অরুণ বর্মন
(১)
এই কয়েক বছর আগেও সুজলপুর গ্রামটা অজপাড়াগাঁ বলে পরিচিতি ছিল। কিন্তু বর্তমানে শিল্পায়নের উগ্র ছোঁয়া এর নাম দিয়েছে সুজপুর নতুন উপশহর। নগরায়নের উন্মত্ত থাবায় গ্রাম হয়েছে শহর। কারণ নব্য অধুনিকদের কাছে গ্রাম শব্দটা কেমন যেন আনকালচারড্ মনে হয়। এখন আর কেউ সুজলপুরকে গ্রাম বলে না, বলে সুজলপুর নতুন উপশহর।
সুজলপুরের বুক চিরে তৈরি হয়েছে চার লেনের পিচের রাস্তা। যেখানে অনবরত হু হু করে চলছে আট চাকা, চার চাকার বাহারী গাড়ি, দামি মটর বাইক, প্রাইভেট কার। অথচ এই রাস্তাটা দশ পনেরো বছর আগেও ছিল সরু মাটির মেঠো পথ। বর্ষাকালে হাঁটু সমান কাদার জন্য চলাচল করা যেতো না।
তখন গ্রামের মানুষের একমাত্র আলোর মাধ্যম ছিলো মাটির টেমি বা হরিকেন, আর সামাজিক অনুষ্ঠানে হ্যাচাক লাইট । অথচ এখন রাস্তার মাঝ বরাবর সারি দিয়ে শোভা বর্ধন করছে ঝলমলে সোডিয়াম বাল্ব। সন্ধ্যার পর হেঁটে গেলে মনে হয় স্বপ্নের রাজপূরীর মধ্য দিয়ে হাঁটছি।
মেইন রাস্তার দুই পাশ দিয়ে গড়ে উঠছে বিশাল বিশাল বহুতল ভবন। তৈরি হচ্ছে শিল্প কল-কারখানা। শহরের ধনী মানুষগুলো এই নতুন উপশহরে জমি কেনার জন্য এসে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। এখানে বাড়ি উঠছে সব উকিল, ব্যারিষ্টার, ডাক্তার, প্রফেসর, অফিসার, ব্যাংকার বা বড় বড় ব্যবসায়ীদের। বর্তমান সুজলপুর নতুন উপশহরের এক ইঞ্চি মাটির দাম লক্ষ লক্ষ টাকা।
মাত্র বছর পনেরো আগে এই সুজলপুর গ্রামেরই অর্ধেকাংশ অর্থাৎ দক্ষিণ পাড়াটা জুড়েই ছিল অতি দরিদ্র ঋষি সম্প্রদায় যাকে গ্রাম্য বাংলায় বলে মুচি সম্প্রদায়ের বসবাস। কিন্তু সদ্য ভুমিষ্ঠ উপশহরের উন্নয়নের স্ট্রিম রোলারে উচ্ছেদ হয়ে গেছে গেছে ঋষি সম্প্রদায়। তাদেরকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূরর্বক ভিটেছাড়া করেছে বাবু-সাহেবরা। সম্প্রদায়গত বৈষম্যের শিকার হয়ে তারা জমিজমা নামমাত্র মূল্যে বিক্রি করে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে।
তবে এখনও টিকে আছে শুধুমাত্র একটা ঋষি পরিবার । সেটা বিশ্বম্ভর দাসের পরিবার। সেই মূলতঃ এই ঋষি পাড়ার সর্দার ছিল। বিশ্বম্ভর দাসের বাড়িটা নতুন উপশহরের এক্কেবার মাঝামাঝি মেইন রাস্তার পাশে এগারো শতক জমির ওপর। পাড়ায় এখন সেটাই একমাত্র জীর্ণশীর্ণ মেরুদন্ড নিয়ে কোনোমতে মাজায় হাত বাধিয়ে উঁচু হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা সংখ্যলঘু পরিবার।
এই বিশ্বম্ভর দাস বছর পাচেঁক আগে মারা গেছে। এখন তার উত্তারাধিকার দুই ছেলে চৈতন্য দাস ও নিত্য দাস বসবাস করছে। দুই ছেলের সংসার পৃথক। বাড়ির জায়গাটুকু অর্ধেক ভাগ করে দু’ভাই দুই ভাগে টিনের তৈরি ছাউনি ঘরে বসবাস করে। দু’ভাইয়েরই চারটে করে ছেলেমেয়ে।
চৈতন্য দাস ধর্মতলা মোড়ে জুতা সেলাই-পালিশের কাজ করে। সাথে কিছু বাঁশের ঝুড়ি, কুলা, চাটাই বিক্রির জন্য রেখেছে। তার বড় ছেলে গৌরাঙ্গ দাস বাপের ব্যবসাকে মডিফাই করে পাড়ার বিভিন্ন ঘরে ঘরে দুধ, ঘি মাংস সাপ্লাই দেয়। তার চেহারাও বেশ ষান্ডা মার্কা । দরিদ্র হলেও গায়ের জোর ও গলার জোরে গৌরাঙ্গর সাথে পারা লোক এ পাড়ায় কমই আছে। চৈতন্যের ছোট ছেলেটা খুব মেধাবী। সে গতবার এইচ.এস.সি-তে গোল্ডেন প্লাস পেয়ে এম.বি.বি.এস-এ চান্স পেয়েছে। ছোট ভাই নিত্য অবশ্য তার পৈত্রিক পেশা বাদ দিয়ে কাঠমিস্ত্রির কাজ শিখেছে। সে কাঠের আসবাবপত্র তৈরি করে বাজারে বা বিভিন্ন বাড়িতে বাড়িতে বিক্রি করে। তার ছেলেমেয়েগুলোও মেধাবী।
এই পাড়ায় তারা দু’ভাই-ই কেবল আদি বাসিন্দা, আবার পাড়ার একমাত্র দিন আনা দিন খাওয়া পরিবার তারাই।
চৈতন্য ও নিত্যর বাড়ির ভিতরের পরিবেশটাও তাদের সম্প্রদায়গত উত্তরাধিকার সূত্রের ছোঁয়ায় পূর্ণ। অর্থাৎ বাড়ির মধ্যে ঢুকতেই চামড়ার দুর্গন্ধ নাকে আসে। যেহেতু উত্তারাধিকার পেশা গরু, ছাগল, শুয়োর পোঁষে। সুতরাং পঁচা গোবরের দুর্গন্ধতো আছে সাথে শুয়োর, পাঁঠার গায়ের বোগা দুর্গন্ধ।
এমন সভ্য পাড়ায় এ’দুই পরিবার একেবারেই বেমানান হয়ে গেছে। এতো এতো সাহেব-বাবুদের ভিড়ে তারা বর্তমানে পাড়ার আগাছা। তাদের উপড়ে ফেলার জন্য আশেপাশের লোক উঠেপড়ে লেগেছে। তাদের জায়গাটাও পাড়ার মিডিলে মেইন রাস্তার সাথে লোভনীয় পয়েন্টে। সুতরাং একঝাঁক শকুনের নজর লেগে আছে তাদের বড়ির উপর।
(২)
একদিন সকালে চৈতন্য জুতা সেলাই-পালিশে যাওয়ার উদ্দেশ্যে কাঁধে বাক্সটা নিয়ে বেরুনোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। নিত্য বাড়িতে কাঠের কাজ করছে। এমনি সময় পাড়ার শিল্পপতি নিয়ামত সাহেবের নেতৃত্বে পাঁচ-ছয় জন চৈতন্যর বাড়ি ঢুকলো।
নিয়ামত সাহেব চেঁচিয়ে বললেন, চৈতন্য-নিত্য তোদের সাথে কিছু কথা আছে। তোর ভাই নিত্যকে ডাক্।
চৈতন্য নিত্যকে ডাক দিয়ে তাড়াতাড়ি উঠোনে তাদের বসার চেয়ারের ব্যবস্থা করলো।
সাহেব চৈতন্য ও নিত্যকে উদ্দেশ্য করে বললেন, কথাটা তোদের যে কিভাবে বলি। কিছু মনে করিস না। তোদের এই ভিটেবাড়ির জমিটা যে আমার দরকার।
কথাটা কানে আসা মাত্রই চৈতন্য ও নিত্য আঁতকে উঠলো। মনের ভিতর যেন একটা অশনি সংকেতের কু-ডাক দিলো।
চৈতন্য উত্তেজিত কণ্ঠে বললো, আমাদের ভিটেবাড়ির জমিটা আপনার দরকার মানে?
সাহেব বললেন, হ্যাঁ দরকার। এখানে আমি মাল্টি স্টোরয়েড বিল্ডিং করে ক্লিনিক করব ভাবছি। পাড়ায় ভালো ক্লিনিক নেই।
নিত্য বললো, তাই আমাদের ভিটেবাড়ির ওপর? আপনার এতো জমি, তো জমিতে হয় না। আমাদের এই সামান্য ভিটেবাড়ির উপর নজর দিয়েছেন?
সাথের এক সাকরেদ পাশ থেকে বললো, তোরা বাজার মূল্যে ন্যায্য দামই পাবি।
নিত্য বললো, আমরা তো বিক্রিই করব না, তো ন্যায্য দামের কথা আসছে কেন? আমার বাপ দাদার ভিটে বিক্রি করতে যাবো কেন?
সাহেব হাসতে হাসতে বললেন, এই পাড়ার বর্তমান অবস্থা তোরা কি বুঝতে পারছিস? এটা এখন শিল্পপতির পাড়া। এখানে তোদের মতো আনকালচারড্ গরীব মানুষের কি বসবাসের সুযোগ আছে? তোদের এ’দুটো পরিবারের জন্য পুরো পাড়া সাফার করছে। বর্তমান তোদের এই বাড়িটা ফুলবাগানের মাঝে একটা গোবরে পোকা, বুঝলি।
চৈতন্য রাগতঃস্বরে বললো, সাহেব আপনি কি মগের মুল্লুক পাইছেন? আমরা সাত পুরুষ ধরে এই মাটিতে বসবাস করছি। এ মাটি আমার কাছে সোনার চেয়েও দামী। এ মাটিতে কান পাতলে আমি আমার বাপ-দাদার উচ্চারণ শুনতে পাই।
সাহেব এবার রেগে বললেন, ওসব আবেগী কথা রাখ্ । এ-পাড়ায় আর তোদের বসবাস করা চলবে না। নিচু লোকদের এ-পাড়ায় বসবাসের সুযোগ নেই।
চৈতন্যর বড় ছেলে গৌরাঙ্গ ছুটে এসে বললো নীচু লোক মানে! আমরা কি নীচু লোক? আমরা এ-পাড়ার আদি বাসিন্দা। মনে রাখবেন এই নীচু লোকদের সেবাতেই আপনারা বেঁচে থাকেন। পাড়ার কারো বিপদে-আপদে আমরাই আগে ছুটে যাই । আর আমাদের কিনা নিচু লোক বলছেন? আমার ভাইও কিন্তু একটা এম.বি.বি.এস পড়ছে।
সাহেব তাচ্ছিল্য স্বরে বললেন, আরে এম.বি.বি.এস পড়ুক আর ইঞ্জিনিয়ার পড়ুক জাত তো আর পরিবর্তন হবে না। মুচি তো মুচিই থাকবে নাকি?
গৌরাঙ্গ এবার রেগে গিয়ে বললো, কি বললেন সাহেব? আপনাদের সাহেব সাহেব করি বলে একবারে পেয়ে বসেছেন তাই না! একেবার জাত তুলে কথা শুনাচ্ছেন। এমন করলে আর সাহেব টাহেব মানবো না বুঝলেন! আমরা গরীব হতে পারি, সংখ্যালঘু হতে পারি কিন্তু উদ্বাস্তু নই। শ্রেণী বৈষম্যের শিকার করে আমাদের উচ্ছেদের ষড়যন্ত্র করবেন আর আমরা বসে বসে আঙুল চুঁষব সেটা ভাববেন না। দেশে আইন কানুন বলে তো কিছু আছে নাকি?
সাহেব রাগে গজগজ করতে করতে বললেন, যে মাটিতে আমি একবার চোখ দেই সে মাটি আমি নিয়েই ছাড়ি। দেখা যাবে তোদের জোর বেশি না আমার জোর বেশি।
চৈতন্য এবার নমনীয় স্বরে করুন সুরে বললো, সাহেব রাগ করবেন না। এ বাড়ি, এ মাটি আমার জন্মভূমি। জন্মভূমি মায়ের সমান। মা মাটি ছেড়ে যাওয়া যায় না সাহেব। আপনাদের টাকা আছে বলেই যে, সব গরীব মানুষগুলোকে তাড়িয়ে তাদের জায়গা জমি দখল করে নিবেন তা হয় না সাহেব। ধনী গরীব নিয়েই বসবাস করতে হয়।
এই মাটিতে আমি, আমার ভাই, ছেলেমেয়ে জন্মগ্রহন করেছে। এ জন্মভিটের মাটির প্রতিটি কণা আমাদের হৃদয়ে গেঁথে আছে। এ মাটির মায়া ত্যাগ করে আমরা যাবো না। আতো সহজে আমাদের তাড়াতে পারবেন না। এই ভিটেতে জন্মেছি এই ভিটেতেই মরতে চাই। আমার নিবেদন এ বাড়ির ওপর থেকে আপনার শকুনের দৃষ্টি সরান।
সাহেব দলবল নিয়ে উঠে পড়লেন। যাওয়ার সময় বলে গেলেন তোর মরণও এই মাটিতে হওয়ার ব্যবস্থা করছি।
সাহেবের হুমকি শুনে চৈতন্য নিত্য ভয় পেয়ে গেলো। কিন্তু গৌরাঙ্গ সাহস দিয়ে বললো ওরা আমাদের কিচ্ছু করতে পারবে না। বাবা-কাকা তোমরা নিয়ামত এন্ড গংদের নামে থানায় একটা জিডি করে রাখো। তার কথামতো চৈতন্য ও নিত্য থানায় জিডি করলো।
ভালোয় ভালোয় কেটে গেলো প্রায় সপ্তাহখানেক। এদিকে সাহেব লেলিয়ে দিয়েছেন তার পোঁষা গুন্ডা বাহিনী। তারা নানান রকম হুমকি দিয়েও ব্যর্থ হচ্ছে। কারণ গৌরাঙ্গও পাড়ার একটা মস্তান গ্রুপের নেতৃত্ব দেয়। এসব গুন্ডা তার কাছে পান্তাভাত। তারা এক হুমকি দিলে গৌরাঙ্গ দেয় পাঁচ হুমকি।
হঠাৎ এক মধ্য রাতে গৌরাঙ্গর চিৎকার। আগুন! আগুন! আমাদের বাড়ি আগুন লেগেছে। তোমরা কে কোথায় আছো বাঁচাও।
পাড়ার লোকজন ছুটে এসে ফায়ার সার্ভিসের খবর দিলো। ইতোমধ্যে চৈতন্য ও নিত্যর পরিবারের সবাই বাচ্চা-কাচ্চা নিয়ে ঘর ছেড়ে বাইরে চলে এসেছে। অকস্মাৎ চৈতন্যর কি যেন মনে হলো। জমির দলিলটা তো নিয়ে আসা হয়নি। সে আবার ঘরের মধ্যে ঢুকলো জমির দলিলের বাক্সটা নিয়ে আসতে। তখনই আগুনের লেলিহান শিখা তাকে চক্রব্যূহের মতো ঘিরে ফেললো। সে আর সেই আগুনের চক্রব্যূহ ভেদ করে বেরুতে পারলো না। ফয়ার সার্ভিস এসে আগুন নিভালো।
নিত্য পোড়ার স্তুপে ঢুকে দেখলো বড় ভাই পুড়ে শোল মাছের মতো পড়ে আছে। সারা শরীর কয়লায় মোড়া। মুখ দেখে চেনার উপায় নেই। পুরো পরিবার কান্নায় ভেঙে পড়লো।
এদিকে গৌরাঙ্গ চারিদিকে ছোটাছুটি করতে যেয়ে আগুন লাগানোর এক হোতাকে পাকড়ে ফেললো। সে নিয়মত সাহেবেরই পোঁষা গুন্ডা। তার মাধ্যমে জানা গেলো নিয়ামত সাহেবের নির্দেশেই তারা আগুন দিয়েছে।
বাঘের মতো হুংকার দিয়ে উঠলো সদ্য পিতৃহারা গৌরাঙ্গ। মুহূর্তে সদ্য পিতৃশোক যেন তার শক্তিতে রুপান্তরিত হলো। ঐ রাতেই বাবার লাশ কাঁধে নিয়ে ছুটে গেলো নিয়মত সাহেবের ভবনের সামনে। তারপর চিৎকার করে বললো এই নিয়ামত শুয়োরের বাচ্চা বেরিয়ে আয়। দ্যাখ তোর হিংস্রতার ফসল।
মানুষের দেওয়ালে যখন পিঠ ঠেকে যায় পিছনে যাওয়ার জায়গা থাকে না তখন সে প্রত্যাঘাত করে। গৌরাঙ্গ আজ হিংস্র বাঘের রূপ ধারণ করেছে। যেন সামনে যেটা পাবে সেটাই গিলে ফেলবে।
নিয়মত সাহেব গৌরাঙ্গর হিংস্র হুঙ্কার শুনে ভয় পেয়ে গেলো। ভয়ে রাতে বাইরে এলো না। গৌরাঙ্গ ব্যার্থ মনোরথে পুনরায় লাশ ঘাড়ে নিয়ে বাড়ি ফিরে এলো।
পরদিন সকালে পুলিশ এলো। আগুন লাগানোর নির্দেশদাতা নিয়ামত সাহেবকে হাতকড়া পরিয়ে কারাগারে নিয়ে গেল।
নিত্য আর গৌরাঙ্গ চৈতন্যর লাশ ভিটের এক কোণায় সমাধিস্ত করলো। গৌরাঙ্গ চিৎকার করে বললো, বাবা! তুমি যে মাটির জন্য যুদ্ধ করেছিলে সেই মাটিতেই তোমাকে আজ চিরনিদ্রায় শায়িত করে গেলাম। তুমি এখানেই শুয়ে অনন্তকাল পাহারা দাও এ মাটিকে ।
অতঃপর নিত্য ও গৌরাঙ্গ চৈতন্যর সমাধি ছুঁয়ে শপথ নিলো আমাদের শরীরে এক বিন্দু রক্ত থাকতে এ ভিটের এক ইঞ্চি মাটিও কোনো বর্গির দখল নিতে দেবো না। মাটি যার সিদ্ধান্ত তারই হতে হবে। এ মাটি আমাদের তাই সিদ্ধান্ত আমাদের।
