উমর শরীফ
নীলাচল এ এসে পাহাড় নামক ছোট্ট ঢিবিতে উঠে এদিক-সেদিক তাকাচ্ছি!
নীচে হঠাৎ সাজানো পাহাড়ি গ্রাম দেখতে পেলাম, মনে হচ্ছে খুব কাছে দেখতেও অপরূপ লাগলো তাই সেখানে যাবার তীব্র ইচ্ছে পেয়ে বসলো মনে।
ভাবার সাথে সাথে চলা শুরু করলাম সে পথে, নীলাচলের পাহাড় বেয়ে নীচে নেমে চলেছি।
পাহাড়ের উপরের দিকে কয়েকজন মিলে কিছু অংশ পরিষ্কার-সংস্কারের কাজ করছে। আরেকটু নীচে নেমে যাবার পর আমি হয়ে গেলাম একা জনবিচ্ছিন্ন!
যেন- কবরের মতো শুনশান,একা!
কবরের মতো শুনশান!

মনে মনে কত চিন্তা উঁকি দিচ্ছে তখন। ফিরে যাবার জন্য মন শায় দিচ্ছে না, আবার সামনের গন্তব্যও বেশ অজানা!
ভয় আর আশার দোলাচলে পাহাড়ের গা বেয়ে নীচে নামছিলাম । কতশত কথা স্মরণ হচ্ছে মনে।
কখনো মনে হচ্ছে ফিরে যাওয়া উচিত। এইতো কয়েকমিনিট হেটেছি। তাই, ফিরতে নাহয় আরেকটু বেশি সময় লাগবে তবু কিছুটা চেনা রাস্তায় ফিরে যাই৷ অন্যদিকে কৌতূহলী-রোমাঞ্চকর মন, চাচ্ছে আরেকটু সামনে গেলেই পাহাড়ি গ্রামগুলোর সৌন্দর্য হয়তো চোখে পড়বে।
তাই বেয়ে চলা জীবনের মতো পাহাড়ের গা বেয়ে নেমে চলছিলাম ।
এর মধ্যে, ভ্রমণ বিষয়ক আল-কোরআনের তাগিদমূলক বাণী আশার সঞ্চার হয়ে উঠছে।
আবার কখনো কখনো মনে পড়ছে ছোট্ট বেলার সাহসিক অভিজ্ঞতা !
পাহাড়ের গা বেয়ে যত নামছি অজানা ভয়, অচেনা পরিবেশ, সুদূর ভবিষ্যৎ যেন এক টুকরো জীবন্ত পৃথিবীর উজ্জ্বল প্রতিচ্ছবি হয়ে প্রতিফলিত হচ্ছিলো আমার চোখে !
হেটে চলেছি তবু, সেখানে এক অচেনা চলন্ত পথিকের মতো গন্তব্যের দিকে ।