স্প্যাম লিংক যাচাই করুন

0
49

প্রতিনিয়ত অনলাইনে প্রতারণার ফাঁদে পরছে মানুষ।স্প্যামাররা বিভিন্ন লোভনীয় অফারের লোভ দেখিয়ে তৈরি করছে ভুয়া লিংক।আর সেসব লিংকে প্রবেশ করলেই ঘটে বিপদ।হাতিয়ে নেয় স্পর্শকাতর তথ্য।এই ধরণের লোভনীয় বিজ্ঞাপন,ভুয়া ওয়েবসাইট,মিথ্যা অফার একটু সতর্ক থাকলেই চেনা যায়।অনলাইনেই বিভিন্ন টুল,ওয়েবসাইট ব্যবহার করে আমরা যাচাই করে নিতে পারি ভুয়া লিংক।

লিংক স্ক্যান করুন: কেউ লিংক সন্দেহজনক লিংক পাঠালে সেটাতে প্রবেশ করার আগে কপি করে অনলাইন টুল দিয়ে স্ক্যান করুন।অনলাইনে বিভিন্ন টুল ওয়েবসাইট আছে যেখানে সন্দেহজনক লিংকগুলো এআই টুল দিয়ে যাচাই করা যায়।যেমন URLVoid ওয়েবসাইট।এই সাইটে যেকোণো সন্দেহজনক ওয়েবসাইট স্ক্যান করা যাবে।ওয়েবসাইটটিতে প্রবেশ করলে সন্দেহজনক ওয়েবসাইট লিংক স্ক্যান করার অপশন আসবে।সেখানে লিংক পেস্ট করলেই ওই ওয়েবসাইট সম্পর্কে একটি রিপোর্ট দিবে URLVoid।যেখানে কোন কোন ম্যালওয়ার,ভাইরাস আছে সন্দেহজনক ওয়েবসাইটে তা জানা যাবে।একইভাবে স্ক্যান করা যাবে VirusTotal ওয়েবসাইটেও।তবে এখানের সুবিধা হলো সন্দেহজনক ফাইলও স্ক্যান করা যাবে।ফাইল স্ক্যান করতে আরো একটি ওয়েবসাইট টুল Jotti।ফাইল আপলোড করে এখানে ম্যালওয়ার স্ক্যান করা যাবে।

এক্সটেনশন ব্যবহার করে: ব্রাউজার ব্যবহার করার সময় কিছু ছোট ছোট সফটওয়্যার ব্রাউজিং সহজ করে।যাদেরকে এক্সটেনশন বলা হয়।অন্যান্য কাজের মতো স্প্যাম লিংক চেক করতে এক্সটেনশন ব্যবহার করা যাবে।তবে তার আগে ঐ সন্দেহজনক ওয়েসবাইটে প্রবেশ করতে হবে।ওয়েবসাইটে প্রবেশের পর এক্সটেনশন অপশন থেকে Criminal IP এক্সটেনশনে ক্লিক করতে হবে।তারপর ঐ ওয়েবসাইটের একটি রিপোর্ট দেখাবে এটি।ওয়েবসাইটটি কি নিরাপদ নাকি ক্ষতি করতে পারে তা দেখা যাবে স্ক্যান করে।Criminal IP হলো স্প্যাম ওয়েবসাইট স্ক্যান করার টুল।এই এক্সটেনশন পাওয়া যাবে ক্রোম ওয়েব স্টোরে।তাছাড়া Web of Trust (WOT), McAfee, WebAdv নামেও কিছু এক্সটেনশন পাওয়া যায়।

ইউআরএল পড়ে দেখুন: বেশিরভাগ স্প্যাম লিংকে ফাঁকি থাকে বানান,ডোমেইন,এনক্রিপশনে।লিংক দেখলেই আগে HTTPS নাকি HTTP দিয়ে শুরু তা দেখুন।HTTPS বিহীন ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার আগে সতর্ক থাকুন।তারপর লিংকে বানান পড়ে দেখুন।বেশিরভাগ কপি করা ওয়েবসাইটের নামে বানান ভুল থাকে।যেমন facebook এর বদলে feecbook লেখা আছে।কিন্তু যা খালি চোখে প্রথমে লক্ষ্য করা যায় না।যেহেতু অনলাইনে থাকা আসল ওয়েবসাইটের মালিক তার ওয়েবসাইটের জন্য নির্দিষ্ট নাম দিয়ে ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন করেছে।তাই ঐ নাম দিয়ে আর ওয়েব এড্রেস তৈরি করা যাবে না।স্প্যামাররা আসল ওয়েবসাইটের নামকে একটু পরিবর্তন করে প্রতারণা করে।কখনো ডোমেইন পরিবর্তন করে,প্রথম দেখায় বোঝা যায় না।

ডোমেইন যাচাই করুন: স্প্যামাররা নতুন নতুন প্রতারণার ফাঁদ পাতে নতুন ওয়েবসাইট খুলে।তাই তাদের বানানো ওয়েবসাইটের ডোমেইন গুলো বিদঘুটে এবং রেজিস্ট্রেশনের বয়স বেশি হয় না।আর এই ব্যাপারটি যাচাই করা যাবে whois ডটকম নামের ওয়েবসাইটে।WHOIS হল একটি ওয়েবসাইট যা আপনাকে একটি ডোমেইন নাম সম্পর্কে লিছু তথ্য দেয়,যেমন রেজিস্ট্রেশনকারীর নাম,কবে রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে তার তারিখ ইত্যাদি।যদি স্প্যাম লিংকের বয়স বেশি না হয় এবং অবিশ্বাস্য কিছু অফার করছে তাহলে তো দুইয়ে দুইয়ে চার মিলে গেল।

অনলাইন স্যান্ডবক্স:লিংকে প্রবেশ না করেও জানতে পারবেন ঐ লিংকে প্রবেশ করলে কী দেখা যাবে।এটি করা যাবে অনলাইন স্যান্ডবক্স দিয়ে। অনলাইন ব্রাউজার স্যান্ডবক্স হলো ভার্চুয়াল ব্রাউজার।যেখানে সন্দেহজনক ওয়েবসাইটগুলো ব্রাউজার দিয়ে না খুলে থার্ড পার্টি টুল দিয়ে খোলা যায়।যেহেতু স্পন্দেহজনক স্প্যাম লিংকে ক্লিক করলে বিপদের সম্ভাবনা আছে।তাই আগে ক্লাউড ভিত্তিক ভিন্ন মাধ্যমে টেস্ট করে নেয় যাবে লিংক।ঐ লিংকে ক্লিক করলে যে ওয়েবপেইজ আসবে তা দেখা যাবে স্যান্ডবক্সে।সন্দেহজনক লিংক খোলার বিভিন্ন স্যান্ডবক্স আছে।Joesandbox,Browserling সহ আরো অনেক ওয়েবসাইটে ভার্চুয়ালাভাবে যেকোনো লিংকের ওয়েবপেজ দেখা যাবে।এন্ড্রয়েড,উইন্ডোজ,ম্যাক,লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমে কেমন দেখাবে তা লিংকে প্রবেশ না করেই দেখতে পারেন স্যান্ডবক্সে।

লিখুন প্রতিধ্বনিতেলিখুন প্রতিধ্বনিতে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here