শাবাব আহমাদ
জীবনকে রাঙাতে কারই বা ভালো না লাগে,
আর তা যদি হয় কুরআন ও হাদীসের আলোকে,
ব্যপারটা খুব মনোমুগ্ধকর তাইনা ?
“এই স্নিগ্ধতার পরশে চলুন যাই জীবনকে রাঙাতে”
হঠাৎ করেই সাঈদের ঘুমটা ভেঙে গেল। কয়েক দিন ধরেই সে এক খারাপ স্বপ্ন দেখছে। স্বপ্ন এমন একটি বিষয় যাকে সাজানো হয়েছে এমনভাবে যে
তা যদি মনমতো হয় ঘুম থেকে উঠে পরক্ষনেই
মনটা ফুরফুরে হয়ে যায় আর যদি ঠিক উল্টোটি হয়, আর কোনো কাজে মন বসতে চায় না।
ঠিক এমনই হলো সাঈদের সাথে, মনটা যেন তার একটা ভারি পাথরে পরিণত হয়ে গেল, বাম দিকে তিন বার থুথু ফেললো এবং হাদীসে পাকের সেই বর্ণিত দুআটি যেন তার স্মৃতির পাতায় ভেসে ওঠলো
لا حول و لا قوة الا باالله
নিত্য দিনের মতো সে ফজরের সালাত আদায় করে নিল
সালাত শেষে, সে উদোম পায়ে হাঁটতে বের হলো।
সকালের মৃদু ঠান্ডা হাওয়া; সাথে সাথেই সবুজ ঘাসের বিন্দু বিন্দু জলের কনা,
মনটা কে প্রফুল্ল করে তুলে।
রাস্তায় সেলিম ভাইয়ের চায়ের দোকান।
সাঈদের পছন্দের তালিকায় “চা” যেন সর্বশীর্ষ পানীয়। এখানে আসলে আরেকটি বড় উপকারিতা হলো: তরুণ প্রজন্মের সাথে দ্বীনি বিষয় নিয়ে আলোচনা। আজকের আলোচনার বিষয়বস্তু: সমাজের প্রতি ঘরে ঘরে দ্বীনি তালিমের
বাস্তবায়ন কিভাবে সম্ভব হতে পারে?
(২)
দিন -দিন সেলিম ভাইয়ের মেজাজটা ক্রমাগত
রগচটা হচ্ছে। নিজেই ভুল করে ফেলে উপরন্তু ক্ষমা চাওয়া তো দূরের কথা অন্যের উপর নিজের ভুলের মাশুল তোলে। সেই দিন হয়েছে কি:
প্রতিদিনের মত সকাল বেলায় কয়েকজন চা খেতে এসেছে,’চা অর্ডার করা হলো লাল চা’ মশাই
বানিয়ে নিয়ে এলো ‘মালাই চা’ তাদের মধ্যে একজন বলে উঠল,এই মশাই আপনার কাছে অর্ডার করা হয়েছে লাল চা আর আপনি নিয়ে এলেন মালাই চা ব্যপার কি? সেলিম ভাইয়ের রাগ ১০০° সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠে গেল, ‘বেটায় মালাই চা অর্ডার কইরা আইখন চিল্লাফাল্লা করতাছোস তোর কত্ত বড় বুকের পাটা সামনে আইসা কথা বল। কয়েক মূহুর্তেই দোকানে তুলকালাম বেঁধে গেল। নিত্যদিনের মতো সাঈদ ও এলো চা খেতে।
‘কি ব্যপার? আপনারা ভিড় করে আছেন কেন?
লোকজনেরা পুরো বিষয়টাকে খুলে বলল।
সাঈদ সামনে এগিয়ে গেল। ভাই আপনারা ঝগড়া করতেছেন কেন? সামান্য কারণে এভাবে ঝগড়া করা কি ঠিক?(কাষ্টমারদের কে উদ্দেশ্য করে) ভাই আপনারা তো শিক্ষিত মানুষ। অযথা ঝগড়া করে লাভ আছে? রসুল(সাঃ) এর একটি হাদীস কি আপনি শোনেননি?
“প্রকৃত মুসলমান ঐ ব্যক্তি যার হাত এবং জিহ্বা থেকে অপর মুসলমান ভাই নিরাপদ থাকে”
আহ্! হুজুর (সাঃ) এর প্রতিটি বাণী যেন মুসলিম উম্মাহর জন্য আলোকবর্তিকা। কথাটি শুনা মাত্রই
সেলিম ভাইয়ের শরীর কাঁপতে শুরু করে দিল। সেলিম ভাই আর যাই করুক ‘মানুষ ভালো, নামাজী এবং তাবলীগেও সময় লাগায়। সেলিম ভাই অনুতপ্ত হয়ে গেল চোখের কোনে কয়েক ফোঁটা পানিও চলে এলো। নিজের ভুল তিনি বুঝতে পারলেন।
