতে পাও না?
যখন তুমি বিরোধিতা করো প্রভুর নির্দেশের,
যখন তুমি প্রভুকে অমান্য করো,
যখন তুমি পাপ জেনেও পাপ করে যাও,
যখন তুমি নাজায়েজ জেনেও অবৈধ সম্পর্ক টিকিয়ে রাখো,
যখন তুমি প্রভুকে অমান্য করে বেপর্দায় চলো, গান শুনো,
নাচে মত্ত থাকো,
বেলাজ হয়ে বিপরীত লিঙ্গের সাথে বন্ধুত্ব করো। আসলে তুমি তো বন্ধুত্ব করো
অভিশপ্ত আজাজীল
আর অতৃপ্ত-অবাধ্য নফস এর সাথে।
যখন তুমি হারাম জেনেও
নাটক সিনেমা দেখো পরিতৃপ্তি ভরে।
আচ্ছা সত্যিই কি পরিতৃপ্ত হৃদয়ে?
নফস তো তৃপ্তি পায় না শতো অবাধ্যতায়।
বরং তা আরো অবাধ্য হতে প্রলুব্ধ করে।
আচ্ছা তখন কি তুমি রুহের হাহাকার শুনতে পাও না?
ভিতরটা কি শূন্য শূন্য খাঁ খাঁ করে না?
মরু বিয়াবনে জলহীন পথিকের মতো রুহ যে হুহু করে উঠে,
কেঁদে ভাসায় _
তা কি তুমি শুনতে পাও না?
নাকি নফস তোমাকে বধির বানিয়ে দিয়েছে?
রুহতে মোহর পড়ে গিয়েছে?
এবার তো একটু যত্ন নাও রুহের।
ক্ষুধার্ত রুহকে খাদ্য-বসন দাও।
রুহ হলো আসমানী জিনিস।
তা কেবল আসমানী বস্তুতেই তৃপ্ত হয়।
দেহ তৈরি হয়েছে মাটি থেকে।
তাই মাটি থেকে তৈরি বস্তু _
খাদ্য, বস্ত্র দিয়েই দেহকে তৃপ্ত করতে পারবে।
তবে আসমানী রুহের জন্য লাগবে আসমানী রসদ_
প্রভুর স্মরণ, জিকির, প্রভুর আনুগত্য।
তবেই না রুহের হাহাকার বন্ধ হবে।