কবিতার প্রতিধ্বনি – কবিতার এক পাতা
প্রতিধ্বনির সাপ্তাহিক আয়োজন
২১/০৩/২০২৫ ||শুক্রবার
লেখা পাঠাতে নিচে ক্লিক করুন-
লিখেছেন যারা-
- বিলকিস নাহার মিতু
- আল পারভেজ
- সুদীপ্ত শামীম
- মাহফুজুর রহমান যায়েদ
- আকাশ ইসলাম সাগর
- রাকিবুল ইসলাম রাহান
- আইনুন নাঈমা
- আবুল হাসান তুহিন
- আবুল খায়ের নূর
- উম্মে সালমা
- হোসাইন মঈন
- রকিবুল ইসলাম
ই-পেপার পড়তে নিচের লিংকে ক্লিক করুন অথবা এই পাতা থেকেই পড়ুন
আসছে রমজান মাস
বিলকিস নাহার মিতু
খুশির বার্তা নিয়ে এলো
মাহে রমজান মাস
খোদার কাছে ক্ষমা চেয়ে
করবো গুনাহ্ নাশ।
নফল নামাজ পড়ব বেশি
পড়ব কুরআন শরীফ
বেশি বেশি ইবাদতে
করবো প্রভুর তারিফ।
রাখবো রোজা চাইবো পানাহ
করবো নাতো ভুল,
খুশি হলে আল্লাহ দিবে
জান্নাতেরই ফুল।
নিঃসঙ্গতা
আল পারভেজ
একাকীত্বের আঁধার ঘেরা এই মনে,
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্নেরা কাঁদে গোপনে।
শূন্যতার শীতল হাওয়া বহে নিরন্তর,
স্মৃতির পাতায় জমে শুধু একাকীত্বের স্বর।
চারিদিকে শুনি শুধু নীরবতার সুর,
নিঃসঙ্গতার ছায়ায় আজ মনটা বহুদূর।
পরিচিত মুখগুলো আজ অচেনা লাগে,
একাকীত্বের জ্বালা শুধু হৃদয় পোড়ায়, ‘অন্তর’ সে তো নিদ্রাহীন জাগে।
কৃত্রিম সন্দেহাতীত ক্ষুদ্রতার গান,
উদাস পুষ্পে ঘেরা স্মৃতির বাগান।
তবুও ভাঙে, গড়ে আবার,
সময় হয়েছে আপনার তরে ফিরে যাবার।
স্মৃতির ক্যানভাসে আঁকা অতীতের ছবি,
আজ যেন তা ধূসর; আর বিবর্ণ সবই।
আশার আলো নিভে গেছে, নিভে গেছে হাসি,
নিঃসঙ্গতার কারাগারে আজ এই বিষণ্ণের ফাঁসি।
তবুও আশা রাখি, একদিন হয়তো,
এই নিঃসঙ্গতা ভেঙে যাবে কোনো এক স্রোতে।
ভালোবাসার স্পর্শে, স্নেহের পরশে,
জীবন আবার ভরে উঠবে নতুন হরষে।
নিঃসঙ্গতার ছায়া
সুদীপ্ত শামীম
সেদিন তুমি বলেছিলে— শিউলি ফুল ফুটবে আকাশজুড়ে, তার মিষ্টি ঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়বে ভোরের শিশিরে ভিজে,
নরম রোদের আলোর আঁচলে জড়িয়ে যাবে আমাদের সমস্ত স্বপ্ন, সমস্ত অপেক্ষার প্রহর।
আমি আশায় বুক বেঁধেছিলাম, দাঁড়িয়ে ছিলাম একলা বিকেলের সুনসান পথের ধারে,
দেখেছিলাম— শিশিরবিন্দুর মতো স্বপ্নেরা কেঁপে কেঁপে জ্বলে উঠছে নরম বাতাসের ছোঁয়ায়,
আমার সামনে তখনও বিস্তীর্ণ নীল আকাশ, এক সমুদ্র অপেক্ষার ঢেউ।
কিন্তু তুমি আর এলে না— আমার দিগন্তজোড়া আকাশ ধূসর কুয়াশায় ঢেকে গেল,
তোমার আসার পথের ধুলোয় জমে উঠল উদাসী বাতাসের বিষণ্নতা,
আমার চারপাশে কেবলই নিস্তব্ধতা, হাহাকারের দীর্ঘশ্বাস, আর এক বুক শূন্যতা।
একটা সময় বয়ে গেল তীব্র ঝড়ের মতো,
আকাশ ভেঙে পড়ল, বাতাসে বয়ে গেল নিঃসঙ্গতার দীর্ঘশ্বাস,
বৃষ্টি নামল, কিন্তু সে তো আর আগের মতো স্নিগ্ধ ছিল না,
এ এক রূঢ় বৃষ্টি, যা কেবলই বুকে জমিয়ে রাখে ব্যথার নদী,
যার প্রতিটি ফোঁটায় খেলা করে অপূর্ণতার দীর্ঘ ছায়া।
আমি হারিয়ে গেলাম— যেমন হারিয়ে যায় সমুদ্রের অতলে এক টুকরো নৌকো,
তোমার প্রতিশ্রুতির মিথ্যে আশ্রয়ে, কুয়াশায় ঢাকা শূন্য কোনো দিগন্তের পানে।
ভেবেছিলাম, তুমি আসবে— সেই বসন্তের বাতাস বয়ে আনবে সুবাস,
কিন্তু এখন দেখি, আমার সামনে শুধুই ধূসর মরুভূমি, যেখানে কোনো ফুল ফোটে না,
কোনো স্বপ্ন বাঁচে না, কোনো প্রতীক্ষার শেষ হয় না।
আজ বুঝলাম— অপেক্ষারও কোনো শেষ নেই, প্রতিশ্রুতিগুলো আসলে নদীর জল,
যা কেবলই বয়ে যায়, কখনো ফিরে আসে না, কখনো গভীর হতে জানে না।
আমি আজ পড়ে আছি পথে, ঝরা পাতার মতো—
যার কোনো শেকড় নেই, কোনো আশ্রয় নেই,
একটা শুকনো ফুল আমি— যার কেউ নেই।
বায়ান্ন’র সেই দিন
মাহফুজুর রহমান যায়েদ
স্বাধিকারের জন্য আন্দোলন শুরু –
এই বায়ান্নর একুশ থেকে;
মুক্তির পথ উন্মোচিত –
এই বায়ান্নর একুশ থেকে;
বায়ান্ন সুখের আভাস ছড়ায়
দুঃখের স্মৃতি ঢেকে!
বাংলার বীর তরুণ; তারা
সাহসী, দুর্জয়!
বাংলার কিরণ তারা;
তাদের নাই কোনো ভয়!
তারা দেখালো জাতিকে মুক্তির এক আশা
তাদের তরে মর্যাদা পেল ‘বাংলা’;
বাঙালির মাতৃভাষা!
পাওয়া যাবে কি কোথাও
এমন জাতি- অনন্য?
জীবন বাজি রেখেছে যারা
মুখের ভাষার জন্য;
পাওয়া যাবে কি কোথাও
এমন জাগরিত তারুণ্য?
ভালোবাসবে নিজ জাতিকে,
রুখে দাঁড়াবে জাতির জন্য!
রক্তে প্রতিবাদ জাগে বায়ান্নর সেই দিনে;
রক্তিম হয় রাজপথ বায়ান্নর সেই দিনে;
রক্তিম সূর্য উদিত হয় বায়ান্নর সেই দিনে!
এক নতুন আশার সঞ্চার হয় আগুয়ানদের জাগরণে!
কাজির বাহাদুরি
আকাশ ইসলাম সাগর
যাহাকে দেখিবো হায় নয়ন মেলিয়া
তাহা যে সস্তা ফেলে ভাবাইয়া,
অন্তর জ্বালা তব নিরুদ্দেশ
সে যে আর কেউ নয় আমারই স্বদেশ।
বিধাতা তব এই জ্বালা জ্বালাইয়াছে তনু মাঝে,
নিন্দুকের নিন্দার জ্বালা তব কি সকাল সাঁঝে?
আমি আমি করি হায় যবে, আমি তো শূন্য মাঝি!
তব পাল হে বহিতেছে তরি, আমি-ই সমাজের বড় কাজি।
আপন-ই আপনি এসেছেন যবে এই ধরণীর মাঝে
কথাতো দিয়েছেন বিধাতার কাছে সেই আসার-ই আগে।
করিব ভালো কাজ বিধাতা তব তোমার ধরণীপুরে
মন্দকে মন্দ বলিয়া সত্যকে আলিঙ্গন করিয়া আসিব তোমার তরে।
কেন তব আজ মিছে বাহাদুরি করেছো মন্দ কাজ?
তুমিতো দিয়েছিলে কথা, তবে কেন সত্য করতে লাজ!
আশি বিশে একশত হলে তুমি ই বিষের মাঝি।
তোমার দ্বারা সমাজ কলুষিত আজ, তুমি সমাজের কাজি!
অবনীপুরে তোমার বাহাদুরি থাকিবে কতকাল?
ভাবিয়া দেখ এক পলকে তুমি তো শূন্য হাল।
কিভাবে দাঁড়াইবে বিধাতার দ্বারে?
রাখিলে না কথা অবনীপুরে।
সেলাই বিহীন কাপড় যেমন
তখন তুমিও থাকিবে তেমন,
ভেবে দেখ মন কাঁদিবে তখন
আসল পাওনা মিটাইবে যখন।
তব এ ধরা তরে সৎ হও কাজী
তবেই হবে তুমি স্রোতের মাঝি
হে বলিয়ান!
হ্যাঁ, তুমি তব রোজ কেয়ামতের হবে
আসল পালোয়ান।
অজানা পথিকের স্বপ্ন
রাকিবুল ইসলাম রাহান
তোকে নিয়ে স্বপ্ন দেখি, জাগে মনে ব্যাকুল ব্যথা,
নিশি রাতে জ্বলে ওঠে, বেদনার সেই নীল প্রদীপ।
দুঃসহ জীবনের পথে, আনমনা পথিক আমি,
তোর স্মৃতির ছায়ায় ঢাকে, শূন্য হৃদয়, শুষ্ক রাত্রি।
নির্বিকার প্রতিধ্বনি, ব্যথা কাঁদে মোর অন্তর,
ঝড়ের তাণ্ডব বয়ে আসে, শূন্যতায় তোর অভাবের সুর।
বিদীর্ণ বুক, ছিন্ন আশা, ক্ষতবিক্ষত বর্ণমালা,
তোকে নিয়ে ছন্দ রচি, তোর বিরহে দগ্ধ গাথা!
নিভে গেছে দীপের শিখা, নিস্তব্ধ রাত, বোবা বাতাস,
তোর নাম লিখি কাঁপন হাতে, ঝরা পাতার শেষ নিশ্বাস।
ভাঙা সেতুর ওপার হতে, ডাকে কেবল শূন্যতা,
স্বপ্নগুলো দিক ভ্রান্ত, যন্ত্রণার এই মহা সমুদ্র।
আকাশ জুড়ে মেঘের ছায়া, অশ্রুর জল ঝরে ধীরে,
তোর স্মৃতি আজ অন্ধ কারে, বেদনারই কষ্ট ভরে।
ফিরবি কি তুই? শুনবে কি আর, হৃদয় জ্বলার ব্যথা?
নাকি শুধু রেখে যাবি, বুকে গাঁথা বিষাদ কথা?
অপেক্ষা
আইনুন নাঈমা
এই শহরে আমার কোনো বন্ধু নেই
খাবি খাওয়া টু লেট এর মতোই
দীর্ঘশ্বাসে পথ চেয়ে থেকে
নিষ্প্রাণ দেয়ালে হৃৎ কম্প শুনার বৃথা চেষ্টা।
উৎকণ্ঠায় কাটে প্রহর।
কেউ কি রাখে খোঁজ!
হৃদয় এর রক্ত ক্ষরণের
কি নিদারুন যন্ত্রনা ?
অব্যক্ত হাহাকার গুলো
গগন বিদারী চিৎকারে
ক্রমশ মিলিয়ে যায়
ক্লান্ত পথিকের
পদ ধ্বনিতে।
চাকচিক্কে মোড়া
পুঁজিবাদী এই শহরে
আমার কোনো বন্ধু নেই।
লাল, নীল ,সাদা ,কালো ,অসংখ্য
আলোর মিছিলে
আমি এক ম্রিয়মান সাঁঝ বাতি।
—–
বদলে যাওয়া
আবুল হাসান তুহিন
জীবন যেন বদলে যাওয়া
এক ডিজিটাল ঘড়ি,
সময় স্রোতে পাল্টে গিয়ে
রঙটা বদল করি।।
ঘন্টা সেকেন্ড মিনিট গোনার
নিয়ম ঠিকই আছে ,
চোখে দেখার খোলস শুধু
পাল্টে গেছে ছাঁচে।
পেন্ডুলামের যুগের শেষে
ব্যাটারি চার্জ করি,
জীবন যেন বদলে যাওয়া
এক ডিজিটাল ঘড়ি,
সময় স্রোতে পাল্টে
গিয়ে রঙটা বদল করি।।
সুখ দুঃখ হাসি কান্নার
অনুভূতি ঠিক আছে,
প্রকাশ করার ভঙ্গি শুধু
ভিন্ন সবার কাছে।
চিঠি লেখার দিন হারালো
মোবাইল চ্যাট করি,
জীবন যেন বদলে যাওয়া
এক ডিজিটাল ঘড়ি,
সময় স্রোতে পাল্টে গিয়ে
রঙটা বদল করি।
রূপসী সোমেশ্বরী
আবুল খায়ের নূর
সোমেশ্বরী,তোমাকে বাসিয়াছি ভালো
শতরূপে শতবার
নিরন্তর অনিবার
যেমন বেসেছিল ভালো বিভূতিভূষণ।
দূর্গার পথের পাঁচালি
ভরিয়ে দূরন্ত এক দীপালি
রবীন্দ্র বেসেছিল অসহায় নাবালিকা হৈমন্তী’কে
নির্বাক এক পাথর প্রতিমাসম
রুষ্ট- ক্লিষ্ট অবহেলায় হারালো তার দ্যুতি
নজরুলের মৃত্যুক্ষুধায় দেখি যাতনার বলিদান
শুধুই খাইখাই
তবুও নাইনাই
এই যে খাইখাই নাইনাই আলোড়ন
ওতে মিশে আছে যাপিত জীবনের দাবানল।
সোমেশ্বরী তুমি ভরা যৌবনে
উচ্ছ্বাসে নেচে বেড়াও
আবার উন্মাদে আগ্রাসী হয়ে দাঁড়াও
আমজনতায় করো শিকলবন্দী ;
সমস্বরে মিনতি জানায়
রেহায় দাও হে সোমেশ্বরী বিভীষণ
তুমি কি মারণ নেশায় করিলে অনশন!
আবার তোমার দারুণ করুণায়
আবেগে আপ্লুত হই
মনে হয় ভয়কাতুরে তৃষ্ণায় তুমি
দিলে বুঝি মিষ্টিদই
তোমার অফুরন্ত জলরাশির বুকচিরে
বয়ে আনো আহারের রসদ; জনতার ভীড়ে।
আবার চৈত্রের খরতাপে
তুমি জলহীন, নিরবে ঘুমাও বুক চিতিয়ে
উন্মুক্ত আকাশ তলে;
সমস্ত জমানো তোমার
রত্ন বালু উজাড় করে দাও
তোমার বুক চিরেচিরে তোমারই রত্নভান্ডার
লুটে নিতে হই মত্ত
তবুও প্রতিবাদহীন অঘরে তুমি ঘুমাও-
আমরা আরও হই হিংস্র উন্মোত্ত।
দূর মেঘালয় গেরুয়ার দেশে, পাহাড়ের ঢালে
তোমার জন্ম, তোমার মাতৃভূমি
তবুও আমাদের লোকালয়ে আমাদের মাঝে আমাদের সাথে তোমার প্রমত্ত বিরাজ।
ছলছল কলকল
পাহাড়ি ঝর্ণার জলরাশিরাই
জায়গা পেলো তোমার উত্তাল বুকে
ঝর্ণার নির্ঝন কলতান
ওযে পাগাড়ি বালিকার মর্মভেদী গান
পাহাড়ি বালিকার নাঙা পায়ে
নিক্কন নূপুরের ধ্বনি
অবাদে মিশে যায় ঝর্ণার কলতানে
তার উচ্ছ্বল হাসিতে ভরে উঠে
কানায় কানায়
শুভ্রতার খই ফুঁটানো মাতম
অদূরে দাঁড়ায়ে চাষি মেলিয়া ডাগর আঁখি
আনন্দে খায় লুটোপুটি
রোদ মেখে
ভেজা কেশে
ছুটে চলে তার রাঙা পা দুটি।
প্রতিটা কণ্ঠ
উম্মে সালমা
হাহাকার!হাহাকার!
প্রতিটা কণ্ঠে আজ হাহাকার,
নিরালায় চারিদিক
নিশ্চুপ বাতাস,
বিভীষিকাময় জীবন তাদের
বেঁচে থাকার ইচ্ছা নেই যাদের।
চলমান গতিতে চলছি
শুনছি আর সয়ে নিচ্ছি
ক্লান্তিময় কান্না।
রেললাইন এর ধারে
কিংবা নদীর পাড়ে
হালকা বসে দেখো,
প্রতিটা কণ্ঠ শুনা যাবে
আর্তনাদে বা আর্তচিৎকারে
কেউ অসুস্থের
সুস্থতার কামনে,
কেউ বা অভুক্ত
বাচ্চাদের খাবার দিয়ে
তাদের মুখে হাসি ফুটাতে।
কেউ বা চিন্তার সাগরে
এতিম হয়ে জন্ম নেওয়ায়
আবার কেউ পথ হারিয়ে
নিজের গন্তব্য ফিরে না পাওয়ায়।
ভোরের আলোয়
আলোকিত দিন সবার
কেউ ব্রেকফাস্ট টেবিলে
খুশির রেখায় ভাসে
কেউবা আবার
খাবার জোগাড় করতে
খালি পায়ে বেরিয়ে পড়ে।
শহরের এই হাহাকার!
দিনের আলোয়
রাতের আঁধারে
কানে বেজে উঠে
প্রতিটা আর্তনাদ,
প্রতিটা সুর
আর প্রতিটা কণ্ঠ।
বারবিকিউ
হোসাইন মঈন
নদী খাচ্ছো? খাও। বন খাচ্ছো? খাও।
পাহাড় খাচ্ছো? খাও। ভূমি খাচ্ছো, সাগর খাচ্ছো,
যখন খুশি যেমন ইচ্ছে খেয়ে যাচ্ছো গোগ্রাসে,-
মানুষও তো খাচ্ছো রোজ হাঙ্গরের বেশে।
এভাবে খেতে খেতে…,
যখন একদিন চুকে যাবে অবনীর পাঠ-
এভাবে তোমাকেও খুবলে খাবে অনন্ত অনল,
সেখানে তুমিও হবে সুস্বাদু বারবিকিউ, আগুনের টেবিলে।
আমি পুড়তে ভালবাসি
রকিবুল ইসলাম
যেদিন এই ধরা তলে আমার অভিষেক হল,
সেদিন থেকেই সতত কারো না কারো যন্ত্রণার কারণ হয়েছি।
একটু একটু করে যখন বড় হতে লাগলাম,
কিঞ্চিত বুঝতে শিখলাম, সিদ্ধান্ত নিলাম-
আমার অনলে অন্যকে আর দাহ হতে দেব না।
সেদিন হতেই আমি পোড়াতে নয়,পুড়তে ভালবাসি।
নিকটাত্মীয় কেউ যখন জ্বালাতে চায়,তখন তাতে আমি একটু জল ছিটিয়ে দিই।
যেন, প্রজ্জ্বলনটা একটু বেশি হয়।
তাতে যদি তাদের মনে কদাচিৎ হরষের জন্ম নেয়!
এটাই আমি,যে আমি শুধুই পুড়তে ভালবাসি।
বন্ধু-বান্ধব যখন প্রজ্জ্বলিত অগ্নি শিখায় মোরে দাহ করতে চায়, আমি সানন্দে সে অনলে অঙ্গার হতে চাই।
কারণ, আমি পুড়তে ভালবাসি।
প্রিয়ার ভালবাসায় সিক্ত হওয়ার দূর্ভাগ্য(পড়ুন সৌভাগ্য)
কস্মিনকালেও আমার হয়ে উঠেনি।
অক্ষম,অযোগ্য,অথর্ব ভেবেই তারা সর্বদা দূরে থেকেছে আমার থেকে।
আমিও,পরম পুলকে মেনে নিয়েছি
চির আরাধ্য বিজয়ের (পড়ুন পরাজয়ের)সে গ্লানিকে,
কারণ,আমি যে পুড়তে ভালবাসি!
আমি পুড়তে ভালবাসি!!
লেখা পাঠাতে নিচে ক্লিক করুন-